শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ মেনে নিন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ মেনে নিন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে আবার আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনটি একেবারে যৌক্তিক। এতে কোনো ছলচাতুরী নেই। পৃথিবীর বহু দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নির্ধারিত বয়সসীমা নেই। শারীরিক স্বাস্থ্য সমর্থন করলে যে কোনো বয়সে যে কেউ চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে। আমরা সব সময় কেন যেন ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ি। কয়েক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩০ করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৫৩-৫৪ বছর। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে অথচ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হবে না এ কেমন কথা? শিক্ষা জট লেগেই আছে। ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা শেষ করতে করতেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হয়ে যায়। তারা ভালো ফলাফল করেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে না। এ বঞ্চনার বিরুদ্ধে তারা অনেকবার সংগ্রাম করেছে। গত বছরের ১১ জুলাই আমার মতামত ব্যক্ত করেছিলাম। তখনকার সরকার কথা শোনেনি। এখন ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার, তারাও কি কথা শুনবে না? বিগত সরকারের সবকিছুতে পথপ্রদর্শক ছিল ভারত। সেই ভারতেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বছর। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছর। হ্যাঁ এটা ঠিক, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরের নিচে নেই। তাহলে যে পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, ২ লাখ মা-বোন ইজ্জত সম্ভ্রম হারিয়েছে, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করব? মোটেই না। তা করলে আমরা লাখ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি বিশ্বাসঘাতকতা করব। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই বেইমান বা বিশ্বাসঘাতক হতে পারি না। বাংলার একটি মানুষও জেনেশুনে বেইমান বিশ্বাসঘাতক হবে না। তাই বহু আদ্রিত বাংলার গণমানুষের আস্থাভাজন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিবেদন, অনতিবিলম্বে এই ন্যায্য দাবি মেনে নিন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরের ঘোষণা দিয়ে আমাদের সন্তানদের নিশ্চিন্তে স্বস্তিতে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ দিন।

এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, বহু বছর ধরে দেখছি সরকারি চাকরির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় একই দিনে ৮-১০-১৫ বিভাগে। একজন মেধাবী প্রার্থী দুটি বিষয়ের বেশি অংশগ্রহণ করতে পারে না। সে হয়তো ছয়-সাতটি বিষয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু দুটির বেশি তার অংশগ্রহণ করার সুযোগ না থাকায় বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে সরকারি পদের জন্য হাজার-দুই হাজার টাকা ফি দিয়ে দরখাস্ত করতে হয়। মাঝেসাজে মনে হয় সরকার কি চাকরিতে যোগদানের আবেদনকারীদের ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে? আবেদনের জন্য কেন হাজার-দুই হাজার টাকার ফি দিতে হবে, ব্যাংক ড্রাফট দিতে হবে? এক্ষেত্রে ২০-৫০-১০০-২০০ টাকা হলে ক্ষতি কোথায়? ব্যাপারগুলো একটু ভেবে দেখতে বলছি। অশান্তির জট যদি রাষ্ট্রই সৃষ্টি করে, তাহলে সমাধান কে করবে? তাই আমার প্রত্যাশা, বর্তমান সরকার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণ করে জাতির কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এটাই হবে বাঙালি জাতির ললাটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বিজয় তিলক।

এমনিতে চারদিকে অশান্তি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হচ্ছে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যথাযথ শৃঙ্খলাই প্রতিষ্ঠা হয়নি। সেখানে আবার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে রাস্তায় নামলে কী জবাব দেবে সরকার, কী জবাব দেবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা? দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের আপামর জনতা ফুঁসে উঠেছিল। অত বেশি সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন বৈষম্য হলে মানুষের সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। আর সীমা লঙ্ঘনকারীকে যেমন দেশের মানুষজন সহ্য করে না, তেমনি আল্লাহও সহ্য করেন না। যেটা বিগত সরকারকে নিয়ে হয়েছে। অনেকে মনে করেছে শেখ হাসিনার পতন নেই। কিন্তু আমি আল্লাহ রসুলে বিশ্বাসী মানুষ, সব অন্যায়ের পতন আছে। আমি অন্যায় করলে আমারও পতন হবে। ’৯৯ সালে আমি গামছা মার্কা নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেছি। আজ সেটা ২৫ বছরে পা দিয়েছে। তারও তিন বছর আগে থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কর্তৃত্বের সঙ্গে বিরোধ হয়। তারপরও আমার বহু গামছার নেতা-কর্মীর নামে মামলা হচ্ছে। এরকম আজগুবি মামলা দিলে তার পরিণাম যা হওয়ার তাই হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনো নেতাকেই ভালো করে চিনি না। যারা দুজন উপদেষ্টা হয়েছেন তাদের এক দিন বঙ্গভবনে দেখেছি। কোনো কথা হয়নি, পরিচয় হয়নি। আন্দোলনের সময় কয়জন সমন্বয়ক ছিলেন জানি না। হারুনের হোটেলে ছয়জনকে দেখেছি। আন্দোলনের পক্ষের কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীর ভূমিকা অসাধারণ। তাদের সততা, ন্যায়পরায়ণতা দেশপ্রেম যে কাউকে অভিভূত করে। কিন্তু ছাত্রদের নামে কেউ কেউ অপকর্মের চেষ্টা করছে। এটা চলতে থাকলে এত রক্ত এত ত্যাগে আন্দোলনের সফলতা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এটা খুবই সত্য, শত্রুপক্ষ কখনো হাত গুটিয়ে বসে থাকে না। তারা সব সময় তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যায়। তাদের সুসংগঠিত সংগঠন থাকে। কিন্তু আন্দোলনে বিজয়ী যুব বন্ধুদের, ছাত্র বন্ধুদের তেমন কোনো সংগঠন নেই। অত্যাচারে অত্যাচারে স্বাধীনতাহীনতায় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটিয়েছে। তারা এখন তেমন রাস্তায় নেই। ঘরের মানুষ অনেকেই ঘরে চলে গেছে। সেজন্য সবাইকে সাবধান হতে হবে।

অন্যদিকে এক ভয়াবহ অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি। সেটা হলো অনেকের তেমন বোধোদয় হয়নি। শুরুর দিকে কোনো কোনো দল ধরেই নিয়েছিল তাদের বিজয় হয়েছে। কিন্তু এখন তারা যখন দেখছেন বিজয় তাদের নয়, বিজয় হয়েছে জনতার, বিজয় হয়েছে দেশের। তখন একটি বড় দলের অনেক নেতা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেও মাঠপর্যায়ে তার তেমন প্রতিফলন নেই। যে দোকানির কাছ থেকে বিগত সরকারের তস্কররা বখরা নিত এখন সেটা অন্য কেউ নেওয়ার চেষ্টা করছে। যে কোনো স্টেশনে চাঁদাবাজি, হাট-বাজারে চাঁদাবাজি, একজনকে সরিয়ে আরেকজন নেতা, বাজার কমিটি ভাঙা, হাট কমিটি ভেঙে দলবিশেষের দখলে নেওয়া এ এক দেখবার মতো ঘটনা। অফিস দখল, বাড়ি দখল এসব তো লেগেই আছে। এটা মানতেই হবে অন্য সময়ের চাইতে বিএনপির নেতৃত্ব অনেক বেশি সংযত। তার চেয়ে সংযত জামায়াত নেতৃবৃন্দ। লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমান দলের নেতা-কর্মীদের সংযত করছেন বলেই মনে হয়। তিনি যদি তার দলকে তার দলীয় নেতা-কর্মীদের সামলাতে পারেন তাহলে তারেক রহমান সত্যিকার অর্থে একজন জাতীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। দেখা যাক কতটা কী হয়। তবে সবকিছুতে ধৈর্যের বড় বেশি প্রয়োজন। অসময়ের দশ ফাল, সময়ের এক ফাল অনেক বড়। সময়ের কাজ সময়ে করা খুবই প্রয়োজন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের চামড়া রসুনের মতো পাতলা হলে চলে না। রাজনীতিবিদদের চামড়া হবে গন্ডারের চাইতে পুরো বা ভারী। যেদিন আঘাত লাগবে তার তিন দিন পর সে যেন টের পায়। তা না হলে রাজনীতি করা যায় না। আমাদের দেশে এখন ধীরস্থির সহনশীল মানুষের বড় বেশি প্রয়োজন। সেই সহনশীলতার দিক থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে অনেক ওপরে অনেক পোড় খাওয়া জগৎবিখ্যাত মানুষ এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আমি তো আশা করতেই পারি, আমাদের ভালো একটা কিছু হবে। কিছু মানুষ আছে চিলে কান নিয়েছে শুনে চিলের পেছনে ছোটে, কানে হাত দিয়ে দেখে না। লিবিয়ায় কর্নেল গাদ্দাফির পতন, মিসরের হোসনি মোবারক আরও আরও জায়গায় অসংখ্য অভ্যুত্থানে পতনের চাইতে শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই ছোট নয়। তার দ্বারা যে তাচ্ছিল্য যে অপমান-অপদস্থ হয়েছি তা লিখে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখেছি। সেজন্য নিন্দা ছাড়া তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। আজ থেকে এক যুগ আগে আমি যখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানি চেয়েছিলাম তখন এই সেদিনের মতো ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা সুবিধা না পেলে তবে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ ঠিক ওরকমই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানি চাওয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে বড় বিক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘কাদের সিদ্দিকীর কথা, ওসব বাদ দিন। পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।’ এটা সত্য একজন মানুষ হিসেবে আমাকে শেখ হাসিনার ছাগল বানানোর কোনো ক্ষমতা ছিল না। গরু-ছাগল তরুলতা এসব বানানোর ক্ষমতা মহান আল্লাহর, মহান স্রষ্টার। হ্যাঁ, তিনি অত্যাচারে অত্যাচারে হয়তো আমাকে পাগল বানাতে পারতেন। আর আমি তখন সংসদ সদস্য। আমি আদৌ পাগল কি না তার জন্য ডাক্তারি বোর্ড বসাতে হতো। বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত আমি স্বাভাবিক, না পাগল। ক্ষমতা থাকলে একজন মানুষকে পাগল বললে আল্লাহর আরশ কতটা কেঁপে ওঠে। যা হোক সে সময় হাসিনা সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানি চেয়ে সিলেট মাজারে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত নানান জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কালো পতাকা দেখেছিলাম। ফেরার পথে আমার গাড়িবহরে ঢিল ছোড়া হয়েছিল। আমি মনে করেছিলাম ২ হাজার টাকা সম্মানি চাওয়া কম হয়েছে ভেবে হয়তো মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। কিন্তু না, আমি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে ২ হাজার টাকা চাইলাম কেন? এতে শেখ হাসিনাকে অপমান-অপদস্থ করা হয়েছে। যোদ্ধাদের জন্য সম্মানি চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপদস্থ হন আর একজন শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাকে পাগল-ছাগল বললে তার সম্মান নষ্ট হয় না? মুক্তিযুদ্ধের অবমূল্যায়ন হয় না? কাকে বলি এসব কথা। আমি যখন ২ হাজার টাকা সম্মানি দাবি করেছিলাম তখন সোনার ভরি ছিল ১৫ হাজার টাকা। এখন ১,২০,০০০। সেই তুলনায় শেখ হাসিনা সরকার যখন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ২০,০০০ টাকা করেছে তখন আমি বাজার দর হিসাব করে দেখেছি ৬০,০০০ টাকা হলেও আমার সেদিনের চাওয়া ২ হাজারের সমান হয় না। মাঝেসাজে কখনো-সখনো ২-৪ বার মনে হয়েছে ২ হাজার টাকা সম্মানি চাওয়ায় মাননীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আমাকে পাগল-ছাগল বলেছিলেন। এখন তার সরকারের আমলে কুড়ি হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কি পাগলি-ছাগলি বলা যায়? না, আমি বলিনি। আজও বলতাম না। আজ দেশের যে অবস্থা তার ৯৯ ভাগ দায়ী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবমূল্যায়ন তার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবমূল্যায়নের জন্য পুরোটাই দায়ী শেখ হাসিনা। আজ কত শত নির্দোষ নিবেদিত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী দেশপ্রেমিকের লাঞ্ছিতের জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। মনে হয় না তাকে নিয়ে বেশি মাতামাতি খুব বেশি ভালো হবে। ভারতের জন্য তো নয়ই, বাংলাদেশের জন্যও ভালো হবে না। তার শাস্তি হওয়া উচিত। যথাযথ নিয়মে বিচার হলে তার শাস্তি হবে। তার শাস্তি হলে ভবিষ্যতে যারা শাসন ক্ষমতায় থাকবেন বা যাবেন তাদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হবে।

দেশবাসী জানেন, সময়ের কথা আমি কখনো অসময়ে বলতে চাই না। যে জন্য আমাকে বহু মানুষ যেমন ভালোবাসে তেমনি শত্রুর সংখ্যাও কম নয়। আমি শত্রু নিয়ে ভাবি না, ভাবি বন্ধুদের জন্য, ভাবি দয়াময় স্রষ্টার জন্য। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতীয় সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলেছেন এটা বড় কিছু নয়। সব দেশের সৈন্যদেরই সব সময় সতর্ক থাকতে হয় সেটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলা বাংলাদেশের জন্য হুমকি বা বাংলাদেশকে দখল করে নিয়ে হাসিনার হাতে তুলে দেবেন তেমন নয়। আমি এটা বলব না যে ভারত বাংলাদেশ আক্রমণ করে দখল করে নিতে পারবে না। না, দখল করতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশকে জয় করার তাদের ক্ষমতা নেই। সামরিকভাবে দখল করলে ভারতের জন্য সেটা গলার কাঁটা হবে। শুধু কাঁটা বলি কেন, ফাঁস হয়ে দেখা দিতে পারে। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ যার একটির পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রায় ১২০০ মাইল দূর তাও এক দেশ। বঙ্গভঙ্গ রদ হয়েছিল ১৯১১ সালে। কিন্তু আবার ’৪৭ সালে ভাগ হলো কেন? অবিভক্ত বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হতে পারত অথবা অবিভক্ত বাংলা ভারত হতে পারত, পশ্চিমবঙ্গ কেন? এখন পশ্চিমবঙ্গেও প্রায় সাড়ে ১০ কোটি মানুষ। আমরা ১৮ কোটি। লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসন। আমাদের দখল করলে অন্তত ১১৫ আসন হবে। উত্তরপ্রদেশে ৮০ আসন। তার ঠেলাই ভারত সামলাতে পারে না। বাংলায় ১১৫ আসন হলে ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের একাংশ এক হয়ে বর্তমান ভারতের রাজনীতি কখন চাঙে তুলবে বর্তমান নেতা-নেত্রীরা বুঝতেও পারবে না। তাই ভারতীয় সেনাদের সতর্ক করা আর বাংলাদেশ দখল করা এক কথা নয়। আরও যদি কড়কড়ে সত্য বলা হয় তাহলে ভারতের থলিতে কোনো জয় নেই। ’৪৮-এ কাশ্মীরে যুদ্ধ হয়েছিল। সে যুদ্ধে ভারত হেরেছিল। ’৬২-তে চীন-ভারত যুদ্ধ হয়, সেখানেও ভারত পরাজিত হয়। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে চীনের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল। তিনি চীনকে ভালোবাসতেন, সম্মান করতেন। সেই চীন ভারত আক্রমণ করায় বুকের ব্যথায় জওহরলাল নেহেরু ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তিনি ’৬৫-তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শেষে সোভিয়েত রাশিয়ার তাসখন্দে শান্তি চুক্তির সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন। ভারতের সারা জীবনের অহংকার করার মতো ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্মরণ করার মতো গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক ঐতিহাসিক বিজয়। সে বিজয়ও আসত না, যদি না বাংলার মানুষ তাদের বুকের রক্তে হানাদারদের জন্য বাংলার পথঘাট পিচ্ছিল করে রাখত। বাঙালির আত্মত্যাগ বাঙালির রক্তদানে শুধু একবারই ভারত সারা দুনিয়ায় বিজয় অর্জন করেছে। আর সেই বিজয়ের কারণেই ভারতের সুনাম ভারতের মাহাত্ম্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ ভারতের ব্যাপ্তি আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ভারতের ব্যাপ্তি এক নয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বের নিপীড়িত মুক্তিকামী মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধুর মর্যাদা অর্জন করেছিল। আমরা রক্ত না দিলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি না হলে তাতে ভারত অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার এই বিশ্ব পরিচিতি নিপীড়িত মানুষের বন্ধু এই মর্যাদা ১০ বার ভারতকে বিক্রি করেও অর্জন করতে পারত না। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করে অবশ্যই ভারত এক বিরাট মহান অবদান রেখেছে আমাদের তা মনে রাখা উচিত। কিন্তু সেই চরম সময় আমাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভারত যে মহিমান্বিত হয়েছে সেটাও কম কথা নয়। সেটাও ভারতকে, ভারতের নেতৃবৃন্দকে মনে রাখতে হবে। আমি বহুদিন ভারতে কাটিয়েছি। ভারতের সাধারণ মানুষ ভারতের প্রাণ আর সমাজপতি বা নেতৃবৃন্দ এক কথা নয়। তাই রাজনাথ সিংয়ের কথায় আমাদের না ভাবলেও চলবে।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
মূল্যস্ফীতি কমেছে
মূল্যস্ফীতি কমেছে
তারুণ্যের ভাবনা
তারুণ্যের ভাবনা
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
সর্বশেষ খবর
তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না!
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না!

৫ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল
দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা
নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা

৫০ মিনিট আগে | শোবিজ

আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা

৫০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ
ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?
সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা
ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প
খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক
শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির
আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!
এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি
ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ
শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে
গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প
ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর
৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি
সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি
৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’
‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল
যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লেবুর খোসার যত গুণ
লেবুর খোসার যত গুণ

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম

সম্পাদকীয়

কই গেল দুই লাখ তাল গাছ
কই গেল দুই লাখ তাল গাছ

নগর জীবন

সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে
সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে

শোবিজ

ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি
ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি
শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি

শোবিজ

তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি
তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি
মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি

শোবিজ

থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন
থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি
ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি

মাঠে ময়দানে

দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে
দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে

নগর জীবন

হতাশায় বিশ্বাস করি না
হতাশায় বিশ্বাস করি না

শোবিজ

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিব্রত শ্রদ্ধা...
বিব্রত শ্রদ্ধা...

শোবিজ

ফাইনালের আগে ফাইনাল!
ফাইনালের আগে ফাইনাল!

মাঠে ময়দানে

জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা
জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা

শোবিজ

এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই
এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই

মাঠে ময়দানে

জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়
জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়

মাঠে ময়দানে

বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু
বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু

দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়
তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়

নগর জীবন

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী

নগর জীবন

তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি
তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না
জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না

নগর জীবন