শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ আপডেট:

ইন্দিরা গান্ধী ও আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
ইন্দিরা গান্ধী ও আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সাধারণত আমাদের অভিজ্ঞতা ও সামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় মতবাদ ও দলের জন্ম হয়। অতীতের ইতিহাস আলোচনা করলেই আমরা তা বুঝতে পারি। ইংল্যান্ডের সাধু বার্থলোমিউকে হত্যা করার ফলে সেখানকার মানুষের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, সেই সঙ্গে রাজার স্বৈরতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ ও চার্চের ধর্মান্ধমূলক আচরণের মোকাবিলায় সেখানে ১৬৭৮ খিস্টাব্দে হুইগ মতবাদ (ইংল্যান্ডের একটি রাজনৈতিক মত) গড়ে ওঠে। এ হুইগ পার্টির একজন সফল ও বিখ্যাত নেতা ছিলেন রবার্ট ওয়ার্লপোল। যিনি ১৭২১ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুকাল আগে দুর্নীতির এক মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে টাওয়ার অব লন্ডনে বন্দি করে রাখা হয়। তার এ জেলজীবন স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ছয় মাস। কারাবাসকালীনই হু হু করে বাড়তে শুরু করে তার জনপ্রিয়তা। ইংল্যান্ডের জনগণের কাছে তিনি প্রতিভাত হতে থাকেন একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে। তুখোড় বক্তা ও প্রজ্ঞাবান এ রাজনীতিবিদ ১৭২১ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, ওয়ালপোলের সেই ছয় মাসের কারা নির্যাতনের কারণেই নাকি জনগণের কাছে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা অসম্ভব রকম বেড়ে যায়।

১৬৮৮ সালে ইংল্যান্ডের সাধারণ মানুষ শাসকের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ইতিহাস সেই বিপ্লবকে ‘গৌরবময় বিপ্লব’ বলে অভিহিত করে। দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘হব্স’ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার নিজস্ব মতবাদ প্রচার করতে চেষ্টা করেন। দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘লক’ প্রচার করেন যে, সাধারণ মানুষ শাসকের প্রতি অনুগত না হলে তারা শাসনক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে বলেননি একজন স্বৈরশাসক কতদিন পর্যন্ত জনগণের সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর এ কারণেই দেখা যায় বেনিটো মুসোলিনি, অ্যাডলফ হিটলার, স্ট্যালিন, ইদি আমিন, কম্বোডিয়ার স্বৈ^রশাসক পলপট, নিকোলাই চচেস্কু, সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি প্রভৃতি স্বৈ^রশাসক ক্ষমতায় ছিলেন ১০ থেকে ২০-৩০ বছর পর্যন্ত; কিন্তু এখানে উল্লেখ্য যে, এসব স্বৈ^রশাসকের কারোরই শেষ পরিণতি সুখকর ছিল না। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আমাদের এ উপমহাদেশের রাজনীতিবিদদের এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।  

আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি দিক হচ্ছে- রাজনৈতিক অপহরণ। বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি শুরু হয় ১৯৭২ সালের পর থেকে। ১৯৭২ সালের পরবর্তী সময়ে জাসদের অনেক নেতা গুমের শিকার হয়েছিলেন। তবে এ উপমহাদেশে গুমের সংস্কৃতি প্রথম চোখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। ষাট-সত্তরের দশকে পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির উত্থানের সময়, সে সময়ের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি কমিউনিস্ট পার্টির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করেছিল। তবে গুম সংস্কৃতির আদি নিবাস ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে। সেখানকার স্বৈ^রশাসকরা ত্রিশের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশক পর্যন্ত বিরোধী মতের শত সহস্র নেতা-কর্মীকে গুম করেছিল। এ জন্য ২০০০ সালের দিকে চিলির প্রাক্তন স্বৈ^রশাসক লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া পিনোশেকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এই যে গুমের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার কিন্তু আমরা এ সংগঠনগুলোকে বাহবা না দিয়ে বরং মাঝেমধ্যে এগুলোর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যে মেতে উঠি। অথচ আমরা একটিবারের জন্যও ভাবী না এ সংগঠনগুলো কত পরিশ্রম ও ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল। এই যে অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কথাই ধরুন। কেউ গুম হলে আমরা চুকচুক করে আহাজারি করি, কিন্তু এর প্রতিকারে কেউ এগিয়ে আসি না। গুমের শিকারে আক্রান্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়াই না। তবে এ লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এগিয়ে আসেন। তাদেরই একজন ছিলেন ব্যারিস্টার পিটার বেনেনসন।  

তখন পর্তুগালে স্বৈরতন্ত্রী নেতা সালাজারের শাসন। দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হওয়ার পরও দুটি ছেলে কোনো সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে পড়েনি। শুধু একটি রেস্টুরেন্টে বসে দুজনে যখন পান খাচ্ছিল সে সময় দুজনে তাদের পানপাত্র ঠেকিয়ে নিজেদের মধ্যে বলেছিল- ‘সালাজারি দুঃশাসনের অবসান কামনায় চিয়ার্স।’ পাশের টেবিলে বসা কোনো গোয়েন্দা বা চরের কানে গিয়েছিল কথাটা। তারা যথাস্থানে রিপোর্ট করেছিল। পরদিনই ছেলে দুটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের এক আইনজীবী পিটার বেনেনসন এক সকালে খবরের কাগজ খুলে দেখেন পর্তুগালের রাজধানী নিসবন শহরে দুটি কলেজের ছাত্রকে পুলিশ দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এ ছোট্ট খবরটি পিটার বেননসনের মর্মে গিয়ে বিঁধেছিল। তিনি ভেবেছিলেন শুধু সালাজারের পর্তুগালে কেন? এমন ঘটনা তো সব দেশেই ঘটছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকেও প্রতিনিয়ত এমন খবর আসে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনগণের নেতাই ক্ষমতায় গিয়ে রাতারাতি পাল্টে যান। তখন সরকারের সামান্যতম সমালোচনাও তিনি বরদাশত করতে পারেন না। তার ক্ষমতার পথ নিরঙ্কুশ করার জন্য তিনি বিরোধীদের পুলিশ লেলিয়ে দেন। বিনা বিচারে বন্দি করে রাখেন। ক্ষমতায় কে কীভাবে আসছেন, ব্যালটে কিংবা বুলেটের মাধ্যমে সেটা বড় কথা নয়। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের অধিকার তারা একইভাবে লঙ্ঘন করছেন এটাই বড় কথা। ক্ষমতায় আসীন কিছু মানুষ বৃহত্তর মানব সমাজকে ভয় অথবা নানা লোভ দেখিয়ে নিজেদের তাঁবেতে রেখে দিয়েছে এটাই খুব ভয়ানক কথা।

পিটার বেনেনসন ঠিক করেন তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তৈরি করবেন যারা রাষ্ট্রের এ স্বৈরাচারী প্রবণতার বিরুদ্ধে জনমত সংগ্রহ করবে। না, কোনো গুপ্ত সন্ত্রাসী আন্দোলন নয়, সুশীল সমাজের কাছে শুধু তারা প্রমাণসহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর স্বৈরাচারের বিবরণগুলো তুলে ধরবে। তিনি ওই উদ্দেশেই তৈরি করেন Amnesty International. আজ যার শাখা-প্রশাখা সারা বিশ্বে বিস্তৃত। মূল দফতর লন্ডনে। বাংলাদেশের রাজনীতির আরেকটি দিক হচ্ছে- একটি দলকে নিজে এককভাবে কুক্ষিগত করা। শুধু কুক্ষিগত করেই ক্ষান্ত হন না তারা। বরং যোগ্য নেতাদের টপকে নিজেই হয়ে ওঠেন সেই দলের সর্বসেরা। সেই দলের মধ্যে তার জনসমর্থন আছে কি নেই সেটা বিবেচ্য নয়। এ সংস্কৃতিগুলোও এসেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। নেহরুর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল (উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) যতদিন বেঁচেছিলেন (১৯৫০, ডিসেম্বর) ততদিন নেহরুর সঙ্গে তার চুলোচুলি লেগেই ছিল। তেমনি প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্র প্রসাদের সঙ্গেও নেহরুর বনিবনা ছিল না। ১৯৫০ সালে প্যাটেলের প্রার্থী পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন কংগ্রেস সভাপতি হন, নেহরু সেটি পছন্দ করেননি। ১৯৫০ এর ডিসেম্বরে প্যাটেলের মৃত্যু হলে নেহরু একরকম জোর করে ট্যান্ডনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন ও নিজেই সভাপতি হয়ে বসেন। নেহরু কড়া হাতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে হাতে রেখে দিয়েছিলেন। ষাটের দশকে তিনি বিভিন্ন রাজ্য থেকে চারজন বিশ্বস্তকে বাছাই করে ওয়ার্কিং কমিটিতে নিয়ে আসেন (১৯৬৪)। ১৯৬৩ সালে তামিলনাড়ু কংগ্রেস নেতা, কামরাজ নাদারকে (তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) নিখিল ভারত কংগ্রেসের সভাপতি করেন। কামরাজ ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও স্বল্প কথার মানুষ। তার সম্পর্কে ঝোক আছে তিনি সবার কথা শুনতেন ও উত্তরে একটা কথাই বলতেন : পাক্কালাম-অর্থাৎ দেখা যাবে, বা দেখছি কী করা যায়।

ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে নেহরুকন্যা ইন্দিরাও কম যাননি। কট্টর গান্ধীবাদী হওয়া সত্ত্বেও মোরারজি দেশাই, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই (১১ জানুয়ারি ১৯৬৬) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হয়ে বসেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবিদার ছিলেন সাতজন। মোরারজি দেশাই, ইন্দিরা গান্ধী, ওয়াই বি চ্যবন, এস কে পাতিল, সঞ্জীব রেড্ডি ও কামরাজ নাদার। লালবাহাদুরের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবন জানান, এ পদের তিনি যোগ্যতম দাবিদার। দুই দিন পরে মঞ্চে হাজির হতে থাকেন উত্তরাধিকারের আরও দাবিদাররা। মোরারজি দেশাই, গুলজারিলাল নন্দ, এস কে পাতিল। সঞ্জীব রেড্ডি ও কামরাজ নাদার স্বয়ং কামরাজকে এক কথায় উড়িয়ে দিলেন সিন্ডিকেটের কর্তারা- হ্যালো মি. কামরাজ, নো ইংলিশ, নো হিন্দি, হাউ? অর্থাৎ, তুমি ইংরেজি জান না, হিন্দি জান না তাহলে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হবে? কামরাজ সব বুঝে সরে পড়লেন। কিন্তু গুলজারিলাল নন্দ আর মোরারজি দেশাই সহজে ছাড়ার পাত্র নন। গুলজারিলাল নন্দ আগের দিন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তার আগে তিনি ছিলেন দক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কামরাজ সরে দাঁড়ানোয় মোরারজি ভরসা পেয়ে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি আরও শক্ত করে তুলে ধরলেন। কংগ্রেস সংসদীয় দলে মোরারজির সমর্থক কম ছিল না। ভোটাভুটিতে মোরারজিই বেরিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু কংগ্রেসের তথাকথিত সিন্ডিকেট যাদের মধ্যে এক নম্বরে কামরাজ, তারা কেউ মোরারজিকে দেখতে পারতেন না। কারণ মোরারজি কারও কথা শোনেন না। নিজে যা ভালো বোঝেন তাই করেন। তাকে সিদ্ধান্ত থেকে সরানো যায় না। তারা সবাই একাট্টা হয়ে ইন্দিরাকে মোরারজির বিরুদ্ধে খাঁড়া করলেন। ইন্দিরা নেহরু তনয়া। বয়স কম। দারুণ স্মার্ট। ভালো ইংরেজি বলেন। রাজনীতিতে অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট।  কিছুদিন মন্ত্রীগিরিও করেছেন লালবাহাদুর মন্ত্রিসভায়। এ ছাড়া সিন্ডিকেট ভেবেছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারবে তারা। মোরারজিকে হটানো যাবে, অন্যদিকে ইন্দিরা ক্ষমতার রাজনীতিতে পাকাপোক্ত নন। তাকেও তারা পুতুল হিসেবে ব্যবহার করবেন। ১৯৬৬ সালের ১৯ জানুয়ারি কংগ্রেস পার্লামেন্টারি নির্বাচনে গোপন ভোটে ইন্দিরা মোরারাজিকে ১৫৫-১৬৯ ভোটে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। পাঁচ দিন পরে এ নির্বাচন নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন লিখেছিল- Troubled India in a WomanÕs Hand. প্রায় নেগেটিভ ভেটে জিতে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। মোরারজি দেশাইর তাতেও কিন্তু প্রেস্টিজ ক্ষুণ হয়নি। মোরারজি যখন ইন্দিরার ডেপুটি হলেন তখন মোরারজির বয়স ৭০ আর ইন্দিরার ৪৮। ২২ বছরের ছোট এক নবীনা নেত্রীর কাছে প্রবীণ গান্ধীবাদী ক্ষমতা ভিক্ষা করছেন, এ ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে আগে ঘটেনি। মোরারজি জানতেন ইন্দিরার কাছে তিনি পদে পদে অপমানিত হবেন। কাজ করতে পারবেন না। তাও তিনি ক্ষমতার মোহে ডেপুটি তো ডেপুটিই সই হলেন। মাত্র দুই বছর তিনি কাজ করতে পেরেছিলেন (১৯৬৭-৬৯)। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সে সময় ইন্দিরার চেয়ে মোরারজির দাবিই যথার্থ ছিল।

অন্যদিকে ইন্দিরা মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য প্রণব মুখার্জি রাজীব গান্ধীর কাছে তার অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করে চাকরিটা খুইয়েছিলেন। ইন্দিরা মন্ত্রিসভার সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায় (অর্থমন্ত্রী)। তিনিই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার। সেদিন রাজীব, প্রবণবাবু ও রেলমন্ত্রী বরকত গনি খান চৌধুরীকে নিয়ে মেদিনীপুরে সভা করছিলেন। ইন্দিরা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে তারা তিনজন বিশেষ বিমানে দিল্লি ফিরছিলেন। ওই প্লেনের মধ্যেই প্রণববাবু নাকি ওই অভিমত দেন যে, সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে তারই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। এ মন্তব্য করার জন্য রাজীব গান্ধী আর তাকে মন্ত্রিসভায় নেননি। এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু রাজীব গান্ধী সে সময় শুধু কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন না। তিনি বলতেন, তিনি কখনোই প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। সেই রাজীব হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হয়ে এ পদে বসতে পারেন সেটা হয়তো প্রণববাবুরও সেদিন সে ধারণা ছিল না। পরবর্তীকালে এ ঘটনার মাধ্যমে তিনি আরও পরিণত হয়েছিলেন, তাই দুই-তিন বছর আগে থেকেই বলতে শুরু করেছেন পরের প্রধানমন্ত্রী যে রাহুল গান্ধী এ নিয়ে যেন কারও সন্দেহ না থাকে।

বর্তমান সময়ের আরেকটি সংস্কৃতি হচ্ছে টাকা দিয়ে পদ কেনা বা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা। পদ-পদবির লড়াইয়ে প্রচলিত নিয়মের বাইরে অর্থ লেনদেনের ঘটনা সমসাময়িক সময়ে বেশ প্রকট। সেক্ষেত্রে নেতা পদ দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করার ঘটনা যেমন রয়েছে, ঠিক একইভাবে পদপ্রার্থী টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই নেতার পেছন পেছনও ঘুরছে এমন ঘটনাও বিস্তর। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের প্রাক্কালে সংসদ সদস্য প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে ওঠে মূল দল, অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার। যে কারণে নিজ আজ্ঞাবহ পদপ্রার্থী যদি যোগ্যতায় কমও হয় তাহলেও সেসব পদলোভীদের অর্থের বিনিময়ে তারা নেতা বানাতে চায়। তবে             দু-চারজন ব্যতিক্রমী সংসদ সদস্য প্রার্থীও রয়েছেন।

অর্থ লেনদেনের এ প্রক্রিয়ার ব্যাপ্তি দিন দিন ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং আদর্শ চর্চাভিত্তিক রাজনীতি এখন আর সমাদৃত হচ্ছে না, বরং মিছিল মিটিংকেন্দ্রিক যোগ্যতার মাতামাতিকে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে বিধায় ইদানীং রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আর মুদি দোকানের ক্রেতার মতো যে যেখানে লাভ বেশি পাচ্ছে সেখানেই চলে যাচ্ছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সৎ ছিলেন বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটি স্বাধীনতা উত্তরকালে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অথচ এ দলটির মধ্যেও যখন পদ কেনা-বেচার মতো বিষয়গুলো দেখা যায় তখন অবাক হতে হয়। ব্যক্তিজীবনে সততা দিয়ে যে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লেখানো যায় তার উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজির শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছিল না। বিলেতফেরত ব্যারিস্টার হয়েও মক্কেলদের আকৃষ্ট করার মতো তার স্মার্টনেস বা বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তিনি চার্চিলের মতো সুবক্তা ছিলেন না। নেহরুর মতো সুপুরুষ ছিলেন না। তার একমাত্র সম্পদ ছিল এক কঠোর ব্যক্তিগত সততা বোধ। মূল্যবোধের প্রতি গভীর অনুরাগ। অথচ আমাদের এ উপমহাদেশে একটি মিথ চালু আছে যে, সততা ও মূল্যবোধকে সম্বল করে রাজনীতিতে বেশি দূর এগোনো যায় না। কিন্তু গান্ধীজি এ সত্য অহিংসাকে মূলধন করেই রাজনীতিতে সফল হয়েছেন। হয়তো তিনি লেনিনের মতো একটি নতুন আদর্শবাদী রাষ্ট্রের প্রধান হতে পারেননি। কিন্তু লেনিনের চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।

গান্ধীজির সততা বা সত্যনিষ্ঠা তার রাজনৈতিক কৌশল নয়- এটি তার আবাল্য সংস্কার। এ জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছে। রাজনীতিতে কৌশল ও অসাধুতাকে সাময়িক স্ট্র্যাটেজি হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হলেও যে নেতা ছোটবেলা থেকে সততার মূল্যবোধ নিয়ে জন্মেছে সে কিন্তু পাকাপাকিভাবে অসৎ সুবিধাবাদী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে না। রাজনৈতিক বক্তৃতার মঞ্চে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে সংকোচবোধ করতেন। তার কারণ তার লাজুকতা। এটি ছাড়াও তার নীতিবোধ এত তীব্র ছিল যে মোটা ফির বিনিময়ে সেই নীতিবোধ ত্যাগ করেননি। সততা তার সহজাত বৃত্তি ছিল। সততার মূল্যবোধ ছোটবেলা থেকে তার মধ্যে কাজ করত। আত্মজীবনীতে তিনি সেসব কথা লিখেছেন অকপটে।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

ইমেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
ফয়সালাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৬
ফয়সালাবাদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৬

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

মেসির ম্যাচ দিয়েই খুলছে ইন্টার মায়ামির স্বপ্নের স্টেডিয়াম
মেসির ম্যাচ দিয়েই খুলছে ইন্টার মায়ামির স্বপ্নের স্টেডিয়াম

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে শীতের সবজির দাম চড়া
শেরপুরে শীতের সবজির দাম চড়া

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

১৭ মিনিট আগে | শোবিজ

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৩১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কুমারখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
কুমারখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

লবণাক্ত পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তর করবে সূর্যের আলো : শাবিপ্রবির গবেষণা
লবণাক্ত পানিকে মিঠা পানিতে রূপান্তর করবে সূর্যের আলো : শাবিপ্রবির গবেষণা

৫৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা
টেকনাফে ঘরের দেয়াল ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে নিল অস্ত্রধারীরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার
জামায়াত আমিরের চট্টগ্রাম সফর শনিবার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪০

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা
২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি
আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন
আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?
ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা