শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

বাবরের সমাধি ও সম্রাট নেবুচাঁদ নেজারের ঝুলন্ত বাগান

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বাবরের সমাধি ও সম্রাট নেবুচাঁদ নেজারের ঝুলন্ত বাগান

যিশুর জন্মের আনুমানিক ৬২০ বছর আগের ঘটনা। সে সময় ব্যবিলনের রাজা ছিলেন দ্বিতীয় নেবুচাঁদ নেজার। রাজা নেবুচাঁদ তখনো বিয়ে করেনি। এবার প্রজাদের দাবি তাদের প্রাণপ্রিয় রাজা বিয়ে করুন। কোনো দেশের ফুটফুটে পরির মতো রাজকুমারীকে রাজ্যের রানি করে আনা হোক।

পারস্যের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের দিকে মেডিয়া নামে যে রাজ্যটি আছে, সে রাজ্যের রাজকুমারী আমিতিসের রূপ, গুণ, শিক্ষা ও শিষ্টাচারের সুনাম সমগ্র প্রাচ্যজুড়ে। প্রজাদের অভিপ্রায় বুঝে মহামহিম নৃপতি নেবুচাঁদ নেজারও ভাবলেন, রানি যদি করতেই হয় তাহলে আমিতিসকেই ব্যবিলন রাজ্যের রানি করে আনবেন তিনি। না হলে নয়। ব্যবিলনের রাজধানী বাগদাদ সে সময় শিক্ষা, দীক্ষা ও সভ্যতার তীর্থভূমি। আর সে রাজ্যের বিখ্যাত অধিপতি সম্রাট দ্বিতীয় নেবুচাঁদ পাঠিয়েছেন বিয়ের সম্বন্ধ। এ তো ভাগ্যের ব্যাপার। মহা হইচই, ধুমধাম ও চোখ ধাঁধানো যজ্ঞের মধ্য দিয়ে নেবুচাঁদের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল রাজকুমারী আমিতিসের। রাজার প্রাসাদ দেখে রানিও ভীষণভাবে অভিভূত ও মুগ্ধ। সেও না হয় হলো, কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নেবুচাঁদ লক্ষ্য করলেন রানির মুখে হাসি নেই। সব সময় মুখ কেমন যেন গোমড়া করে রাখেন রানি।

নেবুচাঁদ কৌতূহলী কণ্ঠে রানিকে একদিন জিজ্ঞেস করলেন- ‘আচ্ছা রানি আপনি আমায় খুলে বলুন তো আপনার বিষণ্ণতার কী কারণ। আমি লক্ষ্য করেছি বাগদাদের এ প্রাসাদে আপনার পদরেণু পড়ার পর থেকেই আপনি কেমন যেন বিষণ্ণ ও উদাস। মনে হয় যেন রাজ্যের মলিনতা এসে ভর করেছে আপনার অবয়বে। আপনাকে সব সময় দেখায় দুঃখী, অসুখী ও বিষাদগ্রস্ত। দয়া করে আমায় খুলে বলুন এর হেতু। রানি আমিতিস ইতস্তত কণ্ঠে বললেন- কী আর বলব রাজন। মেডিয়া রাজ্যের রাজপ্রাসাদের যে কক্ষে আমি থাকতাম সেই কক্ষের গবাক্ষ দিয়ে চোখ রাখলেই আমার চোখ জুড়িয়ে যেত। আমাদের প্রাসাদের পাশ ঘেঁষে ঢেউয়ের মতো খেলানো সারি সারি পাহাড় আর সেই পাহাড়ে শোভা পায় শতসহস্র ঘন সবুজ বৃক্ষরাজি। সেখানে গান গায় কত নাম জানা-অজানা পাখি। মৌ নিতে ছুটে আসে মৌমাছির ঝাঁক। ফুলে ফুলে খেলা করে কত শত রংবেরঙের প্রজাপতি। ফুলের গন্ধে মন্ডম করে চারপাশ। সবকিছু এতটাই নিকটে যে, মনে হয় যেন আমার ঘরের জানালা দিয়ে সেই বৃক্ষরাজির ছোঁয়া যায় অনায়াসে।

আমার শৈশব, কৈশোর ও এ যৌবনের সবটুকু সময় কেটেছে আমাদের প্রাসাদ লাগোয়া ওই মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে। সারি সারি সবুজ গাছপালা, ফুল, পাখি আমার বড়ই পছন্দ। আপনার এখানে আমি বেশ সুখেই আছি বলা যায়। কিন্তু আমার অতি প্রিয় বৃক্ষরাজির সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আপনাদের এ অঞ্চলটা বড়ই শুষ্ক, রুক্ষ ও ধূসর। সবুজ গাছপালা, ফুল, পাখি, প্রজাপতি এগুলো ছাড়া কি সৌন্দর্যের খোলতাই হয়। মহারাজ, প্রকৃতি ও গাছপালার সান্নিধ্যে কাটানো দিনগুলোর কথা ভেবে আমি ক্রমেই যেন গৃহকাতর হয়ে পড়ছি।

আমার শুধুই নিজপ্রাসাদের কথা মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে যেন এখনই ছুটে যাই সেখানে। রাজা নেবুচাঁদ ডান হাত দিয়ে চিবুক ঘষতে ঘষতে বললেন, এই কথা!! তাহলে তো এর একটা বিহিত করতেই হয়। রানি কণ্ঠে আশ্চর্যের আভাস তুলে বললেন, এর বিহিত কীভাবে করবেন রাজন? রাজা নেবুচাঁদ কণ্ঠটা একটু চড়িয়ে বললেন, দেখাই যাক না। অসম্ভব বলে তো কিছু নেই। রাজা নেবুচাঁদ অবিলম্বে তার সভাসদ ও রাজ আমাত্যদের ডেকে পাঠালেন। তিনি তাদের উদ্দেশ করে বললেন, আমি একটা অনিন্দসুন্দর বাগানসহ প্রাসাদ করতে চাই। আপনাদের কী মত? তবে বাগানটি নির্মিত হবে ভূমিতে নয় মাটি থেকে ওপরে। যেন নিজ কক্ষ থেকে সরাসরি বাগানে প্রবেশ করা যায়। জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃক্ষের পল্লব ছোঁয়া যায়। স্পর্শ করা যায় নবপত্রযুক্ত কচিডালের অগ্রভাগ। সভাসদ ও আমাত্যগণ আর্তনাদ করে উঠলেন- এতো বহু অর্থ মূল্যের অভিলাস জাঁহাপনা। হোক ব্যয় বহুল, তারপরও আমার চাই এমন একটি বিশাল বাগান যা হবে ব্যবিলন সাম্রাজ্যের দৃষ্টান্ত। দেশ দেশান্তর থেকে মানুষ আসবে সেই বাগান দেখতে। দেখে বলবে, হ্যাঁ এটি একটি বাগানই বটে!!! এটা হবে এই ব্রহ্মান্ডে প্রথম শূন্যোদ্যান। সব রাজআমাত্য ও সভাসদগণ লেগে গেলেন রাজার স্বপ্নপূরণে। সেই সময়কার পৃথিবীখ্যাত সব নগরবিদ, স্থাপত্যবিদ ও প্রকৌশলীদের নিযুক্ত করা হলো এ কাজে।

গ্রিসের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ডিওরডরাস সিকুলাস লিখেছেন, বিস্ময়কর সেই ঝুলন্ত উদ্যানটি নির্মিত হয়েছিল ভূমি থেকে প্রায় ৭৫ ফুট ওপরে। বাগানটির দৈর্ঘ্যে ৪০০ ফুট, প্রস্থও ৪০০ ফুট। বাগানটিতে সেচের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হতো ৮ হাজার ২০০ গ্যালন পানি। পানি সরবরাহ হতো প্রাসাদের নিকটবর্তী ইউফ্রেটিস নদী থেকে। কিন্তু এই ৮ হাজার ২০০ গ্যালন পানি কীভাবে রোজ পাম্প করে ওপরে তোলা হতো সেটা বিজ্ঞানীদের কাছে আজও বিস্ময়।

তবে এ কথা কুণ্ঠাহীনভাবেই বলা যায় যে, ব্যবিলনের রানি আমিতিস কিংবা রাজা নেবুচাঁদ নেজারেরই যে শুধু উদ্যানপ্রীতি ছিল, তেমনটা নয়। এমন আরও অনেক রাজা, মহারাজা যারা গাছপালা, তরুলতা, ফুল-ফল এসবের গুরুত্ব বুঝতেন, যদিও সে সময় বিজ্ঞান এতদূর পৌঁছেনি। তারা হয়তো জানতেনই না গাছ আমাদের অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু তারপরও তারা বুঝতে পেরেছিলেন বৃক্ষ মানুষের জীবনে অপরিহার্য অংশ। আমার এ মুহূর্ত আরেকজন সম্রাটের কথা মনে পড়েছে।

ফরাসি সম্রাট চৌদ্দতম লুই। যিনি ১৬৪৩ সাল থেকে ১৭১৫ সাল পর্যন্ত টানা ৭২ বছর ফ্রান্সে রাজত্ব করেছিলেন। যার হাত দিয়ে নির্মিত হয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত ভার্সাই প্রাসাদ। ফ্রান্সের প্রজারা তাকে ডাকত সূর্য রাজা বলে। সেটা ১৬৬১ সালের ঘটনা। হঠাৎ রাজার কানে এলো অর্থমন্ত্রী নিকোলাস ফুকে রাজকীয় কোষাগার থেকে অর্থ তছরুপ করে নিজ প্রাসাদের সামনে রাজকীয় এক বাগান তৈরি করেছেন। রাজা লুই অর্থমন্ত্রীকে বললেন, মহাশয়, একদিন আপনার বাড়িতে বেড়াতে যেতে চাই। স্বয়ং রাজা আগ্রহ প্রকাশ করছেন অর্থমন্ত্রীর বাড়ি যাবেন। মন্ত্রী তো আর না করতে পারেন না। লুইকে তাই নিমন্ত্রণ করতেই হলো একদিন। রাজা লুই নিকোলাসের বাগান দেখে তাজ্জব বনে গেলেন। কোনো দেশের মহারাজার বাগানও তো এতো ঐশ্বর্যমন্ডিত ও গৌরবোজ্জ্বল হয় না। রাজা লুই মন্ত্রী নিকোলাসের কাছে জানতে চাইলেন, এমন মনোরম বাগানের স্থপতি কে? তিনি আরও বললেন- এমন একটি অপরূপ দৃষ্টিনন্দন বাগান শুধু ভার্সাই প্রাসাদের সঙ্গেই মানানসই। যে তিনজন বাগানবিদ মন্ত্রী নিকোলাসের বাগানটি তৈরি করেছিলেন তাদের রাজা নির্দেশ দিলেন অবিলম্বে এমন একটি বাগান ভার্সাই প্রাসাদের সম্মুখে করতে হবে। টাকা যা খরচ হয় হোক। সেই সঙ্গে সূর্যসম্রাট লুই এও বললেন যে, তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাগান নির্মাণের দিকনির্দেশনা দেবেন। ৮ হাজার হেক্টর অর্থাৎ প্রায় ৭০ হাজার বিঘা জমির ওপর নির্মিত হলো রাজা চৌদ্দতম লুইয়ের বাগান। তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হলো সেই বাগানে। কথিত আছে রাজা লুই যেহেতু কমলা ফল পছন্দ করতেন, সেহেতু পঞ্চাশ প্রজাতির শুধু কমলা গাছই রোপিত হয়েছিল বাগানে। ভারত, চীন, গ্রিস প্রভৃতি দেশ থেকে রাজা লুই আনিয়েছিলেন ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির কমলা ফলের চারা।

ইতিহাস ঘাটলে হয়তো অনেক রাজা, মহারাজা নৃপতি কিংবা সম্রাটের নাম পাওয়া যাবে যারা ব্যক্তি জীবনে হয়তো ছিলেন ভীষণভাবে বৃক্ষপ্রেমী ও বাগানবিলাসী। কিন্তু মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের মতো বাগান, ফুল, ফল ও বৃক্ষপ্রেমীর তুলনা বিশ্বে বিরল। ইতিহাসবিদরা তাকে আখ্যা দিয়েছেন ইতিহাসের অসামান্য বাগানবিলাসী রাজা। সম্রাট বাবর বাগান ভালোবাসতেন ভীষণ। তারই আমলে একটি নির্দিষ্ট জমিকে চার ভাগে ভাগ করে বাগান বানানো হতো, একে বলা হতো ‘চাহার বাগ’। চাহার বাগ শব্দটি হলো ফারসি শব্দ, হিন্দিতে একে চার বাগ বলা হয়। এ ধরনের বাগানে ফুলের গাছ লাগিয়ে মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হতো। মুঘল শাসকরা তাদের সাম্রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি অন্যান্য নন্দনতাত্ত্বিক বিষয় সম্প্রসারণেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সুদূর মধ্য এশিয়া এবং পারস্য থেকে এ ধরনের বাগানের ধারণা তারাই প্রথম ভারতবর্ষে নিয়ে এসেছিল বলে অনুমান করা হয়। ব্যক্তিজীবনে সম্রাট বাবর ছিলেন কবি, লেখক ও সাহিত্যানুরাগী। তার লেখা আত্মজীবনী ইতিহাসের এক মহামূল্যবান সম্পদ। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পন্ডিতদের মতে সম্রাট বাবরের আত্মজীবনীর তুলনা চলে শুধু বিশ্বের চারখানা বইয়ের সঙ্গে। সাত শ খ্রিষ্টাব্দের দিকে চার্চের পাদ্রি সেইন্ট অগাস্টিন লিখিত ‘কনফেশন’। ১৭০০ সালের দিকে লেখা বিখ্যাত দার্শনিক রুশোর গ্রন্থের নামও ছিল ‘কনফেশন’। জ্যাক রুশো অবশ্য তার পূর্বসূরি লেখক সেইন্ট অগাস্টিনের লেখা বইটাকেই অনুসরণ করেছেন। অগাস্টিন যেমন তার বইয়ে তার জীবনের পাপ, পঙ্কিলতা ও কদর্য দিকগুলো তুলে ধরেছেন। রুশোও তাই করেছেন। অন্যদিকে বাবরের আত্মজীবনীর সঙ্গে আর যে দুটি বইয়ের তুলনা পন্ডিতেরা করেছেন তা হলো গিবন ও বিজ্ঞানী নিউটনের লিখিত স্মৃতিকথা। সে যা হোক, বাবরের আত্মজীবনী পড়লে বোঝা যায় গাছপালা, বৃক্ষ, ফুল, ফল, বাগান এসবের প্রতি তার ছিল কি সীমাহীন অনুরাগ।

সম্রাট বাবর আফগানিস্তানের কাবুল জয় করেছিলেন ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে। তারপর তিনি জয় করেন ভারত। বাবরের মৃত্যু ঘটে আগ্রায় ১৫৩০ সালে। তার শেষ ইচ্ছা ছিল কাবুলে তিনি যে ১০টি অনিন্দ্য সুন্দর বাগান তৈরি করেছিলেন তাকে সেখানেই সমাহিত করা হোক । তার সেই ইচ্ছা অনুসারে তার বিধবা স্ত্রী ১৫৪৪ সালে আগ্রা থেকে তার সমাধি সরিয়ে নিয়ে কাবুলে পাঠান। তাকে আবার সমাহিত করা হয় তার তৈরি সেই বাগানে। বাবরের আত্মজীবনীর অনেকটা অংশজুড়ে আছে কাবুলের মতো রুক্ষ ও শুষ্ক ভূমিতে তিনি কীভাবে বাগান তৈরি করেছিলেন। নিরেট পাথরে ফুটিয়েছিলেন রংবেরঙের ফুল। তিনি তার বইতে লিখেছেন, ‘কাবুল দেশটা পাথুরে। বিদেশি কিংবা শত্রুর পক্ষে এ দেশ দুর্গম। এর উষ্ণ ও শীতপ্রধান অঞ্চলগুলো পাশাপাশি। এক দিনেই তুমি এমন জায়গায় যেতে পার যেখানে তুষারপাত হয় না। আবার সেখান থেকে দুই ঘণ্টার পথ চললেই এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেখানে অবিরাম তুষারপাত হচ্ছে। কাবুলের উত্তর পশ্চিমে চলকের বিস্তৃত তৃণক্ষেত্র।

এগারো বারো রকমের ভাষা কাবুলে চলতি যেমন- আরবি, ফারসি, তুর্কি, মোগলি, হিন্দি, আফগানি, পাশাই, পরাচি, গেবেরি, বেরেকি ও লামঘানি। পাহাড়ের পথে নিচে নেমে এলে তুমি এক অন্য জগতে পৌঁছে গেছ। এখানকার বড় বড় গাছ, শস্য, পশু, সবই অন্য ধরনের। এদিকের জনসাধারণের ব্যবহার রীতিনীতিও আলাদা। কাফেরিস্তানের পার্বত্য প্রদেশে নোয়ারের পিতা সাধু লোমোচের সমাধি আছে। পর্বতগুলোর প্রান্তভাগ নানা ধরনের টিউলিপ গাছে ভর্তি। আমি আমার লোকদের কত রকমের টিউলিপের গাছ আছে গুনে দেখতে বলেছিলাম। তারা নানা রকমের তেত্রিশটা গাছ এনে হাজির করে। এখানে খুব বড় বড় সুন্দর ঝাঁকড়া মাথা গাছ আছে। আমি নদীর ধারে ধারে উদ্যান রচনা করি। একটা পাহাড়ের ধারে আমি ফোয়ারা তৈরি করার আদেশ দিই। এখানে পীতবর্ণের আর খুবান ফুলের গাছ অপর্যাপ্ত। যখন সেই গাছে লাল রঙের ছিটে দেওয়া পীতবর্ণের ফুল ফোটে তখন এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য হয় যে তা দেখে আমার মনে হতো যে পৃথিবীতে এর চেয়ে সুন্দর স্থানের কথা কল্পনাতেও আনা যায় না।’ মুঘল সম্রাট বাবরের নন্দনতাত্ত্বিক এ বিষয় ভাবনাগুলো পরবর্তীকালে তাদের উত্তরসূরিদের মধ্যেও দেখা গিয়েছিল। মুঘল সম্রাট আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান ও বাগানের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। সে কালের ভারতের চাহর বাগের নিদর্শন বললে প্রথমেই মনে পড়বে পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত শালিমার বাগের কথা।

লাহোর শহরের ৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের পাশে বাগবানপুরা এলাকায় এ উদ্যানের অবস্থান। মধ্য এশিয়া, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, পারস্য ও দিল্লি সালতানাতের চিত্রশৈলী এতে প্রাধান্য পেয়েছে। শালিমার বাগের একটি ইতিহাস রয়েছে। বাগবানপুরার আরাইন মিয়া পরিবারের ভূমিতে এ স্থাপত্যটি নির্মিত হয়েছে। মুঘল সাম্রাজ্যকে অনবদ্য সেবা দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাজকীয় উপাধি ‘মিয়া’ লাভ করেছিলেন। তৎকালীন গৃহস্বামী মিয়া মোহাম্মদ ইউসুফ সম্রাট শাহজাহানকে ইশাক পুরার এ জমিটিতে রাজ প্রকৌশলী কর্তৃক উদ্যান তৈরিতে ভালো অবস্থান ও মাটির গুণাগুণের কারণে স্বত্ব ত্যাগ করেন। বিনিময়ে সম্রাট শাহজাহান পরিবারটিকে শালিমার উদ্যান পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেন। এখনো এ উদ্যানটি মিয়া পরিবার কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

যদিও এ উদ্যানের সার্বিক উৎকর্ষ এবং নান্দনিকতার জন্য সম্রাট জাহাঙ্গীরকেই কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে। শালিমার বাগের নির্মাণ কৌশলেও রয়েছে ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর বৈশিষ্ট্য। পার্সিয়ান গার্ডেনের আদলে এটি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ এ বাগে রয়েছে অসংখ্য ঝরনা এবং কৃত্রিম জলপ্রপাত। সমগ্র বাগিচার আয়তন প্রায় ৩১ একর। যার বিস্তীর্ণ পথ সবুজ ঘাসে মোড়া। দূর থেকে দেখলে সবুজ গালিচা মনে হতে পারে। সবুজ গালিচায় কিঞ্চিৎ বিশ্রাম নেওয়ার স্বাদ ভ্রমণকারীদের মনে জাগতেই পারে। লাল-নীল-কমলা-সাদা রংবেরঙের এবং বহু বিচিত্র প্রজাতির ফুল এবং অর্কিডের শোভা যেন বাগানটিকে আরও বেশি উৎকর্ষ দিয়েছে। শালিমার বাগের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো সারিবদ্ধ ম্যাপেল গাছ, শুকনো ম্যাপল গাছের পাতা যখন বাগানের রাস্তায় ইতিউতি ছড়িয়ে থাকে, তখন তার নন্দনতাত্ত্বিক সৌন্দর্য মনকে শান্ত করে, আনন্দ দেয়।

শালিমার বাগের মধ্যেই চোখে পড়বে সুদৃশ্য ‘দেওয়ান-ই-আম’এর দরবার। কার্যত এ দরবার হলেই সম্রাট সবার সঙ্গে দেখা করতেন, প্রজাদের আর্জিও শুনতেন। এটি একেবারে বাগের শেষ প্রান্তে অবস্থিত। মোটের ওপর শালিমার বাগের সৌন্দর্য দেখে যদি একে এক টুকরা বেহেশত বলে মনে হয়, তাহলে বোধ হয় ভুল হবে না।

ভারতবর্ষে সুলতানি এবং মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস বরাবরই ঐতিহাসিকদের বিস্মিত করেছে। তাদের সাম্রাজ্য পরিচালন নীতি, প্রজাকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি, একই সঙ্গে তাদের নন্দনতাত্ত্বিক এবং স্থাপত্যশৈলীর প্রতি এক আত্মিক টান বরাবরই সুপ্রসিদ্ধ। আজকের দিনে ক্রমবর্ধমান এ বিশ্ব-উষ্ণায়ন তথা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা যদি ফিরে যেতে পারি সেই মুঘল সাম্রাজ্যের কালে, তাহলে হয়তো পেতে পারি এক টুকরা সবুজ, সতেজ হাওয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের জীবনযাত্রার নানা পরিবর্তন ঘটলেও প্রকৃতির প্রতি আত্মিক যোগাযোগ চিরন্তন। আজকের এ ব্যস্ত সময়ে দাঁড়িয়েও মানুষ যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছোঁয়া বা আভাস পেতে চায়, মুঘল শাসকরাও ঠিক তেমনইভাবে প্রকৃতিকে দেখেছে এবং প্রাকৃতিক সংরক্ষণের প্রতি এক সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। কালের বিবর্তনে বিভিন্ন নৃপতিদের বৃক্ষ, বাগান, উদ্যানপ্রীতি সেগুলোরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

♦ লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

২৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৪২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৫১ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা