শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ আপডেট:

ইন্দিরা গান্ধী ও আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
ইন্দিরা গান্ধী ও আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সাধারণত আমাদের অভিজ্ঞতা ও সামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় মতবাদ ও দলের জন্ম হয়। অতীতের ইতিহাস আলোচনা করলেই আমরা তা বুঝতে পারি। ইংল্যান্ডের সাধু বার্থলোমিউকে হত্যা করার ফলে সেখানকার মানুষের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, সেই সঙ্গে রাজার স্বৈরতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ ও চার্চের ধর্মান্ধমূলক আচরণের মোকাবিলায় সেখানে ১৬৭৮ খিস্টাব্দে হুইগ মতবাদ (ইংল্যান্ডের একটি রাজনৈতিক মত) গড়ে ওঠে। এ হুইগ পার্টির একজন সফল ও বিখ্যাত নেতা ছিলেন রবার্ট ওয়ার্লপোল। যিনি ১৭২১ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুকাল আগে দুর্নীতির এক মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে টাওয়ার অব লন্ডনে বন্দি করে রাখা হয়। তার এ জেলজীবন স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ছয় মাস। কারাবাসকালীনই হু হু করে বাড়তে শুরু করে তার জনপ্রিয়তা। ইংল্যান্ডের জনগণের কাছে তিনি প্রতিভাত হতে থাকেন একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে। তুখোড় বক্তা ও প্রজ্ঞাবান এ রাজনীতিবিদ ১৭২১ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, ওয়ালপোলের সেই ছয় মাসের কারা নির্যাতনের কারণেই নাকি জনগণের কাছে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা অসম্ভব রকম বেড়ে যায়।

১৬৮৮ সালে ইংল্যান্ডের সাধারণ মানুষ শাসকের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ইতিহাস সেই বিপ্লবকে ‘গৌরবময় বিপ্লব’ বলে অভিহিত করে। দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘হব্স’ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার নিজস্ব মতবাদ প্রচার করতে চেষ্টা করেন। দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘লক’ প্রচার করেন যে, সাধারণ মানুষ শাসকের প্রতি অনুগত না হলে তারা শাসনক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে বলেননি একজন স্বৈরশাসক কতদিন পর্যন্ত জনগণের সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর এ কারণেই দেখা যায় বেনিটো মুসোলিনি, অ্যাডলফ হিটলার, স্ট্যালিন, ইদি আমিন, কম্বোডিয়ার স্বৈ^রশাসক পলপট, নিকোলাই চচেস্কু, সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি প্রভৃতি স্বৈ^রশাসক ক্ষমতায় ছিলেন ১০ থেকে ২০-৩০ বছর পর্যন্ত; কিন্তু এখানে উল্লেখ্য যে, এসব স্বৈ^রশাসকের কারোরই শেষ পরিণতি সুখকর ছিল না। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আমাদের এ উপমহাদেশের রাজনীতিবিদদের এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।  

আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি দিক হচ্ছে- রাজনৈতিক অপহরণ। বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি শুরু হয় ১৯৭২ সালের পর থেকে। ১৯৭২ সালের পরবর্তী সময়ে জাসদের অনেক নেতা গুমের শিকার হয়েছিলেন। তবে এ উপমহাদেশে গুমের সংস্কৃতি প্রথম চোখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। ষাট-সত্তরের দশকে পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির উত্থানের সময়, সে সময়ের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি কমিউনিস্ট পার্টির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করেছিল। তবে গুম সংস্কৃতির আদি নিবাস ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে। সেখানকার স্বৈ^রশাসকরা ত্রিশের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশক পর্যন্ত বিরোধী মতের শত সহস্র নেতা-কর্মীকে গুম করেছিল। এ জন্য ২০০০ সালের দিকে চিলির প্রাক্তন স্বৈ^রশাসক লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া পিনোশেকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এই যে গুমের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার কিন্তু আমরা এ সংগঠনগুলোকে বাহবা না দিয়ে বরং মাঝেমধ্যে এগুলোর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যে মেতে উঠি। অথচ আমরা একটিবারের জন্যও ভাবী না এ সংগঠনগুলো কত পরিশ্রম ও ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল। এই যে অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কথাই ধরুন। কেউ গুম হলে আমরা চুকচুক করে আহাজারি করি, কিন্তু এর প্রতিকারে কেউ এগিয়ে আসি না। গুমের শিকারে আক্রান্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়াই না। তবে এ লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এগিয়ে আসেন। তাদেরই একজন ছিলেন ব্যারিস্টার পিটার বেনেনসন।  

তখন পর্তুগালে স্বৈরতন্ত্রী নেতা সালাজারের শাসন। দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হওয়ার পরও দুটি ছেলে কোনো সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে পড়েনি। শুধু একটি রেস্টুরেন্টে বসে দুজনে যখন পান খাচ্ছিল সে সময় দুজনে তাদের পানপাত্র ঠেকিয়ে নিজেদের মধ্যে বলেছিল- ‘সালাজারি দুঃশাসনের অবসান কামনায় চিয়ার্স।’ পাশের টেবিলে বসা কোনো গোয়েন্দা বা চরের কানে গিয়েছিল কথাটা। তারা যথাস্থানে রিপোর্ট করেছিল। পরদিনই ছেলে দুটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের এক আইনজীবী পিটার বেনেনসন এক সকালে খবরের কাগজ খুলে দেখেন পর্তুগালের রাজধানী নিসবন শহরে দুটি কলেজের ছাত্রকে পুলিশ দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এ ছোট্ট খবরটি পিটার বেননসনের মর্মে গিয়ে বিঁধেছিল। তিনি ভেবেছিলেন শুধু সালাজারের পর্তুগালে কেন? এমন ঘটনা তো সব দেশেই ঘটছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকেও প্রতিনিয়ত এমন খবর আসে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনগণের নেতাই ক্ষমতায় গিয়ে রাতারাতি পাল্টে যান। তখন সরকারের সামান্যতম সমালোচনাও তিনি বরদাশত করতে পারেন না। তার ক্ষমতার পথ নিরঙ্কুশ করার জন্য তিনি বিরোধীদের পুলিশ লেলিয়ে দেন। বিনা বিচারে বন্দি করে রাখেন। ক্ষমতায় কে কীভাবে আসছেন, ব্যালটে কিংবা বুলেটের মাধ্যমে সেটা বড় কথা নয়। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের অধিকার তারা একইভাবে লঙ্ঘন করছেন এটাই বড় কথা। ক্ষমতায় আসীন কিছু মানুষ বৃহত্তর মানব সমাজকে ভয় অথবা নানা লোভ দেখিয়ে নিজেদের তাঁবেতে রেখে দিয়েছে এটাই খুব ভয়ানক কথা।

পিটার বেনেনসন ঠিক করেন তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তৈরি করবেন যারা রাষ্ট্রের এ স্বৈরাচারী প্রবণতার বিরুদ্ধে জনমত সংগ্রহ করবে। না, কোনো গুপ্ত সন্ত্রাসী আন্দোলন নয়, সুশীল সমাজের কাছে শুধু তারা প্রমাণসহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর স্বৈরাচারের বিবরণগুলো তুলে ধরবে। তিনি ওই উদ্দেশেই তৈরি করেন Amnesty International. আজ যার শাখা-প্রশাখা সারা বিশ্বে বিস্তৃত। মূল দফতর লন্ডনে। বাংলাদেশের রাজনীতির আরেকটি দিক হচ্ছে- একটি দলকে নিজে এককভাবে কুক্ষিগত করা। শুধু কুক্ষিগত করেই ক্ষান্ত হন না তারা। বরং যোগ্য নেতাদের টপকে নিজেই হয়ে ওঠেন সেই দলের সর্বসেরা। সেই দলের মধ্যে তার জনসমর্থন আছে কি নেই সেটা বিবেচ্য নয়। এ সংস্কৃতিগুলোও এসেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। নেহরুর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল (উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) যতদিন বেঁচেছিলেন (১৯৫০, ডিসেম্বর) ততদিন নেহরুর সঙ্গে তার চুলোচুলি লেগেই ছিল। তেমনি প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্র প্রসাদের সঙ্গেও নেহরুর বনিবনা ছিল না। ১৯৫০ সালে প্যাটেলের প্রার্থী পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন কংগ্রেস সভাপতি হন, নেহরু সেটি পছন্দ করেননি। ১৯৫০ এর ডিসেম্বরে প্যাটেলের মৃত্যু হলে নেহরু একরকম জোর করে ট্যান্ডনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন ও নিজেই সভাপতি হয়ে বসেন। নেহরু কড়া হাতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে হাতে রেখে দিয়েছিলেন। ষাটের দশকে তিনি বিভিন্ন রাজ্য থেকে চারজন বিশ্বস্তকে বাছাই করে ওয়ার্কিং কমিটিতে নিয়ে আসেন (১৯৬৪)। ১৯৬৩ সালে তামিলনাড়ু কংগ্রেস নেতা, কামরাজ নাদারকে (তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) নিখিল ভারত কংগ্রেসের সভাপতি করেন। কামরাজ ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও স্বল্প কথার মানুষ। তার সম্পর্কে ঝোক আছে তিনি সবার কথা শুনতেন ও উত্তরে একটা কথাই বলতেন : পাক্কালাম-অর্থাৎ দেখা যাবে, বা দেখছি কী করা যায়।

ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে নেহরুকন্যা ইন্দিরাও কম যাননি। কট্টর গান্ধীবাদী হওয়া সত্ত্বেও মোরারজি দেশাই, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই (১১ জানুয়ারি ১৯৬৬) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হয়ে বসেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবিদার ছিলেন সাতজন। মোরারজি দেশাই, ইন্দিরা গান্ধী, ওয়াই বি চ্যবন, এস কে পাতিল, সঞ্জীব রেড্ডি ও কামরাজ নাদার। লালবাহাদুরের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবন জানান, এ পদের তিনি যোগ্যতম দাবিদার। দুই দিন পরে মঞ্চে হাজির হতে থাকেন উত্তরাধিকারের আরও দাবিদাররা। মোরারজি দেশাই, গুলজারিলাল নন্দ, এস কে পাতিল। সঞ্জীব রেড্ডি ও কামরাজ নাদার স্বয়ং কামরাজকে এক কথায় উড়িয়ে দিলেন সিন্ডিকেটের কর্তারা- হ্যালো মি. কামরাজ, নো ইংলিশ, নো হিন্দি, হাউ? অর্থাৎ, তুমি ইংরেজি জান না, হিন্দি জান না তাহলে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হবে? কামরাজ সব বুঝে সরে পড়লেন। কিন্তু গুলজারিলাল নন্দ আর মোরারজি দেশাই সহজে ছাড়ার পাত্র নন। গুলজারিলাল নন্দ আগের দিন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তার আগে তিনি ছিলেন দক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কামরাজ সরে দাঁড়ানোয় মোরারজি ভরসা পেয়ে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি আরও শক্ত করে তুলে ধরলেন। কংগ্রেস সংসদীয় দলে মোরারজির সমর্থক কম ছিল না। ভোটাভুটিতে মোরারজিই বেরিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু কংগ্রেসের তথাকথিত সিন্ডিকেট যাদের মধ্যে এক নম্বরে কামরাজ, তারা কেউ মোরারজিকে দেখতে পারতেন না। কারণ মোরারজি কারও কথা শোনেন না। নিজে যা ভালো বোঝেন তাই করেন। তাকে সিদ্ধান্ত থেকে সরানো যায় না। তারা সবাই একাট্টা হয়ে ইন্দিরাকে মোরারজির বিরুদ্ধে খাঁড়া করলেন। ইন্দিরা নেহরু তনয়া। বয়স কম। দারুণ স্মার্ট। ভালো ইংরেজি বলেন। রাজনীতিতে অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট।  কিছুদিন মন্ত্রীগিরিও করেছেন লালবাহাদুর মন্ত্রিসভায়। এ ছাড়া সিন্ডিকেট ভেবেছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারবে তারা। মোরারজিকে হটানো যাবে, অন্যদিকে ইন্দিরা ক্ষমতার রাজনীতিতে পাকাপোক্ত নন। তাকেও তারা পুতুল হিসেবে ব্যবহার করবেন। ১৯৬৬ সালের ১৯ জানুয়ারি কংগ্রেস পার্লামেন্টারি নির্বাচনে গোপন ভোটে ইন্দিরা মোরারাজিকে ১৫৫-১৬৯ ভোটে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। পাঁচ দিন পরে এ নির্বাচন নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন লিখেছিল- Troubled India in a WomanÕs Hand. প্রায় নেগেটিভ ভেটে জিতে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। মোরারজি দেশাইর তাতেও কিন্তু প্রেস্টিজ ক্ষুণ হয়নি। মোরারজি যখন ইন্দিরার ডেপুটি হলেন তখন মোরারজির বয়স ৭০ আর ইন্দিরার ৪৮। ২২ বছরের ছোট এক নবীনা নেত্রীর কাছে প্রবীণ গান্ধীবাদী ক্ষমতা ভিক্ষা করছেন, এ ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে আগে ঘটেনি। মোরারজি জানতেন ইন্দিরার কাছে তিনি পদে পদে অপমানিত হবেন। কাজ করতে পারবেন না। তাও তিনি ক্ষমতার মোহে ডেপুটি তো ডেপুটিই সই হলেন। মাত্র দুই বছর তিনি কাজ করতে পেরেছিলেন (১৯৬৭-৬৯)। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সে সময় ইন্দিরার চেয়ে মোরারজির দাবিই যথার্থ ছিল।

অন্যদিকে ইন্দিরা মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য প্রণব মুখার্জি রাজীব গান্ধীর কাছে তার অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করে চাকরিটা খুইয়েছিলেন। ইন্দিরা মন্ত্রিসভার সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায় (অর্থমন্ত্রী)। তিনিই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার। সেদিন রাজীব, প্রবণবাবু ও রেলমন্ত্রী বরকত গনি খান চৌধুরীকে নিয়ে মেদিনীপুরে সভা করছিলেন। ইন্দিরা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে তারা তিনজন বিশেষ বিমানে দিল্লি ফিরছিলেন। ওই প্লেনের মধ্যেই প্রণববাবু নাকি ওই অভিমত দেন যে, সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে তারই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। এ মন্তব্য করার জন্য রাজীব গান্ধী আর তাকে মন্ত্রিসভায় নেননি। এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু রাজীব গান্ধী সে সময় শুধু কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন না। তিনি বলতেন, তিনি কখনোই প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। সেই রাজীব হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হয়ে এ পদে বসতে পারেন সেটা হয়তো প্রণববাবুরও সেদিন সে ধারণা ছিল না। পরবর্তীকালে এ ঘটনার মাধ্যমে তিনি আরও পরিণত হয়েছিলেন, তাই দুই-তিন বছর আগে থেকেই বলতে শুরু করেছেন পরের প্রধানমন্ত্রী যে রাহুল গান্ধী এ নিয়ে যেন কারও সন্দেহ না থাকে।

বর্তমান সময়ের আরেকটি সংস্কৃতি হচ্ছে টাকা দিয়ে পদ কেনা বা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা। পদ-পদবির লড়াইয়ে প্রচলিত নিয়মের বাইরে অর্থ লেনদেনের ঘটনা সমসাময়িক সময়ে বেশ প্রকট। সেক্ষেত্রে নেতা পদ দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করার ঘটনা যেমন রয়েছে, ঠিক একইভাবে পদপ্রার্থী টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই নেতার পেছন পেছনও ঘুরছে এমন ঘটনাও বিস্তর। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের প্রাক্কালে সংসদ সদস্য প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে ওঠে মূল দল, অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার। যে কারণে নিজ আজ্ঞাবহ পদপ্রার্থী যদি যোগ্যতায় কমও হয় তাহলেও সেসব পদলোভীদের অর্থের বিনিময়ে তারা নেতা বানাতে চায়। তবে             দু-চারজন ব্যতিক্রমী সংসদ সদস্য প্রার্থীও রয়েছেন।

অর্থ লেনদেনের এ প্রক্রিয়ার ব্যাপ্তি দিন দিন ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং আদর্শ চর্চাভিত্তিক রাজনীতি এখন আর সমাদৃত হচ্ছে না, বরং মিছিল মিটিংকেন্দ্রিক যোগ্যতার মাতামাতিকে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে বিধায় ইদানীং রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আর মুদি দোকানের ক্রেতার মতো যে যেখানে লাভ বেশি পাচ্ছে সেখানেই চলে যাচ্ছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সৎ ছিলেন বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটি স্বাধীনতা উত্তরকালে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অথচ এ দলটির মধ্যেও যখন পদ কেনা-বেচার মতো বিষয়গুলো দেখা যায় তখন অবাক হতে হয়। ব্যক্তিজীবনে সততা দিয়ে যে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লেখানো যায় তার উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজির শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছিল না। বিলেতফেরত ব্যারিস্টার হয়েও মক্কেলদের আকৃষ্ট করার মতো তার স্মার্টনেস বা বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তিনি চার্চিলের মতো সুবক্তা ছিলেন না। নেহরুর মতো সুপুরুষ ছিলেন না। তার একমাত্র সম্পদ ছিল এক কঠোর ব্যক্তিগত সততা বোধ। মূল্যবোধের প্রতি গভীর অনুরাগ। অথচ আমাদের এ উপমহাদেশে একটি মিথ চালু আছে যে, সততা ও মূল্যবোধকে সম্বল করে রাজনীতিতে বেশি দূর এগোনো যায় না। কিন্তু গান্ধীজি এ সত্য অহিংসাকে মূলধন করেই রাজনীতিতে সফল হয়েছেন। হয়তো তিনি লেনিনের মতো একটি নতুন আদর্শবাদী রাষ্ট্রের প্রধান হতে পারেননি। কিন্তু লেনিনের চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।

গান্ধীজির সততা বা সত্যনিষ্ঠা তার রাজনৈতিক কৌশল নয়- এটি তার আবাল্য সংস্কার। এ জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছে। রাজনীতিতে কৌশল ও অসাধুতাকে সাময়িক স্ট্র্যাটেজি হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হলেও যে নেতা ছোটবেলা থেকে সততার মূল্যবোধ নিয়ে জন্মেছে সে কিন্তু পাকাপাকিভাবে অসৎ সুবিধাবাদী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে না। রাজনৈতিক বক্তৃতার মঞ্চে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে সংকোচবোধ করতেন। তার কারণ তার লাজুকতা। এটি ছাড়াও তার নীতিবোধ এত তীব্র ছিল যে মোটা ফির বিনিময়ে সেই নীতিবোধ ত্যাগ করেননি। সততা তার সহজাত বৃত্তি ছিল। সততার মূল্যবোধ ছোটবেলা থেকে তার মধ্যে কাজ করত। আত্মজীবনীতে তিনি সেসব কথা লিখেছেন অকপটে।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

ইমেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধার
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধার

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মার্কিন মেরিন কোরের সঙ্গে হাইতি গ্যাংয়ের বন্দুকযুদ্ধ
মার্কিন মেরিন কোরের সঙ্গে হাইতি গ্যাংয়ের বন্দুকযুদ্ধ

৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রায় ঘোষণার পর বরিশালে মিষ্টি বিতরণ, মিছিল
রায় ঘোষণার পর বরিশালে মিষ্টি বিতরণ, মিছিল

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’

১২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঠান্ডায় নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে?
ঠান্ডায় নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে?

১৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

টাকার জন্য কখনও নিজেকে বিলাইনি: দীপিকা
টাকার জন্য কখনও নিজেকে বিলাইনি: দীপিকা

১৬ মিনিট আগে | শোবিজ

নাসিরনগরে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রেফতার
নাসিরনগরে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রেফতার

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিচেলকে নিয়ে শঙ্কা, কিউই দলে ডাক পেলেন নিকোলস
মিচেলকে নিয়ে শঙ্কা, কিউই দলে ডাক পেলেন নিকোলস

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

২১ মিনিট আগে | নগর জীবন

এখনও কেন জুবিনের জন্য কাঁদছে আসাম?
এখনও কেন জুবিনের জন্য কাঁদছে আসাম?

২১ মিনিট আগে | শোবিজ

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের রায় প্রমাণ করে স্বৈরশাসকেরাও বিচারের ঊর্ধ্বে নয়: সাইফুল হক
আজকের রায় প্রমাণ করে স্বৈরশাসকেরাও বিচারের ঊর্ধ্বে নয়: সাইফুল হক

৩১ মিনিট আগে | রাজনীতি

‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’

৩৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

চলচ্চিত্র পরিবারের লোকজনও ছেলেদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন: কঙ্গনা
চলচ্চিত্র পরিবারের লোকজনও ছেলেদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন: কঙ্গনা

৩৬ মিনিট আগে | শোবিজ

তরুণদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ফরাসি কোচ
তরুণদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ফরাসি কোচ

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে কেরানীগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে কেরানীগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নভেম্বরের ১৬ দিনে এলো ১৭০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
নভেম্বরের ১৬ দিনে এলো ১৭০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৪১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

চট্টগ্রামে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার ২
চট্টগ্রামে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার ২

৪২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাগড়াছড়িতে মহিলা দলের সমাবেশ
খাগড়াছড়িতে মহিলা দলের সমাবেশ

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে নেজামে ইসলাম পার্টির বৈঠক
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে নেজামে ইসলাম পার্টির বৈঠক

৪৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ৫ আগস্টের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ৫ আগস্টের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক

৫৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের রায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে : প্রিন্স
আজকের রায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাবনায় শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
পাবনায় শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’
‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নাচের তৃপ্তি অভিনয়ে পাইনি: মালাইকা
নাচের তৃপ্তি অভিনয়ে পাইনি: মালাইকা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানের শীষের বিজয় মানেই মানুষের মুক্তি: আজহারুল
ধানের শীষের বিজয় মানেই মানুষের মুক্তি: আজহারুল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে