মাদক সিন্ডিকেট শক্তিশালী। তাদের হাত দীর্ঘ। বিস্তার দেশজুড়ে। প্রভাব প্রায় সর্বত্র। সেই মাদকের রসায়ন মানুষের শরীর ও মনের ওপর যে তন্দ্রাচ্ছন্নতার প্রভাব ফেলে, এর প্রতি তীব্র আসক্তি ব্যক্তিকে তিলে তিলে চরম শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়। ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে পরিবার, পরিপার্শ্ব ও সমাজে। অথচ অনাদিকাল ধরে নিয়ন্ত্রিত পন্থায় নানা ধরনের মাদক উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার চলছে প্রায় সব সমাজে। এর অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও নির্বিচার ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিশোর ও তরুণ শ্রেণি। বাদ যাচ্ছেন না বয়স্ক নারী-পুরুষও। এদের নাগালে মাদকদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ প্রক্রিয়ায়। এর প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় ঘাটতি নেই। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান চলে। অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, কারবারি ও সেবনকারীদের আটকও করা হয়। যথারীতি মামলাও হয়। এরকম মামলার পাহাড় জমে উঠেছে। বিচারাধীন মাদক মামলার সংখ্যা প্রায় ৮৩ হাজার। সমস্যাটা এখানেই। তদন্তে ফাঁক ও সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলার সংখ্যা বাড়ছে। চার্জশিটের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সাক্ষ্য এবং জব্দ আলামতের তালিকার গরমিলসহ বেশ কিছু কারণে সাজা থেকে বেঁচে যাচ্ছে মাদক মামলার অনেক আসামি। এর অন্যতম কারণ- মাদকের পেছনের সিন্ডিকেট। তারাই কলকাঠি নাড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাদকবিরোধী সব পদক্ষেপে। মাদক মামলার বিচারে সাক্ষী পাওয়া যায় না। যারা আসে তারাও ঠিকমতো সাক্ষী দেয় না। মামলার নিষ্পত্তি হয় না। এ ছাড়া আদালতের অপর্যাপ্ততাও রয়েছে। এতে জমে মামলার জট। অপরাধীদের সাজা বিলম্বিত হওয়ায় মাদকের থাবা বিস্তৃত হয়। কারবারিদের দৌরাত্ম্য চলতেই থাকে। সর্বনাশা এ মাদক সন্ত্রাস থেকে সমাজ রক্ষায় দ্রুততম বিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক। প্রয়োজনে বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে