রবিবার, ৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভূমিকম্পে ভয় নয়

সুরক্ষার প্রস্তুতি থাকতে হবে

বৃহস্পতিবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল রাজধানী ঢাকা। সাম্প্রতিককালে আর কোনো ভূমিকম্পে ঢাকা ও ধারেকাছের এলাকা এতটা বেশি কেঁপে ওঠেনি। সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক হলো এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী সংলগ্ন জনপদ দোহারে। ভূমিকম্পে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও রাজধানীর এত কাছে এর উৎপত্তিস্থল থাকতে পারে এমন তথ্য জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে সংঘটিত ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৩। এর উৎপত্তিস্থল রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে দোহারে। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.২। তবে পরে তা কমিয়ে ৪.৩ বলে জানানো হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। একই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা। মোবাইল ফোনের অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়্যাক সিস্টেমের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানীর মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে। কম্পন অনুভূত হওয়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের ভবন ছেড়ে সড়কে নেমে আসতে দেখা যায়। অনেকে আবার আতঙ্কিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, রাজধানীর এত কাছে এত সক্রিয় ভূ-চ্যুতি রয়েছে সেটা খুবই চিন্তার বিষয়। রাজধানীর এত কাছে এ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ইতিহাস খুবই কম। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভূতত্ত্ববিদরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশের অবস্থান ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার সন্নিকটে। বৃহস্পতিবার যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে তেমনটি অতীতেও ঘটেছে। তবে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে বিপদ অনিবার্য হয়ে উঠবে। সে কারণে রাজধানীতে বাড়িঘর নির্মাণে বিল্ডিং কোড মেনে চলতে হবে। স্মর্তব্য, চলতি বছরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ৩.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল চট্টগ্রামে ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যার উৎপত্তিস্থল ছিল পূর্ব মিয়ানমারের মাউলাউকে। ভূমিকম্পে আতঙ্কে না ভোগে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর