শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

বাবরের সমাধি ও সম্রাট নেবুচাঁদ নেজারের ঝুলন্ত বাগান

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বাবরের সমাধি ও সম্রাট নেবুচাঁদ নেজারের ঝুলন্ত বাগান

যিশুর জন্মের আনুমানিক ৬২০ বছর আগের ঘটনা। সে সময় ব্যবিলনের রাজা ছিলেন দ্বিতীয় নেবুচাঁদ নেজার। রাজা নেবুচাঁদ তখনো বিয়ে করেনি। এবার প্রজাদের দাবি তাদের প্রাণপ্রিয় রাজা বিয়ে করুন। কোনো দেশের ফুটফুটে পরির মতো রাজকুমারীকে রাজ্যের রানি করে আনা হোক।

পারস্যের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের দিকে মেডিয়া নামে যে রাজ্যটি আছে, সে রাজ্যের রাজকুমারী আমিতিসের রূপ, গুণ, শিক্ষা ও শিষ্টাচারের সুনাম সমগ্র প্রাচ্যজুড়ে। প্রজাদের অভিপ্রায় বুঝে মহামহিম নৃপতি নেবুচাঁদ নেজারও ভাবলেন, রানি যদি করতেই হয় তাহলে আমিতিসকেই ব্যবিলন রাজ্যের রানি করে আনবেন তিনি। না হলে নয়। ব্যবিলনের রাজধানী বাগদাদ সে সময় শিক্ষা, দীক্ষা ও সভ্যতার তীর্থভূমি। আর সে রাজ্যের বিখ্যাত অধিপতি সম্রাট দ্বিতীয় নেবুচাঁদ পাঠিয়েছেন বিয়ের সম্বন্ধ। এ তো ভাগ্যের ব্যাপার। মহা হইচই, ধুমধাম ও চোখ ধাঁধানো যজ্ঞের মধ্য দিয়ে নেবুচাঁদের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল রাজকুমারী আমিতিসের। রাজার প্রাসাদ দেখে রানিও ভীষণভাবে অভিভূত ও মুগ্ধ। সেও না হয় হলো, কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নেবুচাঁদ লক্ষ্য করলেন রানির মুখে হাসি নেই। সব সময় মুখ কেমন যেন গোমড়া করে রাখেন রানি।

নেবুচাঁদ কৌতূহলী কণ্ঠে রানিকে একদিন জিজ্ঞেস করলেন- ‘আচ্ছা রানি আপনি আমায় খুলে বলুন তো আপনার বিষণ্ণতার কী কারণ। আমি লক্ষ্য করেছি বাগদাদের এ প্রাসাদে আপনার পদরেণু পড়ার পর থেকেই আপনি কেমন যেন বিষণ্ণ ও উদাস। মনে হয় যেন রাজ্যের মলিনতা এসে ভর করেছে আপনার অবয়বে। আপনাকে সব সময় দেখায় দুঃখী, অসুখী ও বিষাদগ্রস্ত। দয়া করে আমায় খুলে বলুন এর হেতু। রানি আমিতিস ইতস্তত কণ্ঠে বললেন- কী আর বলব রাজন। মেডিয়া রাজ্যের রাজপ্রাসাদের যে কক্ষে আমি থাকতাম সেই কক্ষের গবাক্ষ দিয়ে চোখ রাখলেই আমার চোখ জুড়িয়ে যেত। আমাদের প্রাসাদের পাশ ঘেঁষে ঢেউয়ের মতো খেলানো সারি সারি পাহাড় আর সেই পাহাড়ে শোভা পায় শতসহস্র ঘন সবুজ বৃক্ষরাজি। সেখানে গান গায় কত নাম জানা-অজানা পাখি। মৌ নিতে ছুটে আসে মৌমাছির ঝাঁক। ফুলে ফুলে খেলা করে কত শত রংবেরঙের প্রজাপতি। ফুলের গন্ধে মন্ডম করে চারপাশ। সবকিছু এতটাই নিকটে যে, মনে হয় যেন আমার ঘরের জানালা দিয়ে সেই বৃক্ষরাজির ছোঁয়া যায় অনায়াসে।

আমার শৈশব, কৈশোর ও এ যৌবনের সবটুকু সময় কেটেছে আমাদের প্রাসাদ লাগোয়া ওই মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে। সারি সারি সবুজ গাছপালা, ফুল, পাখি আমার বড়ই পছন্দ। আপনার এখানে আমি বেশ সুখেই আছি বলা যায়। কিন্তু আমার অতি প্রিয় বৃক্ষরাজির সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আপনাদের এ অঞ্চলটা বড়ই শুষ্ক, রুক্ষ ও ধূসর। সবুজ গাছপালা, ফুল, পাখি, প্রজাপতি এগুলো ছাড়া কি সৌন্দর্যের খোলতাই হয়। মহারাজ, প্রকৃতি ও গাছপালার সান্নিধ্যে কাটানো দিনগুলোর কথা ভেবে আমি ক্রমেই যেন গৃহকাতর হয়ে পড়ছি।

আমার শুধুই নিজপ্রাসাদের কথা মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে যেন এখনই ছুটে যাই সেখানে। রাজা নেবুচাঁদ ডান হাত দিয়ে চিবুক ঘষতে ঘষতে বললেন, এই কথা!! তাহলে তো এর একটা বিহিত করতেই হয়। রানি কণ্ঠে আশ্চর্যের আভাস তুলে বললেন, এর বিহিত কীভাবে করবেন রাজন? রাজা নেবুচাঁদ কণ্ঠটা একটু চড়িয়ে বললেন, দেখাই যাক না। অসম্ভব বলে তো কিছু নেই। রাজা নেবুচাঁদ অবিলম্বে তার সভাসদ ও রাজ আমাত্যদের ডেকে পাঠালেন। তিনি তাদের উদ্দেশ করে বললেন, আমি একটা অনিন্দসুন্দর বাগানসহ প্রাসাদ করতে চাই। আপনাদের কী মত? তবে বাগানটি নির্মিত হবে ভূমিতে নয় মাটি থেকে ওপরে। যেন নিজ কক্ষ থেকে সরাসরি বাগানে প্রবেশ করা যায়। জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃক্ষের পল্লব ছোঁয়া যায়। স্পর্শ করা যায় নবপত্রযুক্ত কচিডালের অগ্রভাগ। সভাসদ ও আমাত্যগণ আর্তনাদ করে উঠলেন- এতো বহু অর্থ মূল্যের অভিলাস জাঁহাপনা। হোক ব্যয় বহুল, তারপরও আমার চাই এমন একটি বিশাল বাগান যা হবে ব্যবিলন সাম্রাজ্যের দৃষ্টান্ত। দেশ দেশান্তর থেকে মানুষ আসবে সেই বাগান দেখতে। দেখে বলবে, হ্যাঁ এটি একটি বাগানই বটে!!! এটা হবে এই ব্রহ্মান্ডে প্রথম শূন্যোদ্যান। সব রাজআমাত্য ও সভাসদগণ লেগে গেলেন রাজার স্বপ্নপূরণে। সেই সময়কার পৃথিবীখ্যাত সব নগরবিদ, স্থাপত্যবিদ ও প্রকৌশলীদের নিযুক্ত করা হলো এ কাজে।

গ্রিসের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ডিওরডরাস সিকুলাস লিখেছেন, বিস্ময়কর সেই ঝুলন্ত উদ্যানটি নির্মিত হয়েছিল ভূমি থেকে প্রায় ৭৫ ফুট ওপরে। বাগানটির দৈর্ঘ্যে ৪০০ ফুট, প্রস্থও ৪০০ ফুট। বাগানটিতে সেচের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হতো ৮ হাজার ২০০ গ্যালন পানি। পানি সরবরাহ হতো প্রাসাদের নিকটবর্তী ইউফ্রেটিস নদী থেকে। কিন্তু এই ৮ হাজার ২০০ গ্যালন পানি কীভাবে রোজ পাম্প করে ওপরে তোলা হতো সেটা বিজ্ঞানীদের কাছে আজও বিস্ময়।

তবে এ কথা কুণ্ঠাহীনভাবেই বলা যায় যে, ব্যবিলনের রানি আমিতিস কিংবা রাজা নেবুচাঁদ নেজারেরই যে শুধু উদ্যানপ্রীতি ছিল, তেমনটা নয়। এমন আরও অনেক রাজা, মহারাজা যারা গাছপালা, তরুলতা, ফুল-ফল এসবের গুরুত্ব বুঝতেন, যদিও সে সময় বিজ্ঞান এতদূর পৌঁছেনি। তারা হয়তো জানতেনই না গাছ আমাদের অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু তারপরও তারা বুঝতে পেরেছিলেন বৃক্ষ মানুষের জীবনে অপরিহার্য অংশ। আমার এ মুহূর্ত আরেকজন সম্রাটের কথা মনে পড়েছে।

ফরাসি সম্রাট চৌদ্দতম লুই। যিনি ১৬৪৩ সাল থেকে ১৭১৫ সাল পর্যন্ত টানা ৭২ বছর ফ্রান্সে রাজত্ব করেছিলেন। যার হাত দিয়ে নির্মিত হয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত ভার্সাই প্রাসাদ। ফ্রান্সের প্রজারা তাকে ডাকত সূর্য রাজা বলে। সেটা ১৬৬১ সালের ঘটনা। হঠাৎ রাজার কানে এলো অর্থমন্ত্রী নিকোলাস ফুকে রাজকীয় কোষাগার থেকে অর্থ তছরুপ করে নিজ প্রাসাদের সামনে রাজকীয় এক বাগান তৈরি করেছেন। রাজা লুই অর্থমন্ত্রীকে বললেন, মহাশয়, একদিন আপনার বাড়িতে বেড়াতে যেতে চাই। স্বয়ং রাজা আগ্রহ প্রকাশ করছেন অর্থমন্ত্রীর বাড়ি যাবেন। মন্ত্রী তো আর না করতে পারেন না। লুইকে তাই নিমন্ত্রণ করতেই হলো একদিন। রাজা লুই নিকোলাসের বাগান দেখে তাজ্জব বনে গেলেন। কোনো দেশের মহারাজার বাগানও তো এতো ঐশ্বর্যমন্ডিত ও গৌরবোজ্জ্বল হয় না। রাজা লুই মন্ত্রী নিকোলাসের কাছে জানতে চাইলেন, এমন মনোরম বাগানের স্থপতি কে? তিনি আরও বললেন- এমন একটি অপরূপ দৃষ্টিনন্দন বাগান শুধু ভার্সাই প্রাসাদের সঙ্গেই মানানসই। যে তিনজন বাগানবিদ মন্ত্রী নিকোলাসের বাগানটি তৈরি করেছিলেন তাদের রাজা নির্দেশ দিলেন অবিলম্বে এমন একটি বাগান ভার্সাই প্রাসাদের সম্মুখে করতে হবে। টাকা যা খরচ হয় হোক। সেই সঙ্গে সূর্যসম্রাট লুই এও বললেন যে, তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাগান নির্মাণের দিকনির্দেশনা দেবেন। ৮ হাজার হেক্টর অর্থাৎ প্রায় ৭০ হাজার বিঘা জমির ওপর নির্মিত হলো রাজা চৌদ্দতম লুইয়ের বাগান। তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হলো সেই বাগানে। কথিত আছে রাজা লুই যেহেতু কমলা ফল পছন্দ করতেন, সেহেতু পঞ্চাশ প্রজাতির শুধু কমলা গাছই রোপিত হয়েছিল বাগানে। ভারত, চীন, গ্রিস প্রভৃতি দেশ থেকে রাজা লুই আনিয়েছিলেন ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির কমলা ফলের চারা।

ইতিহাস ঘাটলে হয়তো অনেক রাজা, মহারাজা নৃপতি কিংবা সম্রাটের নাম পাওয়া যাবে যারা ব্যক্তি জীবনে হয়তো ছিলেন ভীষণভাবে বৃক্ষপ্রেমী ও বাগানবিলাসী। কিন্তু মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের মতো বাগান, ফুল, ফল ও বৃক্ষপ্রেমীর তুলনা বিশ্বে বিরল। ইতিহাসবিদরা তাকে আখ্যা দিয়েছেন ইতিহাসের অসামান্য বাগানবিলাসী রাজা। সম্রাট বাবর বাগান ভালোবাসতেন ভীষণ। তারই আমলে একটি নির্দিষ্ট জমিকে চার ভাগে ভাগ করে বাগান বানানো হতো, একে বলা হতো ‘চাহার বাগ’। চাহার বাগ শব্দটি হলো ফারসি শব্দ, হিন্দিতে একে চার বাগ বলা হয়। এ ধরনের বাগানে ফুলের গাছ লাগিয়ে মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হতো। মুঘল শাসকরা তাদের সাম্রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি অন্যান্য নন্দনতাত্ত্বিক বিষয় সম্প্রসারণেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সুদূর মধ্য এশিয়া এবং পারস্য থেকে এ ধরনের বাগানের ধারণা তারাই প্রথম ভারতবর্ষে নিয়ে এসেছিল বলে অনুমান করা হয়। ব্যক্তিজীবনে সম্রাট বাবর ছিলেন কবি, লেখক ও সাহিত্যানুরাগী। তার লেখা আত্মজীবনী ইতিহাসের এক মহামূল্যবান সম্পদ। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পন্ডিতদের মতে সম্রাট বাবরের আত্মজীবনীর তুলনা চলে শুধু বিশ্বের চারখানা বইয়ের সঙ্গে। সাত শ খ্রিষ্টাব্দের দিকে চার্চের পাদ্রি সেইন্ট অগাস্টিন লিখিত ‘কনফেশন’। ১৭০০ সালের দিকে লেখা বিখ্যাত দার্শনিক রুশোর গ্রন্থের নামও ছিল ‘কনফেশন’। জ্যাক রুশো অবশ্য তার পূর্বসূরি লেখক সেইন্ট অগাস্টিনের লেখা বইটাকেই অনুসরণ করেছেন। অগাস্টিন যেমন তার বইয়ে তার জীবনের পাপ, পঙ্কিলতা ও কদর্য দিকগুলো তুলে ধরেছেন। রুশোও তাই করেছেন। অন্যদিকে বাবরের আত্মজীবনীর সঙ্গে আর যে দুটি বইয়ের তুলনা পন্ডিতেরা করেছেন তা হলো গিবন ও বিজ্ঞানী নিউটনের লিখিত স্মৃতিকথা। সে যা হোক, বাবরের আত্মজীবনী পড়লে বোঝা যায় গাছপালা, বৃক্ষ, ফুল, ফল, বাগান এসবের প্রতি তার ছিল কি সীমাহীন অনুরাগ।

সম্রাট বাবর আফগানিস্তানের কাবুল জয় করেছিলেন ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে। তারপর তিনি জয় করেন ভারত। বাবরের মৃত্যু ঘটে আগ্রায় ১৫৩০ সালে। তার শেষ ইচ্ছা ছিল কাবুলে তিনি যে ১০টি অনিন্দ্য সুন্দর বাগান তৈরি করেছিলেন তাকে সেখানেই সমাহিত করা হোক । তার সেই ইচ্ছা অনুসারে তার বিধবা স্ত্রী ১৫৪৪ সালে আগ্রা থেকে তার সমাধি সরিয়ে নিয়ে কাবুলে পাঠান। তাকে আবার সমাহিত করা হয় তার তৈরি সেই বাগানে। বাবরের আত্মজীবনীর অনেকটা অংশজুড়ে আছে কাবুলের মতো রুক্ষ ও শুষ্ক ভূমিতে তিনি কীভাবে বাগান তৈরি করেছিলেন। নিরেট পাথরে ফুটিয়েছিলেন রংবেরঙের ফুল। তিনি তার বইতে লিখেছেন, ‘কাবুল দেশটা পাথুরে। বিদেশি কিংবা শত্রুর পক্ষে এ দেশ দুর্গম। এর উষ্ণ ও শীতপ্রধান অঞ্চলগুলো পাশাপাশি। এক দিনেই তুমি এমন জায়গায় যেতে পার যেখানে তুষারপাত হয় না। আবার সেখান থেকে দুই ঘণ্টার পথ চললেই এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেখানে অবিরাম তুষারপাত হচ্ছে। কাবুলের উত্তর পশ্চিমে চলকের বিস্তৃত তৃণক্ষেত্র।

এগারো বারো রকমের ভাষা কাবুলে চলতি যেমন- আরবি, ফারসি, তুর্কি, মোগলি, হিন্দি, আফগানি, পাশাই, পরাচি, গেবেরি, বেরেকি ও লামঘানি। পাহাড়ের পথে নিচে নেমে এলে তুমি এক অন্য জগতে পৌঁছে গেছ। এখানকার বড় বড় গাছ, শস্য, পশু, সবই অন্য ধরনের। এদিকের জনসাধারণের ব্যবহার রীতিনীতিও আলাদা। কাফেরিস্তানের পার্বত্য প্রদেশে নোয়ারের পিতা সাধু লোমোচের সমাধি আছে। পর্বতগুলোর প্রান্তভাগ নানা ধরনের টিউলিপ গাছে ভর্তি। আমি আমার লোকদের কত রকমের টিউলিপের গাছ আছে গুনে দেখতে বলেছিলাম। তারা নানা রকমের তেত্রিশটা গাছ এনে হাজির করে। এখানে খুব বড় বড় সুন্দর ঝাঁকড়া মাথা গাছ আছে। আমি নদীর ধারে ধারে উদ্যান রচনা করি। একটা পাহাড়ের ধারে আমি ফোয়ারা তৈরি করার আদেশ দিই। এখানে পীতবর্ণের আর খুবান ফুলের গাছ অপর্যাপ্ত। যখন সেই গাছে লাল রঙের ছিটে দেওয়া পীতবর্ণের ফুল ফোটে তখন এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য হয় যে তা দেখে আমার মনে হতো যে পৃথিবীতে এর চেয়ে সুন্দর স্থানের কথা কল্পনাতেও আনা যায় না।’ মুঘল সম্রাট বাবরের নন্দনতাত্ত্বিক এ বিষয় ভাবনাগুলো পরবর্তীকালে তাদের উত্তরসূরিদের মধ্যেও দেখা গিয়েছিল। মুঘল সম্রাট আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান ও বাগানের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। সে কালের ভারতের চাহর বাগের নিদর্শন বললে প্রথমেই মনে পড়বে পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত শালিমার বাগের কথা।

লাহোর শহরের ৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের পাশে বাগবানপুরা এলাকায় এ উদ্যানের অবস্থান। মধ্য এশিয়া, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, পারস্য ও দিল্লি সালতানাতের চিত্রশৈলী এতে প্রাধান্য পেয়েছে। শালিমার বাগের একটি ইতিহাস রয়েছে। বাগবানপুরার আরাইন মিয়া পরিবারের ভূমিতে এ স্থাপত্যটি নির্মিত হয়েছে। মুঘল সাম্রাজ্যকে অনবদ্য সেবা দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাজকীয় উপাধি ‘মিয়া’ লাভ করেছিলেন। তৎকালীন গৃহস্বামী মিয়া মোহাম্মদ ইউসুফ সম্রাট শাহজাহানকে ইশাক পুরার এ জমিটিতে রাজ প্রকৌশলী কর্তৃক উদ্যান তৈরিতে ভালো অবস্থান ও মাটির গুণাগুণের কারণে স্বত্ব ত্যাগ করেন। বিনিময়ে সম্রাট শাহজাহান পরিবারটিকে শালিমার উদ্যান পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেন। এখনো এ উদ্যানটি মিয়া পরিবার কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

যদিও এ উদ্যানের সার্বিক উৎকর্ষ এবং নান্দনিকতার জন্য সম্রাট জাহাঙ্গীরকেই কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে। শালিমার বাগের নির্মাণ কৌশলেও রয়েছে ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর বৈশিষ্ট্য। পার্সিয়ান গার্ডেনের আদলে এটি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ এ বাগে রয়েছে অসংখ্য ঝরনা এবং কৃত্রিম জলপ্রপাত। সমগ্র বাগিচার আয়তন প্রায় ৩১ একর। যার বিস্তীর্ণ পথ সবুজ ঘাসে মোড়া। দূর থেকে দেখলে সবুজ গালিচা মনে হতে পারে। সবুজ গালিচায় কিঞ্চিৎ বিশ্রাম নেওয়ার স্বাদ ভ্রমণকারীদের মনে জাগতেই পারে। লাল-নীল-কমলা-সাদা রংবেরঙের এবং বহু বিচিত্র প্রজাতির ফুল এবং অর্কিডের শোভা যেন বাগানটিকে আরও বেশি উৎকর্ষ দিয়েছে। শালিমার বাগের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো সারিবদ্ধ ম্যাপেল গাছ, শুকনো ম্যাপল গাছের পাতা যখন বাগানের রাস্তায় ইতিউতি ছড়িয়ে থাকে, তখন তার নন্দনতাত্ত্বিক সৌন্দর্য মনকে শান্ত করে, আনন্দ দেয়।

শালিমার বাগের মধ্যেই চোখে পড়বে সুদৃশ্য ‘দেওয়ান-ই-আম’এর দরবার। কার্যত এ দরবার হলেই সম্রাট সবার সঙ্গে দেখা করতেন, প্রজাদের আর্জিও শুনতেন। এটি একেবারে বাগের শেষ প্রান্তে অবস্থিত। মোটের ওপর শালিমার বাগের সৌন্দর্য দেখে যদি একে এক টুকরা বেহেশত বলে মনে হয়, তাহলে বোধ হয় ভুল হবে না।

ভারতবর্ষে সুলতানি এবং মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস বরাবরই ঐতিহাসিকদের বিস্মিত করেছে। তাদের সাম্রাজ্য পরিচালন নীতি, প্রজাকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি, একই সঙ্গে তাদের নন্দনতাত্ত্বিক এবং স্থাপত্যশৈলীর প্রতি এক আত্মিক টান বরাবরই সুপ্রসিদ্ধ। আজকের দিনে ক্রমবর্ধমান এ বিশ্ব-উষ্ণায়ন তথা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা যদি ফিরে যেতে পারি সেই মুঘল সাম্রাজ্যের কালে, তাহলে হয়তো পেতে পারি এক টুকরা সবুজ, সতেজ হাওয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের জীবনযাত্রার নানা পরিবর্তন ঘটলেও প্রকৃতির প্রতি আত্মিক যোগাযোগ চিরন্তন। আজকের এ ব্যস্ত সময়ে দাঁড়িয়েও মানুষ যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছোঁয়া বা আভাস পেতে চায়, মুঘল শাসকরাও ঠিক তেমনইভাবে প্রকৃতিকে দেখেছে এবং প্রাকৃতিক সংরক্ষণের প্রতি এক সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। কালের বিবর্তনে বিভিন্ন নৃপতিদের বৃক্ষ, বাগান, উদ্যানপ্রীতি সেগুলোরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

♦ লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
একীভূত ব্যাংক
একীভূত ব্যাংক
নির্বাচনের ঢেউ
নির্বাচনের ঢেউ
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
সর্বশেষ খবর
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় গ্যারেজে আগুন
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় গ্যারেজে আগুন

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে পুরান ঢাকার বংশালে অগ্নিকাণ্ড
মধ্যরাতে পুরান ঢাকার বংশালে অগ্নিকাণ্ড

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

গাজার ‘হলুদ রেখা’ লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার ‘হলুদ রেখা’ লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই ফিলিস্তিনি নিহত

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন
হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন
রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে আ.লীগ-জাপার ৫৬ ইউপি সদস্যের বিএনপিতে যোগদান
লালমনিরহাটে আ.লীগ-জাপার ৫৬ ইউপি সদস্যের বিএনপিতে যোগদান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটাই আমার সেরা সময়: হলান্ড
এটাই আমার সেরা সময়: হলান্ড

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুড়িগ্রামে পাঠাগার উদ্বোধন করলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক
কুড়িগ্রামে পাঠাগার উদ্বোধন করলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বকাপ জিতে পুলিশে চাকরিসহ একাধিক পুরস্কারে ভাসলেন রিচা
বিশ্বকাপ জিতে পুলিশে চাকরিসহ একাধিক পুরস্কারে ভাসলেন রিচা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে দেওয়ানী আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৫ শতাংশ
সিলেটে দেওয়ানী আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৫ শতাংশ

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেষ মুহূর্তের গোলে টটেনহ্যামের মাঠে হার এড়াল ইউনাইটেড
শেষ মুহূর্তের গোলে টটেনহ্যামের মাঠে হার এড়াল ইউনাইটেড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিস্ট নির্মূলের: মিনু
আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিস্ট নির্মূলের: মিনু

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট
শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান
মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে মদসহ আটক ২
বান্দরবানে মদসহ আটক ২

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান
নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল
শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন
যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন

১৯ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা
ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়ানগালায় মেতেছেন শিল্পীরা
ওয়ানগালায় মেতেছেন শিল্পীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট
১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ২০ বাধা
জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ২০ বাধা

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

কাকরাইলে চার্চের ফটকে ককটেল নিক্ষেপ
কাকরাইলে চার্চের ফটকে ককটেল নিক্ষেপ

খবর

নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কয়েকটি দল
নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কয়েকটি দল

নগর জীবন

শ্রমিকদের মানববন্ধন প্রেস ক্লাবের সামনে
শ্রমিকদের মানববন্ধন প্রেস ক্লাবের সামনে

পেছনের পৃষ্ঠা