শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ আপডেট:

পারলে শেখ হাসিনাই পারবেন

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
পারলে শেখ হাসিনাই পারবেন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনা ৪২ বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন। এর মধ্যে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত প্রথম এবং ২০০৯ সাল থেকে টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ জানুয়ারি শপথ নিয়েছেন। তার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ নির্মাণের পথে আমরা আরেকটি ধাপ অতিক্রম করলাম। কিন্তু সামনের পথ এখনো অনেক লম্বা এবং কণ্টকাকীর্ণ। তাই এগোনোর জন্য সামনের সঙ্গে পেছনের কথাও সর্বদা স্মরণে রাখতে হবে। পঁচাত্তরের শত্রুরা এখনো সক্রিয় এবং শক্তিশালী। রাজনীতির ধ্রুপদী লক্ষ্য জনকল্যাণ সাধন। কিন্তু রাষ্ট্র ও রাজনীতি ঠিক না হলে জনকল্যাণ হয় না। সে পথে অনেক বহুমুখী ফ্যাক্টর কাজ করলেও সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর রাজনৈতিক নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেছেন, ‘ভুল করে নেতারা, আর তার খেসারত দেয় জনগণ।’ রাজনীতির শীর্ষ নেতৃত্ব সঠিক হলে উত্তাল সমুদ্র ও দুর্গম পাহাড়সম বাধা পেরিয়ে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়, যার উজ্জ্বল উদাহরণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর অসীম ত্যাগ ও নৈতিক সাহস এবং দিগন্তহীন দূরদৃষ্টির ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ২৩ বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি বিশাল প্রেক্ষাপট ও শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেন, যার ওপর দাঁড়িয়ে মাত্র ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায়, এমন উদাহরণ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। প্রেক্ষাপট ও ভিত্তি শক্তিশালী এবং পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল বলে তা সম্ভব হয়েছে, যার সবকিছুই করেছেন বঙ্গবন্ধু। তাই ইতিহাসের সত্য এই, গত শতকের ষাট দশকের মধ্যভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে না এলে বাংলাদেশ কোনো দিন স্বাধীন হতো না। এজন্য বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। ঠিক একইভাবে ১৯৭৫ সালের পর দুই সামরিক শাসকের হাত ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্র রাজনীতিতে যা ঘটেছে তাতে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে না আসতেন, তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায় বাংলাদেশ আজ আরেকটি পাকিস্তান, আর নয়তো আফগানিস্তানের মতো একটি রাষ্ট্র হতো। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত মূল্যবোধ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লাখ মানুষের জীবন বিসর্জনের সবকিছু বহমানতা হারিয়ে ইতিহাসের কবরস্থানে চলে যেত। এসবের সামান্যতম মূল্য এ দেশে থাকত না। এই যে আবার এর সবকিছু এখন তরুণ প্রজন্মের মনের গহিনে প্রচন্ড স্রোতের মতো বহমান তার সব কৃতিত্ব শেখ হাসিনার।

এ জগতে কোনো কিছুই একতরফা নয়, সবকিছুই তুলনামূলক। ভালোর থেকেও আরও ভালো আছে এবং খারাপের থেকেও আরও খারাপ থাকে। তাই ৪২ বছরে শেখ হাসিনার রাজনীতি থেকে বাংলাদেশের মানুষ কী পেয়েছে তার যথার্থ মূল্যায়ন করতে হলে কত বড় চ্যালেঞ্জ ও কত বড় বিপদসংকুল পরিস্থিতি তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে সেটি প্রথমে উপলব্ধি করা প্রয়োজন। প্রথমত, শেখ হাসিনা যখন নেতৃত্ব নিলেন তখন আওয়ামী লীগ বহুভাগে বিভক্ত। কেউ কেউ আবার সামরিক শাসকের লেজুড় ধরেছেন। দ্বিতীয়ত, দুই সামরিক শাসক মুক্তি-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য, চিন্তা-চেতনা, আদর্শ, দর্শন ইত্যাদি সবকিছুকে প্রায় কবরস্থ করে ফেলেছেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়াটাও ছিল কঠিন কাজ। একাত্তরে পরাজিত এ দেশের জামায়াত, মুসলিম লীগসহ সবাই রাষ্ট্র ও রাজনীতির সর্বত্র জেঁকে বসেছেন। প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, এমপিসহ এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ নেই, যা ওই পরাজিত পাকিস্তানিপন্থিরা দখল করেনি। আর এর সবকিছুর সুযোগ করে দিয়েছেন দুই সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদ। দুই সামরিক শাসকের কারণে সামরিক বাহিনী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলারের বদৌলতে দুই সামরিক শাসক ধর্মান্ধ উগ্রবাদীদের শুধু রাজনীতিতে এনেছেন তা নয়, কট্টর ওয়াহাবিপন্থি কওমিসহ হাজার হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের সবার একমাত্র মিশন শহর ও গ্রামগঞ্জে সর্বত্র সব পন্থায় এই মর্মে প্রচার চালানো যে, আওয়ামী লীগ হলো হিন্দু ভারতের দালাল এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের সবকিছু ইসলাম ধর্মবিরোধী ও বেদাত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইসলাম ধর্ম থাকবে না ইত্যাদি। মাদরাসার লাখ লাখ শিক্ষক-ছাত্রকে রাস্তার রাজনীতিতে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যার প্রত্যক্ষ উদাহরণ আমরা সে সময় থেকে দেখে আসছি এবং এখনো দেখছি। রাজনীতি চলে যায় হোল্ডা-গুন্ডা আর মানি ও মাসলের কবজায়। সুস্থ মূল্যবোধ ও সৎ মানুষের রাজনীতিকে বিদায় দিয়ে প্রথম সামরিক শাসক জিয়া ঘোষণা দেন, তিনি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে দেবেন। বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। সৎ ও মেধাবী মানুষ রাজনীতি থেকে চলে গেছেন। এটা নিয়ে এখনো আমরা আফসোস করি। স্বাধীনতা প্রাপ্তির শুরুতে বঙ্গবন্ধুর সময় বার্ষিক শতকরা ৭.৫ ভাগ প্রবৃদ্ধির বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে যে রাষ্ট্রের যাত্রা শুরু হয়, সেই রাষ্ট্র দুই সামরিক শাসকের জাঁতাকলে পড়ে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্রতম সম্ভাবনাহীন দেশে পরিণত হয়। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নেমে আসে শতকরা ৩ ভাগে। জনকল্যাণ নয়, ধর্মীয় উন্মাদনা ও চরম সাম্প্রদায়িকতাকে অবলম্বন করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে ধরে রাখাই হয় সামরিক শাসকদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য ভূমিকা রাখা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। কিন্তু বিপরীতে গণহত্যাকারী পাকিস্তানের সঙ্গে দৃষ্টিকটুভাবে দহরম-মহরম শুরু হয়ে যায়। তারপর দেশের প্রায় এক-দশমাংশ এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করে। ভ্রাতৃঘাতী রক্তক্ষরণে প্রতিদিনই বাংলাদেশের পবিত্র মাটি রক্তে রঞ্জিত হতে থাকে। খুবই সংক্ষিপ্তভাবে ওপরে কিছু বিষয়ের উল্লেখ করলাম, শুধু বিবেচনায় রাখার জন্য যে, কী রকম একটা ভয়াবহ অবস্থা ও পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পদার্পণ করেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা। তিনি রাজনীতিতে পদার্পণ করার সঙ্গে সঙ্গে দুই সামরিক শাসক ও তাদের উত্তরসূরি এবং একাত্তরের পরাজিত ও পঁচাত্তরের পর পুনরুত্থিত গোষ্ঠীগুলো উপলব্ধি করেছে তাদের রাজনীতি আবার পরাস্ত হবে যদি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সফল হন। তাই সংগত কারণেই ওইসব সম্মিলিত পক্ষের টার্গেটে পরিণত হন তিনি। সে কারণেই ১৯ বার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়, যার ভয়াবহ একটি উদাহরণ ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। বাংলাদেশে তো আরও নেতানেত্রী আছেন, অনেকেই প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। তাদের হত্যাচেষ্টার কথা তো একবারও শোনা যায় না, কারও গায়ে তো একটা টোকাও এ পর্যন্ত লাগেনি। তাই সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠে কীসের জন্য এবং কারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেছে ওরা কে বা কারা। আদালতে প্রমাণ হয়েছে এর সঙ্গে জড়িত বিএনপি-জামায়াত, ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তানের জঙ্গি মজিদ ভাট ও আবদুল মালেক ফাঁসির দন্ড মাথায় নিয়ে এখন বাংলাদেশের কারাগারে। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করি। একটু গভীরে প্রবেশ করলে বোঝা যায় ভদ্রবেশী একশ্রেণির সুশীল, যারা নিরপেক্ষ ছদ্মবেশ ধারণ করে চললেও শেখ হাসিনার প্রচন্ড বিরোধী। দেশ গোল্লায় গেলেও তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এদের বৈদেশিক কানেকশন খুবই শক্তিশালী। তবে এরকম একটি সুবিধাবাদী শ্রেণি সব যুগেই বাংলাদেশে ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতে থাকবে। তাই এদের সম্পর্কে দেশের মানুষের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এদের চেনার একটা সহজ উপায় আছে। একটি বড় রাজনৈতিক দল জাতির পিতাকে অস্বীকার ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে অমান্য করে রাজনীতি করছে, অথচ এ সম্পর্কে সুশীল নিরপেক্ষদের কোনো বক্তব্য নেই, বরং তাদের এই অধিকার, সেই অধিকার নিয়ে খুবই সোচ্চার। তারা সুশীল ও ভদ্রলোকের ছদ্মবেশে কথার ফুলঝুরিতে দেশপ্রেমিক সাজেন। অথচ ঝড়-তুফান, সাইক্লোন-বন্যার সময় তাদের কখনই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় না। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক শক্তিগুলোকে খেপিয়ে তোলার জন্য তারা অসত্য তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে সভা-সেমিনার করে থাকেন এবং তার ব্যাপক প্রচার চালান। যে কোনো জাতীয় উদ্যোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে হতাশা ছড়ান। যেমনটি দেখা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়। জঙ্গি সন্ত্রাস দমনে শেখ হাসিনার সাফল্য এখন বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। অথচ তখন তারা উঠেপড়ে প্রচার চালিয়েছেন, সভা-সেমিনার করেছেন, বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডেকে এনে বলিয়েছেন, জঙ্গি দমন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই বিদেশি শক্তির সাহায্য নেওয়া উচিত। এটা দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কত বড় চক্রান্ত ছিল তা ভাবলে শঙ্কিত হতে হয়। আবার ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা যখন বানের পানির মতো বাংলাদেশে ঢুকতে থাকে, তখন তারা সভা-সেমিনার করে উসকানি দিয়েছে যাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা সামরিক সংঘর্ষ বেধে যায়। ২০০৯ সালে পিলখানার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও একই রকম দেখেছি, একটি পক্ষ এমন উসকানি দিয়েছে যাতে দেশব্যাপী বাহিনীগুলোর মধ্যে একটা অনিয়ন্ত্রিত সংঘর্ষ বেধে যায় এবং সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। রোহিঙ্গা ও পিলখানা, দুটো ঘটনাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম ধৈর্য ও দারুণ দূরদৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ দুটি ভয়াবহ রক্তক্ষরণ থেকে বেঁচে যায়।

এত সময় যে বর্ণনা দিলাম সেগুলো বিবেচনায় রেখে বলতে গেলে বলতে হবে- ৪২ বছরে শেখ হাসিনার রাজনীতির ফলে বাংলাদেশের যা অর্জন তা এক কথায় দৃষ্টান্তহীন। প্রথমত, একটা জাতির এগিয়ে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় সম্পদ তার সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য। পঁচাত্তরের পর এই সম্পদকে পরিপূর্ণভাবে কবর দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এখন সবকিছু আবার রাষ্ট্রের মূল স্রোতে ফিরে এসেছে। তরুণ প্রজন্ম তাতে উজ্জীবিত ও উদ্বুদ্ধ। এ তরুণরাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ভূমিকাতেই সামরিক শাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। তা না হলে পাকিস্তানের মতোই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সামরিকতন্ত্রের কবলে পড়ে থাকত বাংলাদেশ।

তৃতীয়ত, যে কোনো গণতান্ত্রিক জনসম্পর্কিত রাজনৈতিক দল একটা রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ও স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। পঁচাত্তরে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হওয়া আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করে শক্তিশালী এক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। পাঁচবার নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী দলকে ক্ষমতায় এনেছেন। চতুর্থত, জাতির পিতার হত্যাকান্ড ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে একদিকে যেমন রাষ্ট্রকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন, তেমনি প্রতিষ্ঠা করেছেন জাতি-রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ করে কেউ রক্ষা পাবে না। সামরিক শাসক কর্তৃক রুদ্ধ হওয়া আইনের শাসনের পথকে খুলে দিয়েছেন। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নয়, প্রচলিত আদালতে জাতির পিতা হত্যাকান্ডের বিচার করে প্রমাণ দিয়েছেন তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বাংলাদেশকে বের করতে চান। তারপরও বিএনপি-জামায়াত তাকে হত্যা করার জন্য চরম প্রতিহিংসার পথ বেছে নেয়। পঞ্চমত, যে দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা বিদেশে রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে পত্রিকায় কলাম লিখেন শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশকে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। ষষ্ঠত, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দুর্দিনের পরীক্ষিত বন্ধু ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে তলানি থেকে আবার একাত্তরের পর্যায়ে উন্নীত করেছেন। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে যুগের পর যুগ জিইয়ে থাকা সমুদ্র সীমানার দ্বন্দ্ব মীমাংসার ফলে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসম্পদের ওপর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা এক অসাধারণ জাতীয় অর্জন।

সপ্তম, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা আজ কোথায় উঠেছে তার কিছু প্রতীকী দৃশ্য গত বছর দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখা গেছে এবং বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রতি বছর দেখা যায়। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা যে ভূমিকা রেখেছেন তার সমান্তরাল কিছু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। সে কারণেই ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর চক্রান্ত ষড়যন্ত্রসহ সব অপচেষ্টা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীলতার কাছে পরাস্ত হয়েছে। ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডাইরেক্টর।  কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে এমন মন্তব্য আগে কখনো শোনা যায়নি। এত কিছুর পরও বড় দুটি বাধা এখনো বাংলাদেশের সামনে দন্ডায়মান। প্রথমটি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনীতি, যারা জাতির পিতাকে অস্বীকার ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে প্রত্যাখ্যান করে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দেশব্যাপী ধর্মান্ধতার বিস্তার। তবে এই দুটি অপশক্তি আবার পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত। তাই বাংলাদেশের প্রধান শত্রু মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনীতির অবসান ঘটলে বাংলাদেশের আকাশ থেকে সব কালো মেঘ কেটে যাবে এবং চলমান অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু কাজটি অবশ্যই কঠিন। অনেক কঠিন কাজ ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর মেয়ের হাত ধরে হয়ে গেছে। তার অসাধারণ উদ্ভাবনী শক্তি ও সক্ষমতা আছে। তাই মানুষ মনে করে এ কাজটিও পারলে শেখ হাসিনাই পারবেন।

 

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
সর্বশেষ খবর
ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন
ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন

৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার
অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা
পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত
রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’

২৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ
বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে খাদে পড়ে প্রাণ গেলো পর্যটকের
বান্দরবানে খাদে পড়ে প্রাণ গেলো পর্যটকের

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর

৪৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মাইজভান্ডারী তরিকার মূল শিক্ষা মানবকল্যাণ : কাদের গনি
মাইজভান্ডারী তরিকার মূল শিক্ষা মানবকল্যাণ : কাদের গনি

৪৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিহার বিধানসভায় এনডিএর জয়যাত্রা, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়
বিহার বিধানসভায় এনডিএর জয়যাত্রা, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২২

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে: যুবদল নেতা শাহেদ
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে: যুবদল নেতা শাহেদ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদের র‌্যালি
নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদের র‌্যালি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মোহাম্মদপুরে গোপন কারখানায় পুলিশের অভিযান, বিপুল ককটেল উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে গোপন কারখানায় পুলিশের অভিযান, বিপুল ককটেল উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬০
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬০

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত মেয়েরা বেকার থাকবে না: তৃপ্তি
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত মেয়েরা বেকার থাকবে না: তৃপ্তি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে জহির উদ্দিন স্বপনকে জয়ী করার আহ্বান বিএনপি নেতার
বরিশালে জহির উদ্দিন স্বপনকে জয়ী করার আহ্বান বিএনপি নেতার

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভালুকায় হেমন্তের কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত
ভালুকায় হেমন্তের কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করা মোনাফেকি: টুকু
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করা মোনাফেকি: টুকু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলা বন্দর আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি বিএনপি নেতার
মোংলা বন্দর আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি বিএনপি নেতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

৪ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা

২০ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা, জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির
১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা, জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ

সম্পাদকীয়

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক ধারায়  ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন