শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ আপডেট:

ইন্দিরা গান্ধী ও আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
ইন্দিরা গান্ধী ও আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সাধারণত আমাদের অভিজ্ঞতা ও সামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় মতবাদ ও দলের জন্ম হয়। অতীতের ইতিহাস আলোচনা করলেই আমরা তা বুঝতে পারি। ইংল্যান্ডের সাধু বার্থলোমিউকে হত্যা করার ফলে সেখানকার মানুষের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, সেই সঙ্গে রাজার স্বৈরতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ ও চার্চের ধর্মান্ধমূলক আচরণের মোকাবিলায় সেখানে ১৬৭৮ খিস্টাব্দে হুইগ মতবাদ (ইংল্যান্ডের একটি রাজনৈতিক মত) গড়ে ওঠে। এ হুইগ পার্টির একজন সফল ও বিখ্যাত নেতা ছিলেন রবার্ট ওয়ার্লপোল। যিনি ১৭২১ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুকাল আগে দুর্নীতির এক মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে টাওয়ার অব লন্ডনে বন্দি করে রাখা হয়। তার এ জেলজীবন স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ছয় মাস। কারাবাসকালীনই হু হু করে বাড়তে শুরু করে তার জনপ্রিয়তা। ইংল্যান্ডের জনগণের কাছে তিনি প্রতিভাত হতে থাকেন একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে। তুখোড় বক্তা ও প্রজ্ঞাবান এ রাজনীতিবিদ ১৭২১ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, ওয়ালপোলের সেই ছয় মাসের কারা নির্যাতনের কারণেই নাকি জনগণের কাছে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা অসম্ভব রকম বেড়ে যায়।

১৬৮৮ সালে ইংল্যান্ডের সাধারণ মানুষ শাসকের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ইতিহাস সেই বিপ্লবকে ‘গৌরবময় বিপ্লব’ বলে অভিহিত করে। দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘হব্স’ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার নিজস্ব মতবাদ প্রচার করতে চেষ্টা করেন। দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘লক’ প্রচার করেন যে, সাধারণ মানুষ শাসকের প্রতি অনুগত না হলে তারা শাসনক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে বলেননি একজন স্বৈরশাসক কতদিন পর্যন্ত জনগণের সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর এ কারণেই দেখা যায় বেনিটো মুসোলিনি, অ্যাডলফ হিটলার, স্ট্যালিন, ইদি আমিন, কম্বোডিয়ার স্বৈ^রশাসক পলপট, নিকোলাই চচেস্কু, সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি প্রভৃতি স্বৈ^রশাসক ক্ষমতায় ছিলেন ১০ থেকে ২০-৩০ বছর পর্যন্ত; কিন্তু এখানে উল্লেখ্য যে, এসব স্বৈ^রশাসকের কারোরই শেষ পরিণতি সুখকর ছিল না। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আমাদের এ উপমহাদেশের রাজনীতিবিদদের এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।  

আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি দিক হচ্ছে- রাজনৈতিক অপহরণ। বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি শুরু হয় ১৯৭২ সালের পর থেকে। ১৯৭২ সালের পরবর্তী সময়ে জাসদের অনেক নেতা গুমের শিকার হয়েছিলেন। তবে এ উপমহাদেশে গুমের সংস্কৃতি প্রথম চোখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। ষাট-সত্তরের দশকে পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির উত্থানের সময়, সে সময়ের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি কমিউনিস্ট পার্টির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করেছিল। তবে গুম সংস্কৃতির আদি নিবাস ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে। সেখানকার স্বৈ^রশাসকরা ত্রিশের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশক পর্যন্ত বিরোধী মতের শত সহস্র নেতা-কর্মীকে গুম করেছিল। এ জন্য ২০০০ সালের দিকে চিলির প্রাক্তন স্বৈ^রশাসক লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া পিনোশেকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এই যে গুমের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার কিন্তু আমরা এ সংগঠনগুলোকে বাহবা না দিয়ে বরং মাঝেমধ্যে এগুলোর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যে মেতে উঠি। অথচ আমরা একটিবারের জন্যও ভাবী না এ সংগঠনগুলো কত পরিশ্রম ও ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল। এই যে অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কথাই ধরুন। কেউ গুম হলে আমরা চুকচুক করে আহাজারি করি, কিন্তু এর প্রতিকারে কেউ এগিয়ে আসি না। গুমের শিকারে আক্রান্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়াই না। তবে এ লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এগিয়ে আসেন। তাদেরই একজন ছিলেন ব্যারিস্টার পিটার বেনেনসন।  

তখন পর্তুগালে স্বৈরতন্ত্রী নেতা সালাজারের শাসন। দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হওয়ার পরও দুটি ছেলে কোনো সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে পড়েনি। শুধু একটি রেস্টুরেন্টে বসে দুজনে যখন পান খাচ্ছিল সে সময় দুজনে তাদের পানপাত্র ঠেকিয়ে নিজেদের মধ্যে বলেছিল- ‘সালাজারি দুঃশাসনের অবসান কামনায় চিয়ার্স।’ পাশের টেবিলে বসা কোনো গোয়েন্দা বা চরের কানে গিয়েছিল কথাটা। তারা যথাস্থানে রিপোর্ট করেছিল। পরদিনই ছেলে দুটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের এক আইনজীবী পিটার বেনেনসন এক সকালে খবরের কাগজ খুলে দেখেন পর্তুগালের রাজধানী নিসবন শহরে দুটি কলেজের ছাত্রকে পুলিশ দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এ ছোট্ট খবরটি পিটার বেননসনের মর্মে গিয়ে বিঁধেছিল। তিনি ভেবেছিলেন শুধু সালাজারের পর্তুগালে কেন? এমন ঘটনা তো সব দেশেই ঘটছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকেও প্রতিনিয়ত এমন খবর আসে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনগণের নেতাই ক্ষমতায় গিয়ে রাতারাতি পাল্টে যান। তখন সরকারের সামান্যতম সমালোচনাও তিনি বরদাশত করতে পারেন না। তার ক্ষমতার পথ নিরঙ্কুশ করার জন্য তিনি বিরোধীদের পুলিশ লেলিয়ে দেন। বিনা বিচারে বন্দি করে রাখেন। ক্ষমতায় কে কীভাবে আসছেন, ব্যালটে কিংবা বুলেটের মাধ্যমে সেটা বড় কথা নয়। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের অধিকার তারা একইভাবে লঙ্ঘন করছেন এটাই বড় কথা। ক্ষমতায় আসীন কিছু মানুষ বৃহত্তর মানব সমাজকে ভয় অথবা নানা লোভ দেখিয়ে নিজেদের তাঁবেতে রেখে দিয়েছে এটাই খুব ভয়ানক কথা।

পিটার বেনেনসন ঠিক করেন তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তৈরি করবেন যারা রাষ্ট্রের এ স্বৈরাচারী প্রবণতার বিরুদ্ধে জনমত সংগ্রহ করবে। না, কোনো গুপ্ত সন্ত্রাসী আন্দোলন নয়, সুশীল সমাজের কাছে শুধু তারা প্রমাণসহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর স্বৈরাচারের বিবরণগুলো তুলে ধরবে। তিনি ওই উদ্দেশেই তৈরি করেন Amnesty International. আজ যার শাখা-প্রশাখা সারা বিশ্বে বিস্তৃত। মূল দফতর লন্ডনে। বাংলাদেশের রাজনীতির আরেকটি দিক হচ্ছে- একটি দলকে নিজে এককভাবে কুক্ষিগত করা। শুধু কুক্ষিগত করেই ক্ষান্ত হন না তারা। বরং যোগ্য নেতাদের টপকে নিজেই হয়ে ওঠেন সেই দলের সর্বসেরা। সেই দলের মধ্যে তার জনসমর্থন আছে কি নেই সেটা বিবেচ্য নয়। এ সংস্কৃতিগুলোও এসেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। নেহরুর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল (উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) যতদিন বেঁচেছিলেন (১৯৫০, ডিসেম্বর) ততদিন নেহরুর সঙ্গে তার চুলোচুলি লেগেই ছিল। তেমনি প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্র প্রসাদের সঙ্গেও নেহরুর বনিবনা ছিল না। ১৯৫০ সালে প্যাটেলের প্রার্থী পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন কংগ্রেস সভাপতি হন, নেহরু সেটি পছন্দ করেননি। ১৯৫০ এর ডিসেম্বরে প্যাটেলের মৃত্যু হলে নেহরু একরকম জোর করে ট্যান্ডনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন ও নিজেই সভাপতি হয়ে বসেন। নেহরু কড়া হাতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে হাতে রেখে দিয়েছিলেন। ষাটের দশকে তিনি বিভিন্ন রাজ্য থেকে চারজন বিশ্বস্তকে বাছাই করে ওয়ার্কিং কমিটিতে নিয়ে আসেন (১৯৬৪)। ১৯৬৩ সালে তামিলনাড়ু কংগ্রেস নেতা, কামরাজ নাদারকে (তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) নিখিল ভারত কংগ্রেসের সভাপতি করেন। কামরাজ ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও স্বল্প কথার মানুষ। তার সম্পর্কে ঝোক আছে তিনি সবার কথা শুনতেন ও উত্তরে একটা কথাই বলতেন : পাক্কালাম-অর্থাৎ দেখা যাবে, বা দেখছি কী করা যায়।

ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে নেহরুকন্যা ইন্দিরাও কম যাননি। কট্টর গান্ধীবাদী হওয়া সত্ত্বেও মোরারজি দেশাই, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই (১১ জানুয়ারি ১৯৬৬) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হয়ে বসেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবিদার ছিলেন সাতজন। মোরারজি দেশাই, ইন্দিরা গান্ধী, ওয়াই বি চ্যবন, এস কে পাতিল, সঞ্জীব রেড্ডি ও কামরাজ নাদার। লালবাহাদুরের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবন জানান, এ পদের তিনি যোগ্যতম দাবিদার। দুই দিন পরে মঞ্চে হাজির হতে থাকেন উত্তরাধিকারের আরও দাবিদাররা। মোরারজি দেশাই, গুলজারিলাল নন্দ, এস কে পাতিল। সঞ্জীব রেড্ডি ও কামরাজ নাদার স্বয়ং কামরাজকে এক কথায় উড়িয়ে দিলেন সিন্ডিকেটের কর্তারা- হ্যালো মি. কামরাজ, নো ইংলিশ, নো হিন্দি, হাউ? অর্থাৎ, তুমি ইংরেজি জান না, হিন্দি জান না তাহলে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হবে? কামরাজ সব বুঝে সরে পড়লেন। কিন্তু গুলজারিলাল নন্দ আর মোরারজি দেশাই সহজে ছাড়ার পাত্র নন। গুলজারিলাল নন্দ আগের দিন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তার আগে তিনি ছিলেন দক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কামরাজ সরে দাঁড়ানোয় মোরারজি ভরসা পেয়ে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি আরও শক্ত করে তুলে ধরলেন। কংগ্রেস সংসদীয় দলে মোরারজির সমর্থক কম ছিল না। ভোটাভুটিতে মোরারজিই বেরিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু কংগ্রেসের তথাকথিত সিন্ডিকেট যাদের মধ্যে এক নম্বরে কামরাজ, তারা কেউ মোরারজিকে দেখতে পারতেন না। কারণ মোরারজি কারও কথা শোনেন না। নিজে যা ভালো বোঝেন তাই করেন। তাকে সিদ্ধান্ত থেকে সরানো যায় না। তারা সবাই একাট্টা হয়ে ইন্দিরাকে মোরারজির বিরুদ্ধে খাঁড়া করলেন। ইন্দিরা নেহরু তনয়া। বয়স কম। দারুণ স্মার্ট। ভালো ইংরেজি বলেন। রাজনীতিতে অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট।  কিছুদিন মন্ত্রীগিরিও করেছেন লালবাহাদুর মন্ত্রিসভায়। এ ছাড়া সিন্ডিকেট ভেবেছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারবে তারা। মোরারজিকে হটানো যাবে, অন্যদিকে ইন্দিরা ক্ষমতার রাজনীতিতে পাকাপোক্ত নন। তাকেও তারা পুতুল হিসেবে ব্যবহার করবেন। ১৯৬৬ সালের ১৯ জানুয়ারি কংগ্রেস পার্লামেন্টারি নির্বাচনে গোপন ভোটে ইন্দিরা মোরারাজিকে ১৫৫-১৬৯ ভোটে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। পাঁচ দিন পরে এ নির্বাচন নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন লিখেছিল- Troubled India in a WomanÕs Hand. প্রায় নেগেটিভ ভেটে জিতে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। মোরারজি দেশাইর তাতেও কিন্তু প্রেস্টিজ ক্ষুণ হয়নি। মোরারজি যখন ইন্দিরার ডেপুটি হলেন তখন মোরারজির বয়স ৭০ আর ইন্দিরার ৪৮। ২২ বছরের ছোট এক নবীনা নেত্রীর কাছে প্রবীণ গান্ধীবাদী ক্ষমতা ভিক্ষা করছেন, এ ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে আগে ঘটেনি। মোরারজি জানতেন ইন্দিরার কাছে তিনি পদে পদে অপমানিত হবেন। কাজ করতে পারবেন না। তাও তিনি ক্ষমতার মোহে ডেপুটি তো ডেপুটিই সই হলেন। মাত্র দুই বছর তিনি কাজ করতে পেরেছিলেন (১৯৬৭-৬৯)। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সে সময় ইন্দিরার চেয়ে মোরারজির দাবিই যথার্থ ছিল।

অন্যদিকে ইন্দিরা মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য প্রণব মুখার্জি রাজীব গান্ধীর কাছে তার অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করে চাকরিটা খুইয়েছিলেন। ইন্দিরা মন্ত্রিসভার সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায় (অর্থমন্ত্রী)। তিনিই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার। সেদিন রাজীব, প্রবণবাবু ও রেলমন্ত্রী বরকত গনি খান চৌধুরীকে নিয়ে মেদিনীপুরে সভা করছিলেন। ইন্দিরা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে তারা তিনজন বিশেষ বিমানে দিল্লি ফিরছিলেন। ওই প্লেনের মধ্যেই প্রণববাবু নাকি ওই অভিমত দেন যে, সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে তারই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। এ মন্তব্য করার জন্য রাজীব গান্ধী আর তাকে মন্ত্রিসভায় নেননি। এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু রাজীব গান্ধী সে সময় শুধু কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন না। তিনি বলতেন, তিনি কখনোই প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। সেই রাজীব হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হয়ে এ পদে বসতে পারেন সেটা হয়তো প্রণববাবুরও সেদিন সে ধারণা ছিল না। পরবর্তীকালে এ ঘটনার মাধ্যমে তিনি আরও পরিণত হয়েছিলেন, তাই দুই-তিন বছর আগে থেকেই বলতে শুরু করেছেন পরের প্রধানমন্ত্রী যে রাহুল গান্ধী এ নিয়ে যেন কারও সন্দেহ না থাকে।

বর্তমান সময়ের আরেকটি সংস্কৃতি হচ্ছে টাকা দিয়ে পদ কেনা বা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা। পদ-পদবির লড়াইয়ে প্রচলিত নিয়মের বাইরে অর্থ লেনদেনের ঘটনা সমসাময়িক সময়ে বেশ প্রকট। সেক্ষেত্রে নেতা পদ দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করার ঘটনা যেমন রয়েছে, ঠিক একইভাবে পদপ্রার্থী টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই নেতার পেছন পেছনও ঘুরছে এমন ঘটনাও বিস্তর। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের প্রাক্কালে সংসদ সদস্য প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে ওঠে মূল দল, অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার। যে কারণে নিজ আজ্ঞাবহ পদপ্রার্থী যদি যোগ্যতায় কমও হয় তাহলেও সেসব পদলোভীদের অর্থের বিনিময়ে তারা নেতা বানাতে চায়। তবে             দু-চারজন ব্যতিক্রমী সংসদ সদস্য প্রার্থীও রয়েছেন।

অর্থ লেনদেনের এ প্রক্রিয়ার ব্যাপ্তি দিন দিন ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং আদর্শ চর্চাভিত্তিক রাজনীতি এখন আর সমাদৃত হচ্ছে না, বরং মিছিল মিটিংকেন্দ্রিক যোগ্যতার মাতামাতিকে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে বিধায় ইদানীং রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আর মুদি দোকানের ক্রেতার মতো যে যেখানে লাভ বেশি পাচ্ছে সেখানেই চলে যাচ্ছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সৎ ছিলেন বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটি স্বাধীনতা উত্তরকালে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অথচ এ দলটির মধ্যেও যখন পদ কেনা-বেচার মতো বিষয়গুলো দেখা যায় তখন অবাক হতে হয়। ব্যক্তিজীবনে সততা দিয়ে যে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লেখানো যায় তার উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজির শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছিল না। বিলেতফেরত ব্যারিস্টার হয়েও মক্কেলদের আকৃষ্ট করার মতো তার স্মার্টনেস বা বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তিনি চার্চিলের মতো সুবক্তা ছিলেন না। নেহরুর মতো সুপুরুষ ছিলেন না। তার একমাত্র সম্পদ ছিল এক কঠোর ব্যক্তিগত সততা বোধ। মূল্যবোধের প্রতি গভীর অনুরাগ। অথচ আমাদের এ উপমহাদেশে একটি মিথ চালু আছে যে, সততা ও মূল্যবোধকে সম্বল করে রাজনীতিতে বেশি দূর এগোনো যায় না। কিন্তু গান্ধীজি এ সত্য অহিংসাকে মূলধন করেই রাজনীতিতে সফল হয়েছেন। হয়তো তিনি লেনিনের মতো একটি নতুন আদর্শবাদী রাষ্ট্রের প্রধান হতে পারেননি। কিন্তু লেনিনের চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।

গান্ধীজির সততা বা সত্যনিষ্ঠা তার রাজনৈতিক কৌশল নয়- এটি তার আবাল্য সংস্কার। এ জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছে। রাজনীতিতে কৌশল ও অসাধুতাকে সাময়িক স্ট্র্যাটেজি হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হলেও যে নেতা ছোটবেলা থেকে সততার মূল্যবোধ নিয়ে জন্মেছে সে কিন্তু পাকাপাকিভাবে অসৎ সুবিধাবাদী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে না। রাজনৈতিক বক্তৃতার মঞ্চে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে সংকোচবোধ করতেন। তার কারণ তার লাজুকতা। এটি ছাড়াও তার নীতিবোধ এত তীব্র ছিল যে মোটা ফির বিনিময়ে সেই নীতিবোধ ত্যাগ করেননি। সততা তার সহজাত বৃত্তি ছিল। সততার মূল্যবোধ ছোটবেলা থেকে তার মধ্যে কাজ করত। আত্মজীবনীতে তিনি সেসব কথা লিখেছেন অকপটে।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

ইমেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

৪৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা