মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

জলবসন্তের প্রকোপ

আক্রান্তদের আলাদা রাখুন

ছোঁয়াচে রোগ জলবসন্ত বা চিকেন পক্স থাবা বিস্তার করছে দেশজুড়ে। ইতোমধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন এ রোগে। একসময় প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটত গুটিবসন্তে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে গুটিবসন্ত দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে এ রোগের অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক জাতভাই জলবসন্ত এখনো প্রতি বছর থাবা বিস্তার করে। বিশেষত মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত এ মৌসুমে জলবসন্তের বিস্তার হয়। এ ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুরা বেশি এ রোগে আক্রান্ত হয়, তাই তাদের দিকে নজর রাখতে হবে। আক্রান্তকে থাকতে হবে আইসোলেশনে। যারা অন্য কোনো অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত এমন বয়স্ক ব্যক্তি এ রোগে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করলে অধিকাংশ রোগী সপ্তাহখানেকের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। চিকিৎসকদের অভিমত, সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা ও শরীর ম্যাজম্যাজ করলে জলবসন্ত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আক্রান্তের হার বেশি। হাঁচি, কাশি, থুতুর মাধ্যমে, একসঙ্গে থাকা ও খাওয়ার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। চিকেন পক্সের যে ফোসকায় জীবাণু থাকে, এটি ফেটে গিয়েও রোগ ছড়াতে পারে। রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে প্রতিদিন দু-তিন জন রোগী

ভর্তি হচ্ছেন চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন। এর মধ্যে শিশু ১৫। গত বছর প্রতিষ্ঠানটিতে চিকেন পক্সের ৩৫০ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে মৃত্যু হয় ১২ জনের। চলতি বছর ২৫০ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। জলবসন্ত বা চিকেন পক্স ছোঁয়াচে হলেও খুব একটা বিপজ্জনক নয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অন্য কোনো মারাত্মক রোগ না থাকলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। জলবসন্তের বিস্তার রোধের সর্বোত্তম উপায় হলো এ রোগে আক্রান্তকে পরিবারের অন্য সদস্য থেকে আলাদা রাখা। রোগ সারার পর তাদের বিছানাপত্র-আসবাবপত্র জীবাণুমুক্ত করা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর