শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২৪ আপডেট:

গোলাম মুস্তাফা ও সুবর্ণা মুস্তাফা

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
গোলাম মুস্তাফা ও সুবর্ণা মুস্তাফা

প্যাকেজ নাটক ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে। আমি নিজে একটি নাটক তৈরির কোম্পানি খুলেছি। নাম ‘নির্বাচিতা’। কয়েকটি একঘণ্টার নাটক তৈরির পর ‘যুবরাজ’ নামে একটা সিরিজ লিখলাম ১৩ পর্বের। আমি নিজেই পরিচালক। কাজটা খুব ভালো জানি না বলে বিটিভির প্রযোজক রিয়াজউদ্দিন বাদশাকে নিয়েছি নাটকটি সুন্দরভাবে তুলে দেওয়ার জন্য। নায়িকার বাবার চরিত্রে শ্রদ্ধেয় গোলাম মুস্তাফা। শমী কায়সার তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দিলারা জামান, তৌকীর, চিত্রলেখা গুহ ওঁরা ছিলেন অন্যান্য চরিত্রে। চিত্রলেখা গুহ হয়েছেন মুস্তাফা আঙ্কেলের স্ত্রী, শমীর মা। আমরা শুটিং করছি হোতাপাড়ায়। প্রথম দিন শুটিংয়ে এসে মুস্তাফা আঙ্কেল আমাকে বললেন, ‘শোনো মিলন, তুমি চিত্রাকে আমার স্ত্রী বানিয়েছ। আরে ও তো সুবর্ণার চেয়েও বয়সে ছোট।’ সঙ্গে তাঁর জগৎ ভোলানো হাসি। এই লেখা আসলে সেই মহান অভিনেতা গোলাম মুস্তাফাকে নিয়ে। কবে, কোন সিনেমায় তাঁকে প্রথম দেখেছিলাম সে কথা বলার জন্য অনেক দূর পেছনে ফিরে যাচ্ছি। 

টিফিন পিরিয়ডে হিরা আমাকে চুপিচুপি বলল, ‘আমাদের হলে ‘চাওয়া পাওয়া’ নামে একটা সিনেমা এসেছে। এখন স্কুল থেকে পালালে ম্যাটিনিশোতে দেখা যাবে। চল, পালাই।’ আমি ভয় পেয়ে গেলাম। ‘কাল স্কুলে এলে স্যার তো ধরবেন। তখন কী করব?’ হিরা বলল, ‘এত কিছু ভাবলে স্কুল পালানো যায় না। কালকেরটা কালকে দেখা যাবে। দু-চারটা বেতের বাড়ি খেতে হলে খাব। সিনেমা দেখে একটু মার খেলে কী হয়?’ আমরা দুজন বইখাতা বগলে নিয়ে পালিয়ে গেলাম। ১৯৬৭ সালের কথা। গেন্ডারিয়া হাইস্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়ি। হিরার সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। দীননাথ সেন রোডে ওদের বাড়ি। ওর বাবা বড় ব্যবসায়ী। দুটো দামি গাড়ি সব সময় বাড়ির লনে। বছর দেড়েক আগে পোস্তগোলায় ‘ডায়না’ নামে হিরার বাবা একটা সিনেমা হল করেছেন। নতুন আধুনিক সিনেমা হল। ওই এলাকার ধারেকাছে কোনো সিনেমা হল নেই। হলটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দারুণ জমে গেছে। রোববার ছুটির দিন মর্নিংশোতে ইংরেজি সিনেমা চলে। হিরা আমাদের কখনো কখনো মাগনা সিনেমা দেখাতে নিয়ে যায়। সে মালিকের ছেলে, দাপটই আলাদা। আমরা তখনো বাজারের পয়সা চুরি করে সদরঘাটের ‘রূপমহল’ রায়সাহেব বাজারের ওখানকার ‘মুকুল’ সিনেমায় বা ওয়াইজঘাটের ‘মায়া’ হলে বড়জোড় মিডলস্টলের টিকিট কেটে সিনেমা দেখতে পারি। বেশির ভাগই দেখি ফ্রন্টস্টলে। তখন ১৬ আনায় এক টাকার হিসাব। ফ্রন্টস্টলের টিকিট ছয়আনা। ওই ছয়আনা জোগাড় করতেই পাঁচ-সাতদিন বাজার থেকে চুরি করতে হতো। ফ্রন্টস্টল হচ্ছে পর্দার একেবারে লাগোয়া। মধ্য আকাশের চাঁদ দেখার মতো মাথা তুলে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। ঘাড় ব্যথা হয়ে যায়। তারপরও সিনেমা দেখার সেই আনন্দের কোনো তুলনা হয় না। ‘মুকুল’ সিনেমা হলটির নাম বদলে ‘আজাদ’ হয়ে গেল। ‘নিশাত’ সিনেমা হলের নাম হলো ‘মানসি’। ‘নাগরমহল’-এর নামও বোধহয় বদলে গেছে। হলটি এখনো আছে কিনা জানি না। ইংলিশ রোডে ছিল। ‘মায়া’ হয়ে গেল ‘স্টার’। তার উল্টো দিকে বেশ আধুনিক কায়দায় তৈরি হলো ‘মুন’ সিনেমা। ইসলামপুরে ছিল ‘লায়ন’, আরমানিটোলায় ‘সাবিস্তান’। ‘গুলিস্তান’ সিনেমা হলের নিচের তলায় ছিল ‘নাজ’। ছোট্ট সুন্দর সেই হলটিতে সারা বছরই ইংরেজি সিনেমা চলত। গুলিস্তান এলাকা বিখ্যাতই ছিল ‘গুলিস্তান’ সিনেমা হলটির জন্য। প্রথমে বন্ধ হলো ‘নাজ’। তারপর হলো ‘গুলিস্তান’। ‘লায়ন’ সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে সেখানে কাপড়ের মার্কেট হয়েছে। ‘মুন’ হলটিও বন্ধ হয়ে গেছে। ‘রূপমহল’ বন্ধ হয়ে গেছে। ‘নাগরমহল’ বা ‘সাবিস্তান’ও বোধহয় নেই। আর আমাদের ছেলেবেলায় কী জমজমাট এসব সিনেমা হল। প্রতি শুক্রবারে নতুন সিনেমা আসে। ঘোড়ার গাড়ি কিংবা রিকশায় করে মাইকে চলে সিনেমার প্রচারণা। লিফলেট বিতরণ করা হয়। পোস্টারে পোস্টারে ভরে যায় শহরের দেয়াল। নতুন বাংলা সিনেমা এলেই সেই সিনেমার গানের বাণী কবিতার মতো করে সাজিয়ে আট পৃষ্ঠার বুকলেট বের হয়। দাম দুআনা। আমার ফজলকাকা সেই লিফলেট কিনে গান মুখস্থ করতেন। আমাকেও দুয়েকটা মুখস্থ করাতেন। যখন জিন্দাবাহারে থাকতাম তখন প্রতিমাসে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখতে যেতেন আব্বা। তখনো আমি বোধহয় স্কুলে ভর্তি হইনি। পাঁচ সাড়ে পাঁচ বছর হবে বয়স। উত্তম কুমারের ‘পৃথিবী আমারে চায়’ দেখাতে রূপমহলে নিয়ে গেছেন আব্বা। উত্তমের ঠোঁটে শ্যামল মিত্রের গান হচ্ছে ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে’। ফজলকাকা আমাকে এই গানটা কয়েক লাইন শিখিয়েছিলেন। পর্দায় উত্তম কুমারকে ওই গান গাইতে দেখে এতই উত্তেজিত হলাম, পরিবেশ ভুলে উত্তম কুমারের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইতে লাগলাম। আমরা বসেছি মিডলস্টলে মানে সেকেন্ডক্লাস। পাশ থেকে ঢাকাইয়া এক লোক ঠাট্টা করে আমাকে একটা ধমক দিল। ‘ওই পিচ্চি থাম’। একা একা প্রথম সিনেমা দেখেছিলাম ‘লায়ন’ সিনেমা হলে। সিনেমার নাম ‘হনুমান পাতাল বিজয়’। রামায়ণের কাহিনি থেকে নেওয়া। কিছুদিন আগে হঠাৎ মনে হলো উত্তম সুচিত্রার পুরনো দিনের সিনেমাগুলো আবার একটু দেখি। সাদাকালো সে সব সিনেমা কী যে মুগ্ধ হয়ে দেখলাম! ‘পৃথিবী আমারে চায়’ সিনেমার নায়িকা ছিলেন মালা সিনহা। চমৎকার সব গানে ভরা সিনেমা। দুর্দান্ত অভিনয় একেকজনের। বিনোদনে টইটম্বুর। পর পর দু’বার দেখলাম সিনেমাটা। সমান আনন্দ পেলাম।

এসব সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে একটার পর একটা সিনেমা তৈরি হচ্ছিল। সেসব সিনেমা দেখতেও হল ভেঙে পড়ত দর্শকে। আমাদের গেন্ডারিয়া হাইস্কুলের ধর্ম শিক্ষক ছিলেন ছোটখাটো অসামান্য সুন্দর দেখতে এক ভদ্রলোক। কথা বলতেন কম, পড়াতেন চমৎকার। তিনি ধর্মের মেধাবী শিক্ষক। আর তাঁর বড় ছেলে ঢাকার চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেতা শওকত আকবর। যেমন লম্বা তেমন সুদর্শন। কতদিন শওকত আকবরকে দেখার জন্য তাঁদের দীননাথ সেন রোডের বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি। ভাটিখানার ওদিককার এক গলিতে চমৎকার একটি দোতলা বাড়ি। সেই বাড়ি আলোকিত করেছিলেন নায়িকা সুচন্দা। তারপরে এলেন সুচন্দার মেজোবোন ববিতা। ববিতার ডাকনাম ছিল পপি। মনিজা রহমান গার্লস স্কুলে পড়তেন। তারও পরে এলেন এই দুই বোনের ছোটজন চম্পা। এক পরিবারের তিন কন্যার তিনজনই জনপ্রিয় নায়িকা, এ রকম ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। পরবর্তীকালে চম্পা আমার অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। ববিতাকে একদিন গেন্ডারিয়ার কথা বলাতে, পপি নামটা বলাতে তিনি খুব আনন্দিত হয়েছিলেন। গেন্ডারিয়া নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেছিলেন আমার সঙ্গে। সুচন্দাকে এক অনুষ্ঠানে বললাম, ‘কোনো কোনো দিন বিকালে বাড়ির ছাদে উঠতেন আপনি। আর আমরা আপনাকে দেখার জন্য আপনাদের বাড়ির ওদিকে ঘুরঘুর করতাম।’ শুনে তিনি খুব হাসলেন। সুচন্দা বিখ্যাত ছিলেন তাঁর চোখের জন্য। অসামান্য একজোড়া চোখ নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। এক সময় শাবানাও থাকতেন গেন্ডারিয়ার পাশের ফরিদাবাদ এলাকায়। তিনিও বোধহয় মনিজা রহমানের ছাত্রী ছিলেন। তখন তার নাম ছিল রত্না। নাদিমের সঙ্গে ‘চকোরি’ নামে একটি সিনেমা করে দর্শকদের পাগল করে দিয়েছিলেন।

সেই দুপুরে হিরা আমাকে নিয়ে গেল তাদের ‘ডায়না’ সিনেমা হলে। হাউজফুল হয়ে গেছে। সে মালিকের ছেলে। এক্সটা দুটো চেয়ার দিয়ে দোতলার ডিসিতে আমাদের বসানো হলো। ডিসিতে সিনেমা দেখা আমাদের জন্য তখন কল্পনার বাইরে। টিকিটের দাম দু বা আড়াই টাকা। বড়লোকরা ওখানে বসে সিনেমা দেখে। আমরা তো ফ্রন্টস্টলের লোক। বড়জোর মিডলস্টল। হিরা নিয়ে গেছে বলে ডিসিতে বসার সুযোগ পেয়েছি। গভীর আনন্দে ভরে আছে মন। সেই মন আরও ভালো হয়ে গেল ‘চাওয়া পাওয়া’ সিনেমাটি দেখে। সিনেমার নায়ক গোলাম মুস্তাফা। রাজপুরুষের মতো একজন মানুষ। তাঁর সৌন্দর্যে ঝলমল করে উঠল ‘ডায়না’ সিনেমা হলের পর্দা। যেমন তাঁর রুচিস্নিগ্ধ পোশাক-আশাক তেমন তাঁর হাঁটাচলা, তেমন তাঁর কথা বলা। সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ একজন অভিনেতা। অসম্ভব সুন্দর বাংলা-ইংরেজি উচ্চারণ। বেশ কয়েক দিন আচ্ছন্ন হয়ে থাকলাম এই সিনেমা দেখে। বিশেষ করে গোলাম মুস্তাফাকে দেখে। চোখ থেকে তাঁকে যেন সরাতেই পারি না। এই জীবন আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। তখন ভুলেও কল্পনা করিনি এই মহান অভিনেতার সঙ্গে একদিন পরিচয় হবে। আমার অনেক সামান্য টিভি নাটক তাঁর অসামান্য অভিনয়গুণে সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে আর তাঁর কন্যা সুবর্ণা মুস্তাফা হবে আমার প্রিয়তম বন্ধু! সুবর্ণাকে একটা বই উৎসর্গ করে লিখেছিলাম- ‘তোমার তুলনা তুমি’। সুবর্ণার তুলনা সত্যি সুবর্ণা। এ বয়সেই সে অভিনয় জগতের কিংবদন্তি-যেমন কিংবদন্তি হয়ে আছেন তার পিতা গোলাম মুস্তাফা। পিতা ও কন্যা একই জগতে কাজ করে এ পর্যায়ে ওঠার ইতিহাস জগতে বিরল।

সেই সাতষট্টি সালের পর থেকে কত সিনেমায় যে গোলাম

মুস্তাফাকে দেখেছি! একেক সিনেমায় একেক রকমের চরিত্র। অসামান্য এক চরিত্রে অভিনয় করলেন ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায়। কী শহরের উচ্চবিত্ত চরিত্রের অভিনয়, কী ভিলেন, কী গ্রামের জমিদার, কী নায়ক বা নায়িকার পিতা বা বড় ভাইয়ের চরিত্র, ধীরে ধীরে অনুভব করলাম গোলাম মুস্তাফা শুধু সিনেমা বা নাটকের তথাকথিত নায়ক হওয়ার জন্য জন্মাননি। তিনি একজন সম্পূর্ণ অভিনেতা। চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে মুহূর্তকাল সময়ও লাগে না। আমাদের কিশোর বয়স থেকে অন্তত পঞ্চাশ-বায়ান্ন বছর গোলাম মুস্তাফার অভিনয় আমি সিনেমা আর টিভি নাটকে দেখেছি। কখনোই মনে হয়নি যে এই মহান অভিনেতার অভিনয় একঘেয়ে হয়ে গেছে। বড়পর্দা ছোটপর্দা যেখানেই তিনি উপস্থিত হয়েছেন, জায়গাটা আলোকিত হয়ে গেছে। প্যাকেজ নাটকের দ্বিতীয় নাটকটিই ছিল আমার লেখা। নাটকের নাম ‘কোথায় সে জন’। শমী কায়সার যমজ মেয়ের অভিনয় করেছিলেন। পরিচালক ছিলেন শহীদুল হক খান। এই নাটকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়কার এক গ্রাম্য ডাক্তারের ছোট্ট একটি চরিত্র করেছিলেন গোলাম মুস্তাফা। যে কোনো রোগী দেখে প্রথমেই তিনি বলেন, ‘আরে তুই তো বাঁচবি না, তুই তো মরে যাবি।’ তারপর চিকিৎসা করে তাকে সারিয়ে তোলেন। ছোট্ট চরিত্র। কিন্তু তাঁর অসামান্য অভিনয়টুকুর কথা এই জীবনে আমি কখনো ভুলবো না। আমার ‘রূপনগর’ ধারাবাহিকে শহীদুজ্জামান সেলিমের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বোধহয় প্রথম পর্বেই বন্ধুদের হাতে খুন হয়ে যায় শহীদুজ্জামান সেলিম। তারপর একমাত্র পুত্র হারানো পিতার যে আর্তি গোলাম মুস্তাফা ফুটিয়ে তোলেন তা অনন্য।

কত পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন গোলাম মুস্তাফা। রবীন্দ্রনাথ, শেকসপিয়র, নজরুল, জীবনানন্দ দাশ থেকে শুরু করে শামসুর রাহমান, শহীদ কাদরী বা রফিক আজাদ বা নির্মলেন্দু গুণ, ওপার বাংলার শঙ্খঘোষ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পাঠ করে তিনি মঞ্চ কাঁপিয়ে দিতেন। আবৃত্তি শিল্পে তিনি ছিলেন একক। ও রকম ভরাট ও আকর্ষণীয় আবৃত্তি শুধু তাঁকেই মানাত। শেকসপিয়র থেকে অবিরাম মুখস্থ বলে যেতে পারতেন। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুখস্থ বলে যেতেন। রেডিও নাটকেও ছিল তাঁর অসামান্য অবদান। এই মহতী শিল্পীর কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক মহিরুহ ছিলেন তিনি। এই অঙ্গনের অনেকখানি জায়গা একাই দখল করে রেখেছিলেন। তাঁর কন্যা সুবর্ণা মুস্তাফা আমার বন্ধু। আমি খুব গৌরব বোধ করি যখন ভাবি গোলাম মুস্তাফার কন্যা আমার বন্ধু। মুস্তাফা আঙ্কেল যখন বনানীর বাড়িতে থাকেন তখন অনেকবার গিয়েছি সেই বাড়িতে। সুবর্ণার বন্ধু হিসেবে কী যে স্নেহ করতেন আমাকে! আমার লেখালেখি নিয়ে কথা বলতেন। চা খেতে খেতে নিজের ফেলে আসা দিনের কথা বলতেন। সুবর্ণার মা ছিলেন বিদুষী নারী। রেডিওর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। অভিনয় জগতেও ছিল তাঁর পদচারণা। এত শান্ত নম্র আর ব্যক্তিত্বময়ী আমি খুব কম দেখেছি। তাঁর বাড়িতে গেলেই কিছুক্ষণের জন্য এসে গল্প করে ভিতরে চলে যেতেন। চা-নাশতা পাঠাতেন। সুবর্ণা তার বাবাকে ‘বোবা’ বলে ডাকত। আর আমাদের কাছে তিনি মুস্তাফা আঙ্কেল। কী যে বন্ধুত্ব ছিল বাপ মেয়ের! নিজ চোখে না দেখলে তা বোঝা যাবে না।

মুস্তাফা আঙ্কেল চলে গেছেন অনেকগুলো বছর হয়ে গেল। আমিও নাটক লেখার জগৎ থেকে সরে এসেছি। রিয়াজউদ্দিন বাদশা চলে গেছেন অল্প বয়সে। ফরীদি চলে গেছে। আমরা টেলিভিশনের জন্য যে নাটকের জগৎ তৈরি করেছিলাম সেই জগৎটা বিষণœ হয়ে গেছে। টেলিভিশনে আমার প্রথম নাটক ছিল ‘মায়াকানন’। তখনকার জনপ্রিয়তম জুটি সুবর্ণা আর আফজাল অভিনয় করল। তার পরের নাটক ‘সখা তুমি সখী তুমি’।

এখানেও নায়িকা সুবর্ণা। তার বিপরীতে হুমায়ূন ফরীদি। আমার ধারাবাহিক ‘বারো রকম মানুষ’ সুবর্ণার অভিনয়গুণে জনপ্রিয়তার চূড়ান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময়কার দর্শক এখনো ‘বারো রকম মানুষ’-এর কথা বলে। বিটিভির ফ্লোরে ‘বারো রকম মানুষ’-এর শুটিং চলছে। সুবর্ণার শট নেওয়া হচ্ছে। সেটে কে একজন খুব বকবক করছে। সুবর্ণা অভিনয় থামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘মিলন, ওটাকে ধরে গান্ধীপোকা আর নিমপাতা বেটে খাইয়ে দে।’ গান্ধীপোকা এবং নিমপাতা বাটার কম্বিনেশন, এ রকম ক্রিয়েটিভ চিন্তা সুবর্ণা মুস্তাফার পক্ষেই করা সম্ভব। আর সুবর্ণা হলো পরিষ্কার কথার মানুষ। স্পষ্টবাদী বলতে যা বোঝায়, তাই। ওর কথা শুনে কে খুশি হলো বা দুঃখ পেল তাতে সুবর্ণার কিছুই যায় আসে না। হুমায়ূন আহমেদের ধানমন্ডির বাড়ির গৃহপ্রবেশ হচ্ছে। সন্ধ্যাবেলা ছাদে আয়োজন। অনেকের সঙ্গে সুবর্ণা আর আমি পাশাপাশি বসে আছি।  পানাহার চলছে। একজন একটা হুইস্কির গ্লাস নিয়ে আমাকে খুব জোরাজুরি করছিলেন। আমি হুইস্কি খাই না। বেশ কয়েকবার বলার পরও তিনি থামছিলেন না। তিনিও একজন পরিচিত মানুষ। সুবর্ণা তাঁকে চেনে। এক পর্যায়ে সে খুবই বিরক্ত হলো। আমার দিকে তাকিয়ে, সেই লোককে শুনিয়ে কঠিন উচ্চারণে বলল, ‘মিলন, এই গরুটা কে রে?’

২০১৯-এ সুবর্ণা আর আমি ‘একুশে পদক’ পেলাম। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সুবর্ণাকে বিশেষ স্নেহ করেন। স্টেজে সুবর্ণা তাঁকে বললেন, ‘আপা, আমি আর মিলন বহু দিনের বন্ধু।  আমরা আপনার দুপাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে চাই।’ সেই ছবি আমি বাঁধিয়ে রেখেছি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো সময় ছবিটির দিকে তাকাই। মুস্তাফা আঙ্কেলের কোনো ছবি আমার কাছে নেই। তবে তাঁর অনেক ছবি আমি আমার মনের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখেছি। এই অমর অভিনেতার জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

                লেখক : কথাসাহিত্যিক ও প্রধান সম্পাদক, কালের কণ্ঠ

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

১৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

২৩ মিনিট আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

২৫ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি
ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু
শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা
টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান

৩৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু
নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন
কেরানীগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

৩১ দফার ভিত্তিতে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তোলা হবে: দুলু
৩১ দফার ভিত্তিতে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তোলা হবে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পর্যটকের মোমবাতির আগুনে পুড়ল চীনের জনপ্রিয় পাহাড়ি মন্দির
পর্যটকের মোমবাতির আগুনে পুড়ল চীনের জনপ্রিয় পাহাড়ি মন্দির

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেখা যায়নি জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ
দেখা যায়নি জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নাটোরে উদ্ধারের পর শতাধিক পাখি অবমুক্ত
নাটোরে উদ্ধারের পর শতাধিক পাখি অবমুক্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবির শেরে বাংলা হলে ফাটল, শিক্ষার্থীদের নবনির্মিত হলে স্থানান্তর
রাবির শেরে বাংলা হলে ফাটল, শিক্ষার্থীদের নবনির্মিত হলে স্থানান্তর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বগুড়ায় বিএনপির নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় বিএনপির নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা