শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ আপডেট:

ইন্দিরা গান্ধী ও আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
ইন্দিরা গান্ধী ও আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সাধারণত আমাদের অভিজ্ঞতা ও সামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় মতবাদ ও দলের জন্ম হয়। অতীতের ইতিহাস আলোচনা করলেই আমরা তা বুঝতে পারি। ইংল্যান্ডের সাধু বার্থলোমিউকে হত্যা করার ফলে সেখানকার মানুষের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, সেই সঙ্গে রাজার স্বৈরতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ ও চার্চের ধর্মান্ধমূলক আচরণের মোকাবিলায় সেখানে ১৬৭৮ খিস্টাব্দে হুইগ মতবাদ (ইংল্যান্ডের একটি রাজনৈতিক মত) গড়ে ওঠে। এ হুইগ পার্টির একজন সফল ও বিখ্যাত নেতা ছিলেন রবার্ট ওয়ার্লপোল। যিনি ১৭২১ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুকাল আগে দুর্নীতির এক মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে টাওয়ার অব লন্ডনে বন্দি করে রাখা হয়। তার এ জেলজীবন স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ছয় মাস। কারাবাসকালীনই হু হু করে বাড়তে শুরু করে তার জনপ্রিয়তা। ইংল্যান্ডের জনগণের কাছে তিনি প্রতিভাত হতে থাকেন একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে। তুখোড় বক্তা ও প্রজ্ঞাবান এ রাজনীতিবিদ ১৭২১ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, ওয়ালপোলের সেই ছয় মাসের কারা নির্যাতনের কারণেই নাকি জনগণের কাছে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা অসম্ভব রকম বেড়ে যায়।

১৬৮৮ সালে ইংল্যান্ডের সাধারণ মানুষ শাসকের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ইতিহাস সেই বিপ্লবকে ‘গৌরবময় বিপ্লব’ বলে অভিহিত করে। দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘হব্স’ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার নিজস্ব মতবাদ প্রচার করতে চেষ্টা করেন। দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘লক’ প্রচার করেন যে, সাধারণ মানুষ শাসকের প্রতি অনুগত না হলে তারা শাসনক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে বলেননি একজন স্বৈরশাসক কতদিন পর্যন্ত জনগণের সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর এ কারণেই দেখা যায় বেনিটো মুসোলিনি, অ্যাডলফ হিটলার, স্ট্যালিন, ইদি আমিন, কম্বোডিয়ার স্বৈ^রশাসক পলপট, নিকোলাই চচেস্কু, সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি প্রভৃতি স্বৈ^রশাসক ক্ষমতায় ছিলেন ১০ থেকে ২০-৩০ বছর পর্যন্ত; কিন্তু এখানে উল্লেখ্য যে, এসব স্বৈ^রশাসকের কারোরই শেষ পরিণতি সুখকর ছিল না। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আমাদের এ উপমহাদেশের রাজনীতিবিদদের এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।  

আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি দিক হচ্ছে- রাজনৈতিক অপহরণ। বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি শুরু হয় ১৯৭২ সালের পর থেকে। ১৯৭২ সালের পরবর্তী সময়ে জাসদের অনেক নেতা গুমের শিকার হয়েছিলেন। তবে এ উপমহাদেশে গুমের সংস্কৃতি প্রথম চোখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। ষাট-সত্তরের দশকে পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির উত্থানের সময়, সে সময়ের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি কমিউনিস্ট পার্টির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করেছিল। তবে গুম সংস্কৃতির আদি নিবাস ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে। সেখানকার স্বৈ^রশাসকরা ত্রিশের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশক পর্যন্ত বিরোধী মতের শত সহস্র নেতা-কর্মীকে গুম করেছিল। এ জন্য ২০০০ সালের দিকে চিলির প্রাক্তন স্বৈ^রশাসক লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া পিনোশেকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এই যে গুমের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার কিন্তু আমরা এ সংগঠনগুলোকে বাহবা না দিয়ে বরং মাঝেমধ্যে এগুলোর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যে মেতে উঠি। অথচ আমরা একটিবারের জন্যও ভাবী না এ সংগঠনগুলো কত পরিশ্রম ও ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল। এই যে অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কথাই ধরুন। কেউ গুম হলে আমরা চুকচুক করে আহাজারি করি, কিন্তু এর প্রতিকারে কেউ এগিয়ে আসি না। গুমের শিকারে আক্রান্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়াই না। তবে এ লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এগিয়ে আসেন। তাদেরই একজন ছিলেন ব্যারিস্টার পিটার বেনেনসন।  

তখন পর্তুগালে স্বৈরতন্ত্রী নেতা সালাজারের শাসন। দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হওয়ার পরও দুটি ছেলে কোনো সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে পড়েনি। শুধু একটি রেস্টুরেন্টে বসে দুজনে যখন পান খাচ্ছিল সে সময় দুজনে তাদের পানপাত্র ঠেকিয়ে নিজেদের মধ্যে বলেছিল- ‘সালাজারি দুঃশাসনের অবসান কামনায় চিয়ার্স।’ পাশের টেবিলে বসা কোনো গোয়েন্দা বা চরের কানে গিয়েছিল কথাটা। তারা যথাস্থানে রিপোর্ট করেছিল। পরদিনই ছেলে দুটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের এক আইনজীবী পিটার বেনেনসন এক সকালে খবরের কাগজ খুলে দেখেন পর্তুগালের রাজধানী নিসবন শহরে দুটি কলেজের ছাত্রকে পুলিশ দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এ ছোট্ট খবরটি পিটার বেননসনের মর্মে গিয়ে বিঁধেছিল। তিনি ভেবেছিলেন শুধু সালাজারের পর্তুগালে কেন? এমন ঘটনা তো সব দেশেই ঘটছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকেও প্রতিনিয়ত এমন খবর আসে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনগণের নেতাই ক্ষমতায় গিয়ে রাতারাতি পাল্টে যান। তখন সরকারের সামান্যতম সমালোচনাও তিনি বরদাশত করতে পারেন না। তার ক্ষমতার পথ নিরঙ্কুশ করার জন্য তিনি বিরোধীদের পুলিশ লেলিয়ে দেন। বিনা বিচারে বন্দি করে রাখেন। ক্ষমতায় কে কীভাবে আসছেন, ব্যালটে কিংবা বুলেটের মাধ্যমে সেটা বড় কথা নয়। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের অধিকার তারা একইভাবে লঙ্ঘন করছেন এটাই বড় কথা। ক্ষমতায় আসীন কিছু মানুষ বৃহত্তর মানব সমাজকে ভয় অথবা নানা লোভ দেখিয়ে নিজেদের তাঁবেতে রেখে দিয়েছে এটাই খুব ভয়ানক কথা।

পিটার বেনেনসন ঠিক করেন তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তৈরি করবেন যারা রাষ্ট্রের এ স্বৈরাচারী প্রবণতার বিরুদ্ধে জনমত সংগ্রহ করবে। না, কোনো গুপ্ত সন্ত্রাসী আন্দোলন নয়, সুশীল সমাজের কাছে শুধু তারা প্রমাণসহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর স্বৈরাচারের বিবরণগুলো তুলে ধরবে। তিনি ওই উদ্দেশেই তৈরি করেন Amnesty International. আজ যার শাখা-প্রশাখা সারা বিশ্বে বিস্তৃত। মূল দফতর লন্ডনে। বাংলাদেশের রাজনীতির আরেকটি দিক হচ্ছে- একটি দলকে নিজে এককভাবে কুক্ষিগত করা। শুধু কুক্ষিগত করেই ক্ষান্ত হন না তারা। বরং যোগ্য নেতাদের টপকে নিজেই হয়ে ওঠেন সেই দলের সর্বসেরা। সেই দলের মধ্যে তার জনসমর্থন আছে কি নেই সেটা বিবেচ্য নয়। এ সংস্কৃতিগুলোও এসেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। নেহরুর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল (উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) যতদিন বেঁচেছিলেন (১৯৫০, ডিসেম্বর) ততদিন নেহরুর সঙ্গে তার চুলোচুলি লেগেই ছিল। তেমনি প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্র প্রসাদের সঙ্গেও নেহরুর বনিবনা ছিল না। ১৯৫০ সালে প্যাটেলের প্রার্থী পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন কংগ্রেস সভাপতি হন, নেহরু সেটি পছন্দ করেননি। ১৯৫০ এর ডিসেম্বরে প্যাটেলের মৃত্যু হলে নেহরু একরকম জোর করে ট্যান্ডনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন ও নিজেই সভাপতি হয়ে বসেন। নেহরু কড়া হাতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে হাতে রেখে দিয়েছিলেন। ষাটের দশকে তিনি বিভিন্ন রাজ্য থেকে চারজন বিশ্বস্তকে বাছাই করে ওয়ার্কিং কমিটিতে নিয়ে আসেন (১৯৬৪)। ১৯৬৩ সালে তামিলনাড়ু কংগ্রেস নেতা, কামরাজ নাদারকে (তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) নিখিল ভারত কংগ্রেসের সভাপতি করেন। কামরাজ ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও স্বল্প কথার মানুষ। তার সম্পর্কে ঝোক আছে তিনি সবার কথা শুনতেন ও উত্তরে একটা কথাই বলতেন : পাক্কালাম-অর্থাৎ দেখা যাবে, বা দেখছি কী করা যায়।

ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে নেহরুকন্যা ইন্দিরাও কম যাননি। কট্টর গান্ধীবাদী হওয়া সত্ত্বেও মোরারজি দেশাই, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই (১১ জানুয়ারি ১৯৬৬) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হয়ে বসেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবিদার ছিলেন সাতজন। মোরারজি দেশাই, ইন্দিরা গান্ধী, ওয়াই বি চ্যবন, এস কে পাতিল, সঞ্জীব রেড্ডি ও কামরাজ নাদার। লালবাহাদুরের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবন জানান, এ পদের তিনি যোগ্যতম দাবিদার। দুই দিন পরে মঞ্চে হাজির হতে থাকেন উত্তরাধিকারের আরও দাবিদাররা। মোরারজি দেশাই, গুলজারিলাল নন্দ, এস কে পাতিল। সঞ্জীব রেড্ডি ও কামরাজ নাদার স্বয়ং কামরাজকে এক কথায় উড়িয়ে দিলেন সিন্ডিকেটের কর্তারা- হ্যালো মি. কামরাজ, নো ইংলিশ, নো হিন্দি, হাউ? অর্থাৎ, তুমি ইংরেজি জান না, হিন্দি জান না তাহলে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হবে? কামরাজ সব বুঝে সরে পড়লেন। কিন্তু গুলজারিলাল নন্দ আর মোরারজি দেশাই সহজে ছাড়ার পাত্র নন। গুলজারিলাল নন্দ আগের দিন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তার আগে তিনি ছিলেন দক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কামরাজ সরে দাঁড়ানোয় মোরারজি ভরসা পেয়ে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি আরও শক্ত করে তুলে ধরলেন। কংগ্রেস সংসদীয় দলে মোরারজির সমর্থক কম ছিল না। ভোটাভুটিতে মোরারজিই বেরিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু কংগ্রেসের তথাকথিত সিন্ডিকেট যাদের মধ্যে এক নম্বরে কামরাজ, তারা কেউ মোরারজিকে দেখতে পারতেন না। কারণ মোরারজি কারও কথা শোনেন না। নিজে যা ভালো বোঝেন তাই করেন। তাকে সিদ্ধান্ত থেকে সরানো যায় না। তারা সবাই একাট্টা হয়ে ইন্দিরাকে মোরারজির বিরুদ্ধে খাঁড়া করলেন। ইন্দিরা নেহরু তনয়া। বয়স কম। দারুণ স্মার্ট। ভালো ইংরেজি বলেন। রাজনীতিতে অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট।  কিছুদিন মন্ত্রীগিরিও করেছেন লালবাহাদুর মন্ত্রিসভায়। এ ছাড়া সিন্ডিকেট ভেবেছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারবে তারা। মোরারজিকে হটানো যাবে, অন্যদিকে ইন্দিরা ক্ষমতার রাজনীতিতে পাকাপোক্ত নন। তাকেও তারা পুতুল হিসেবে ব্যবহার করবেন। ১৯৬৬ সালের ১৯ জানুয়ারি কংগ্রেস পার্লামেন্টারি নির্বাচনে গোপন ভোটে ইন্দিরা মোরারাজিকে ১৫৫-১৬৯ ভোটে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। পাঁচ দিন পরে এ নির্বাচন নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন লিখেছিল- Troubled India in a WomanÕs Hand. প্রায় নেগেটিভ ভেটে জিতে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। মোরারজি দেশাইর তাতেও কিন্তু প্রেস্টিজ ক্ষুণ হয়নি। মোরারজি যখন ইন্দিরার ডেপুটি হলেন তখন মোরারজির বয়স ৭০ আর ইন্দিরার ৪৮। ২২ বছরের ছোট এক নবীনা নেত্রীর কাছে প্রবীণ গান্ধীবাদী ক্ষমতা ভিক্ষা করছেন, এ ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে আগে ঘটেনি। মোরারজি জানতেন ইন্দিরার কাছে তিনি পদে পদে অপমানিত হবেন। কাজ করতে পারবেন না। তাও তিনি ক্ষমতার মোহে ডেপুটি তো ডেপুটিই সই হলেন। মাত্র দুই বছর তিনি কাজ করতে পেরেছিলেন (১৯৬৭-৬৯)। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সে সময় ইন্দিরার চেয়ে মোরারজির দাবিই যথার্থ ছিল।

অন্যদিকে ইন্দিরা মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য প্রণব মুখার্জি রাজীব গান্ধীর কাছে তার অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করে চাকরিটা খুইয়েছিলেন। ইন্দিরা মন্ত্রিসভার সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায় (অর্থমন্ত্রী)। তিনিই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার। সেদিন রাজীব, প্রবণবাবু ও রেলমন্ত্রী বরকত গনি খান চৌধুরীকে নিয়ে মেদিনীপুরে সভা করছিলেন। ইন্দিরা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে তারা তিনজন বিশেষ বিমানে দিল্লি ফিরছিলেন। ওই প্লেনের মধ্যেই প্রণববাবু নাকি ওই অভিমত দেন যে, সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে তারই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। এ মন্তব্য করার জন্য রাজীব গান্ধী আর তাকে মন্ত্রিসভায় নেননি। এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু রাজীব গান্ধী সে সময় শুধু কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন না। তিনি বলতেন, তিনি কখনোই প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। সেই রাজীব হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হয়ে এ পদে বসতে পারেন সেটা হয়তো প্রণববাবুরও সেদিন সে ধারণা ছিল না। পরবর্তীকালে এ ঘটনার মাধ্যমে তিনি আরও পরিণত হয়েছিলেন, তাই দুই-তিন বছর আগে থেকেই বলতে শুরু করেছেন পরের প্রধানমন্ত্রী যে রাহুল গান্ধী এ নিয়ে যেন কারও সন্দেহ না থাকে।

বর্তমান সময়ের আরেকটি সংস্কৃতি হচ্ছে টাকা দিয়ে পদ কেনা বা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা। পদ-পদবির লড়াইয়ে প্রচলিত নিয়মের বাইরে অর্থ লেনদেনের ঘটনা সমসাময়িক সময়ে বেশ প্রকট। সেক্ষেত্রে নেতা পদ দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করার ঘটনা যেমন রয়েছে, ঠিক একইভাবে পদপ্রার্থী টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই নেতার পেছন পেছনও ঘুরছে এমন ঘটনাও বিস্তর। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের প্রাক্কালে সংসদ সদস্য প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে ওঠে মূল দল, অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার। যে কারণে নিজ আজ্ঞাবহ পদপ্রার্থী যদি যোগ্যতায় কমও হয় তাহলেও সেসব পদলোভীদের অর্থের বিনিময়ে তারা নেতা বানাতে চায়। তবে             দু-চারজন ব্যতিক্রমী সংসদ সদস্য প্রার্থীও রয়েছেন।

অর্থ লেনদেনের এ প্রক্রিয়ার ব্যাপ্তি দিন দিন ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং আদর্শ চর্চাভিত্তিক রাজনীতি এখন আর সমাদৃত হচ্ছে না, বরং মিছিল মিটিংকেন্দ্রিক যোগ্যতার মাতামাতিকে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে বিধায় ইদানীং রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আর মুদি দোকানের ক্রেতার মতো যে যেখানে লাভ বেশি পাচ্ছে সেখানেই চলে যাচ্ছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সৎ ছিলেন বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটি স্বাধীনতা উত্তরকালে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অথচ এ দলটির মধ্যেও যখন পদ কেনা-বেচার মতো বিষয়গুলো দেখা যায় তখন অবাক হতে হয়। ব্যক্তিজীবনে সততা দিয়ে যে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লেখানো যায় তার উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজির শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছিল না। বিলেতফেরত ব্যারিস্টার হয়েও মক্কেলদের আকৃষ্ট করার মতো তার স্মার্টনেস বা বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তিনি চার্চিলের মতো সুবক্তা ছিলেন না। নেহরুর মতো সুপুরুষ ছিলেন না। তার একমাত্র সম্পদ ছিল এক কঠোর ব্যক্তিগত সততা বোধ। মূল্যবোধের প্রতি গভীর অনুরাগ। অথচ আমাদের এ উপমহাদেশে একটি মিথ চালু আছে যে, সততা ও মূল্যবোধকে সম্বল করে রাজনীতিতে বেশি দূর এগোনো যায় না। কিন্তু গান্ধীজি এ সত্য অহিংসাকে মূলধন করেই রাজনীতিতে সফল হয়েছেন। হয়তো তিনি লেনিনের মতো একটি নতুন আদর্শবাদী রাষ্ট্রের প্রধান হতে পারেননি। কিন্তু লেনিনের চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।

গান্ধীজির সততা বা সত্যনিষ্ঠা তার রাজনৈতিক কৌশল নয়- এটি তার আবাল্য সংস্কার। এ জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছে। রাজনীতিতে কৌশল ও অসাধুতাকে সাময়িক স্ট্র্যাটেজি হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হলেও যে নেতা ছোটবেলা থেকে সততার মূল্যবোধ নিয়ে জন্মেছে সে কিন্তু পাকাপাকিভাবে অসৎ সুবিধাবাদী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে না। রাজনৈতিক বক্তৃতার মঞ্চে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে সংকোচবোধ করতেন। তার কারণ তার লাজুকতা। এটি ছাড়াও তার নীতিবোধ এত তীব্র ছিল যে মোটা ফির বিনিময়ে সেই নীতিবোধ ত্যাগ করেননি। সততা তার সহজাত বৃত্তি ছিল। সততার মূল্যবোধ ছোটবেলা থেকে তার মধ্যে কাজ করত। আত্মজীবনীতে তিনি সেসব কথা লিখেছেন অকপটে।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

ইমেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
মূল্যস্ফীতি কমেছে
মূল্যস্ফীতি কমেছে
তারুণ্যের ভাবনা
তারুণ্যের ভাবনা
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
সর্বশেষ খবর
দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল
দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা
নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ
ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?
সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা
ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প
খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক
শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুরাদনগরের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: তদন্তভার ডিবিতে, ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা
মুরাদনগরের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: তদন্তভার ডিবিতে, ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৮ দিনে ১৫০ কোটির দোরগোড়ায় ‘সিতারে জামিন পার’
১৮ দিনে ১৫০ কোটির দোরগোড়ায় ‘সিতারে জামিন পার’

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির
আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!
এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি
ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ
শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে
গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প
ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর
৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি
সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি
৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’
‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল
যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লেবুর খোসার যত গুণ
লেবুর খোসার যত গুণ

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম

সম্পাদকীয়

কই গেল দুই লাখ তাল গাছ
কই গেল দুই লাখ তাল গাছ

নগর জীবন

সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে
সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে

শোবিজ

ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি
ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি
শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি

শোবিজ

তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি
তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি

শোবিজ

মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি
মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন
থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি
ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি

মাঠে ময়দানে

দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে
দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে

নগর জীবন

হতাশায় বিশ্বাস করি না
হতাশায় বিশ্বাস করি না

শোবিজ

বিব্রত শ্রদ্ধা...
বিব্রত শ্রদ্ধা...

শোবিজ

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালের আগে ফাইনাল!
ফাইনালের আগে ফাইনাল!

মাঠে ময়দানে

জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা
জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা

শোবিজ

এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই
এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই

মাঠে ময়দানে

জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়
জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়

মাঠে ময়দানে

বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু
বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু

দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়
তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়

নগর জীবন

তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি
তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না
জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না

নগর জীবন

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী

নগর জীবন