শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ মেনে নিন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ মেনে নিন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে আবার আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনটি একেবারে যৌক্তিক। এতে কোনো ছলচাতুরী নেই। পৃথিবীর বহু দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নির্ধারিত বয়সসীমা নেই। শারীরিক স্বাস্থ্য সমর্থন করলে যে কোনো বয়সে যে কেউ চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে। আমরা সব সময় কেন যেন ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ি। কয়েক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩০ করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৫৩-৫৪ বছর। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে অথচ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হবে না এ কেমন কথা? শিক্ষা জট লেগেই আছে। ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা শেষ করতে করতেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হয়ে যায়। তারা ভালো ফলাফল করেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে না। এ বঞ্চনার বিরুদ্ধে তারা অনেকবার সংগ্রাম করেছে। গত বছরের ১১ জুলাই আমার মতামত ব্যক্ত করেছিলাম। তখনকার সরকার কথা শোনেনি। এখন ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার, তারাও কি কথা শুনবে না? বিগত সরকারের সবকিছুতে পথপ্রদর্শক ছিল ভারত। সেই ভারতেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বছর। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছর। হ্যাঁ এটা ঠিক, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরের নিচে নেই। তাহলে যে পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, ২ লাখ মা-বোন ইজ্জত সম্ভ্রম হারিয়েছে, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করব? মোটেই না। তা করলে আমরা লাখ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি বিশ্বাসঘাতকতা করব। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই বেইমান বা বিশ্বাসঘাতক হতে পারি না। বাংলার একটি মানুষও জেনেশুনে বেইমান বিশ্বাসঘাতক হবে না। তাই বহু আদ্রিত বাংলার গণমানুষের আস্থাভাজন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিবেদন, অনতিবিলম্বে এই ন্যায্য দাবি মেনে নিন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরের ঘোষণা দিয়ে আমাদের সন্তানদের নিশ্চিন্তে স্বস্তিতে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ দিন।

এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, বহু বছর ধরে দেখছি সরকারি চাকরির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় একই দিনে ৮-১০-১৫ বিভাগে। একজন মেধাবী প্রার্থী দুটি বিষয়ের বেশি অংশগ্রহণ করতে পারে না। সে হয়তো ছয়-সাতটি বিষয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু দুটির বেশি তার অংশগ্রহণ করার সুযোগ না থাকায় বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে সরকারি পদের জন্য হাজার-দুই হাজার টাকা ফি দিয়ে দরখাস্ত করতে হয়। মাঝেসাজে মনে হয় সরকার কি চাকরিতে যোগদানের আবেদনকারীদের ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে? আবেদনের জন্য কেন হাজার-দুই হাজার টাকার ফি দিতে হবে, ব্যাংক ড্রাফট দিতে হবে? এক্ষেত্রে ২০-৫০-১০০-২০০ টাকা হলে ক্ষতি কোথায়? ব্যাপারগুলো একটু ভেবে দেখতে বলছি। অশান্তির জট যদি রাষ্ট্রই সৃষ্টি করে, তাহলে সমাধান কে করবে? তাই আমার প্রত্যাশা, বর্তমান সরকার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণ করে জাতির কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এটাই হবে বাঙালি জাতির ললাটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বিজয় তিলক।

এমনিতে চারদিকে অশান্তি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হচ্ছে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যথাযথ শৃঙ্খলাই প্রতিষ্ঠা হয়নি। সেখানে আবার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে রাস্তায় নামলে কী জবাব দেবে সরকার, কী জবাব দেবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা? দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের আপামর জনতা ফুঁসে উঠেছিল। অত বেশি সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন বৈষম্য হলে মানুষের সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। আর সীমা লঙ্ঘনকারীকে যেমন দেশের মানুষজন সহ্য করে না, তেমনি আল্লাহও সহ্য করেন না। যেটা বিগত সরকারকে নিয়ে হয়েছে। অনেকে মনে করেছে শেখ হাসিনার পতন নেই। কিন্তু আমি আল্লাহ রসুলে বিশ্বাসী মানুষ, সব অন্যায়ের পতন আছে। আমি অন্যায় করলে আমারও পতন হবে। ’৯৯ সালে আমি গামছা মার্কা নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেছি। আজ সেটা ২৫ বছরে পা দিয়েছে। তারও তিন বছর আগে থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কর্তৃত্বের সঙ্গে বিরোধ হয়। তারপরও আমার বহু গামছার নেতা-কর্মীর নামে মামলা হচ্ছে। এরকম আজগুবি মামলা দিলে তার পরিণাম যা হওয়ার তাই হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনো নেতাকেই ভালো করে চিনি না। যারা দুজন উপদেষ্টা হয়েছেন তাদের এক দিন বঙ্গভবনে দেখেছি। কোনো কথা হয়নি, পরিচয় হয়নি। আন্দোলনের সময় কয়জন সমন্বয়ক ছিলেন জানি না। হারুনের হোটেলে ছয়জনকে দেখেছি। আন্দোলনের পক্ষের কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীর ভূমিকা অসাধারণ। তাদের সততা, ন্যায়পরায়ণতা দেশপ্রেম যে কাউকে অভিভূত করে। কিন্তু ছাত্রদের নামে কেউ কেউ অপকর্মের চেষ্টা করছে। এটা চলতে থাকলে এত রক্ত এত ত্যাগে আন্দোলনের সফলতা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এটা খুবই সত্য, শত্রুপক্ষ কখনো হাত গুটিয়ে বসে থাকে না। তারা সব সময় তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যায়। তাদের সুসংগঠিত সংগঠন থাকে। কিন্তু আন্দোলনে বিজয়ী যুব বন্ধুদের, ছাত্র বন্ধুদের তেমন কোনো সংগঠন নেই। অত্যাচারে অত্যাচারে স্বাধীনতাহীনতায় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটিয়েছে। তারা এখন তেমন রাস্তায় নেই। ঘরের মানুষ অনেকেই ঘরে চলে গেছে। সেজন্য সবাইকে সাবধান হতে হবে।

অন্যদিকে এক ভয়াবহ অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি। সেটা হলো অনেকের তেমন বোধোদয় হয়নি। শুরুর দিকে কোনো কোনো দল ধরেই নিয়েছিল তাদের বিজয় হয়েছে। কিন্তু এখন তারা যখন দেখছেন বিজয় তাদের নয়, বিজয় হয়েছে জনতার, বিজয় হয়েছে দেশের। তখন একটি বড় দলের অনেক নেতা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেও মাঠপর্যায়ে তার তেমন প্রতিফলন নেই। যে দোকানির কাছ থেকে বিগত সরকারের তস্কররা বখরা নিত এখন সেটা অন্য কেউ নেওয়ার চেষ্টা করছে। যে কোনো স্টেশনে চাঁদাবাজি, হাট-বাজারে চাঁদাবাজি, একজনকে সরিয়ে আরেকজন নেতা, বাজার কমিটি ভাঙা, হাট কমিটি ভেঙে দলবিশেষের দখলে নেওয়া এ এক দেখবার মতো ঘটনা। অফিস দখল, বাড়ি দখল এসব তো লেগেই আছে। এটা মানতেই হবে অন্য সময়ের চাইতে বিএনপির নেতৃত্ব অনেক বেশি সংযত। তার চেয়ে সংযত জামায়াত নেতৃবৃন্দ। লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমান দলের নেতা-কর্মীদের সংযত করছেন বলেই মনে হয়। তিনি যদি তার দলকে তার দলীয় নেতা-কর্মীদের সামলাতে পারেন তাহলে তারেক রহমান সত্যিকার অর্থে একজন জাতীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। দেখা যাক কতটা কী হয়। তবে সবকিছুতে ধৈর্যের বড় বেশি প্রয়োজন। অসময়ের দশ ফাল, সময়ের এক ফাল অনেক বড়। সময়ের কাজ সময়ে করা খুবই প্রয়োজন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের চামড়া রসুনের মতো পাতলা হলে চলে না। রাজনীতিবিদদের চামড়া হবে গন্ডারের চাইতে পুরো বা ভারী। যেদিন আঘাত লাগবে তার তিন দিন পর সে যেন টের পায়। তা না হলে রাজনীতি করা যায় না। আমাদের দেশে এখন ধীরস্থির সহনশীল মানুষের বড় বেশি প্রয়োজন। সেই সহনশীলতার দিক থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে অনেক ওপরে অনেক পোড় খাওয়া জগৎবিখ্যাত মানুষ এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আমি তো আশা করতেই পারি, আমাদের ভালো একটা কিছু হবে। কিছু মানুষ আছে চিলে কান নিয়েছে শুনে চিলের পেছনে ছোটে, কানে হাত দিয়ে দেখে না। লিবিয়ায় কর্নেল গাদ্দাফির পতন, মিসরের হোসনি মোবারক আরও আরও জায়গায় অসংখ্য অভ্যুত্থানে পতনের চাইতে শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই ছোট নয়। তার দ্বারা যে তাচ্ছিল্য যে অপমান-অপদস্থ হয়েছি তা লিখে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখেছি। সেজন্য নিন্দা ছাড়া তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। আজ থেকে এক যুগ আগে আমি যখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানি চেয়েছিলাম তখন এই সেদিনের মতো ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা সুবিধা না পেলে তবে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ ঠিক ওরকমই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানি চাওয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে বড় বিক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘কাদের সিদ্দিকীর কথা, ওসব বাদ দিন। পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।’ এটা সত্য একজন মানুষ হিসেবে আমাকে শেখ হাসিনার ছাগল বানানোর কোনো ক্ষমতা ছিল না। গরু-ছাগল তরুলতা এসব বানানোর ক্ষমতা মহান আল্লাহর, মহান স্রষ্টার। হ্যাঁ, তিনি অত্যাচারে অত্যাচারে হয়তো আমাকে পাগল বানাতে পারতেন। আর আমি তখন সংসদ সদস্য। আমি আদৌ পাগল কি না তার জন্য ডাক্তারি বোর্ড বসাতে হতো। বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত আমি স্বাভাবিক, না পাগল। ক্ষমতা থাকলে একজন মানুষকে পাগল বললে আল্লাহর আরশ কতটা কেঁপে ওঠে। যা হোক সে সময় হাসিনা সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানি চেয়ে সিলেট মাজারে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত নানান জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কালো পতাকা দেখেছিলাম। ফেরার পথে আমার গাড়িবহরে ঢিল ছোড়া হয়েছিল। আমি মনে করেছিলাম ২ হাজার টাকা সম্মানি চাওয়া কম হয়েছে ভেবে হয়তো মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। কিন্তু না, আমি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে ২ হাজার টাকা চাইলাম কেন? এতে শেখ হাসিনাকে অপমান-অপদস্থ করা হয়েছে। যোদ্ধাদের জন্য সম্মানি চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপদস্থ হন আর একজন শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাকে পাগল-ছাগল বললে তার সম্মান নষ্ট হয় না? মুক্তিযুদ্ধের অবমূল্যায়ন হয় না? কাকে বলি এসব কথা। আমি যখন ২ হাজার টাকা সম্মানি দাবি করেছিলাম তখন সোনার ভরি ছিল ১৫ হাজার টাকা। এখন ১,২০,০০০। সেই তুলনায় শেখ হাসিনা সরকার যখন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ২০,০০০ টাকা করেছে তখন আমি বাজার দর হিসাব করে দেখেছি ৬০,০০০ টাকা হলেও আমার সেদিনের চাওয়া ২ হাজারের সমান হয় না। মাঝেসাজে কখনো-সখনো ২-৪ বার মনে হয়েছে ২ হাজার টাকা সম্মানি চাওয়ায় মাননীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আমাকে পাগল-ছাগল বলেছিলেন। এখন তার সরকারের আমলে কুড়ি হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কি পাগলি-ছাগলি বলা যায়? না, আমি বলিনি। আজও বলতাম না। আজ দেশের যে অবস্থা তার ৯৯ ভাগ দায়ী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবমূল্যায়ন তার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবমূল্যায়নের জন্য পুরোটাই দায়ী শেখ হাসিনা। আজ কত শত নির্দোষ নিবেদিত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী দেশপ্রেমিকের লাঞ্ছিতের জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। মনে হয় না তাকে নিয়ে বেশি মাতামাতি খুব বেশি ভালো হবে। ভারতের জন্য তো নয়ই, বাংলাদেশের জন্যও ভালো হবে না। তার শাস্তি হওয়া উচিত। যথাযথ নিয়মে বিচার হলে তার শাস্তি হবে। তার শাস্তি হলে ভবিষ্যতে যারা শাসন ক্ষমতায় থাকবেন বা যাবেন তাদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হবে।

দেশবাসী জানেন, সময়ের কথা আমি কখনো অসময়ে বলতে চাই না। যে জন্য আমাকে বহু মানুষ যেমন ভালোবাসে তেমনি শত্রুর সংখ্যাও কম নয়। আমি শত্রু নিয়ে ভাবি না, ভাবি বন্ধুদের জন্য, ভাবি দয়াময় স্রষ্টার জন্য। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতীয় সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলেছেন এটা বড় কিছু নয়। সব দেশের সৈন্যদেরই সব সময় সতর্ক থাকতে হয় সেটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলা বাংলাদেশের জন্য হুমকি বা বাংলাদেশকে দখল করে নিয়ে হাসিনার হাতে তুলে দেবেন তেমন নয়। আমি এটা বলব না যে ভারত বাংলাদেশ আক্রমণ করে দখল করে নিতে পারবে না। না, দখল করতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশকে জয় করার তাদের ক্ষমতা নেই। সামরিকভাবে দখল করলে ভারতের জন্য সেটা গলার কাঁটা হবে। শুধু কাঁটা বলি কেন, ফাঁস হয়ে দেখা দিতে পারে। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ যার একটির পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রায় ১২০০ মাইল দূর তাও এক দেশ। বঙ্গভঙ্গ রদ হয়েছিল ১৯১১ সালে। কিন্তু আবার ’৪৭ সালে ভাগ হলো কেন? অবিভক্ত বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হতে পারত অথবা অবিভক্ত বাংলা ভারত হতে পারত, পশ্চিমবঙ্গ কেন? এখন পশ্চিমবঙ্গেও প্রায় সাড়ে ১০ কোটি মানুষ। আমরা ১৮ কোটি। লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসন। আমাদের দখল করলে অন্তত ১১৫ আসন হবে। উত্তরপ্রদেশে ৮০ আসন। তার ঠেলাই ভারত সামলাতে পারে না। বাংলায় ১১৫ আসন হলে ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের একাংশ এক হয়ে বর্তমান ভারতের রাজনীতি কখন চাঙে তুলবে বর্তমান নেতা-নেত্রীরা বুঝতেও পারবে না। তাই ভারতীয় সেনাদের সতর্ক করা আর বাংলাদেশ দখল করা এক কথা নয়। আরও যদি কড়কড়ে সত্য বলা হয় তাহলে ভারতের থলিতে কোনো জয় নেই। ’৪৮-এ কাশ্মীরে যুদ্ধ হয়েছিল। সে যুদ্ধে ভারত হেরেছিল। ’৬২-তে চীন-ভারত যুদ্ধ হয়, সেখানেও ভারত পরাজিত হয়। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে চীনের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল। তিনি চীনকে ভালোবাসতেন, সম্মান করতেন। সেই চীন ভারত আক্রমণ করায় বুকের ব্যথায় জওহরলাল নেহেরু ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তিনি ’৬৫-তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শেষে সোভিয়েত রাশিয়ার তাসখন্দে শান্তি চুক্তির সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন। ভারতের সারা জীবনের অহংকার করার মতো ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্মরণ করার মতো গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক ঐতিহাসিক বিজয়। সে বিজয়ও আসত না, যদি না বাংলার মানুষ তাদের বুকের রক্তে হানাদারদের জন্য বাংলার পথঘাট পিচ্ছিল করে রাখত। বাঙালির আত্মত্যাগ বাঙালির রক্তদানে শুধু একবারই ভারত সারা দুনিয়ায় বিজয় অর্জন করেছে। আর সেই বিজয়ের কারণেই ভারতের সুনাম ভারতের মাহাত্ম্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ ভারতের ব্যাপ্তি আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ভারতের ব্যাপ্তি এক নয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বের নিপীড়িত মুক্তিকামী মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধুর মর্যাদা অর্জন করেছিল। আমরা রক্ত না দিলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি না হলে তাতে ভারত অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার এই বিশ্ব পরিচিতি নিপীড়িত মানুষের বন্ধু এই মর্যাদা ১০ বার ভারতকে বিক্রি করেও অর্জন করতে পারত না। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করে অবশ্যই ভারত এক বিরাট মহান অবদান রেখেছে আমাদের তা মনে রাখা উচিত। কিন্তু সেই চরম সময় আমাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভারত যে মহিমান্বিত হয়েছে সেটাও কম কথা নয়। সেটাও ভারতকে, ভারতের নেতৃবৃন্দকে মনে রাখতে হবে। আমি বহুদিন ভারতে কাটিয়েছি। ভারতের সাধারণ মানুষ ভারতের প্রাণ আর সমাজপতি বা নেতৃবৃন্দ এক কথা নয়। তাই রাজনাথ সিংয়ের কথায় আমাদের না ভাবলেও চলবে।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

এই মাত্র | রাজনীতি

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের জন্য সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন
ভূমিকম্পের জন্য সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন

১১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল
পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত

৩৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা

৪২ মিনিট আগে | পরবাস

স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম

৪৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

৪৬ মিনিট আগে | শোবিজ

খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

৪৮ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

৫৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা
দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ
৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন
ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা