বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যম

শক্তিশালী হোক আস্থার সম্পর্ক

বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন নিরাপদ ও মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করে। আশা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা করে বাংলাদেশ প্রতিদিন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে জনগণের সঠিক তথ্য প্রাপ্তিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের আশীর্বাণী বাংলাদেশ প্রতিদিনের জন্য নিঃসন্দেহে এক বড় অর্জন। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ প্রতিদিন মু্িক্তযুদ্ধের চেতনা নিজেদের এগিয়ে চলার পাথেয় হিসেবে নিয়েছে। প্রথম দিন থেকেই ‘আমরা জনগণের পক্ষে’ এ স্লোগান বাংলাদেশ প্রতিদিন ধারণ করছে অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে গণমাধ্যমের বিকাশে তাঁর সরকারের অবদানের বিষয়টি প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরেছেন। বলেছেন, তাঁর সরকার তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের গণমাধ্যমকে অবারিত করতে জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪সহ বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণে দক্ষ, যোগ্য কলাকুশলী এবং নির্মাতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন-২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন-২০২২ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। সংবাদপত্রে কর্মরতদের কল্যাণে ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড কার্যকর হয়েছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদেরও ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতে অনেক টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের ফলে টেলিভিশন সম্প্রচারে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের আশীর্বাণী বাংলাদেশ প্রতিদিনের পথচলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের আস্থার সম্পর্ক শক্তিশালী করতে রাখবে ফলপ্রসূ অবদান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর