শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ মেনে নিন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ মেনে নিন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে আবার আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনটি একেবারে যৌক্তিক। এতে কোনো ছলচাতুরী নেই। পৃথিবীর বহু দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নির্ধারিত বয়সসীমা নেই। শারীরিক স্বাস্থ্য সমর্থন করলে যে কোনো বয়সে যে কেউ চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে। আমরা সব সময় কেন যেন ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ি। কয়েক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩০ করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৫৩-৫৪ বছর। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে অথচ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হবে না এ কেমন কথা? শিক্ষা জট লেগেই আছে। ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা শেষ করতে করতেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হয়ে যায়। তারা ভালো ফলাফল করেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে না। এ বঞ্চনার বিরুদ্ধে তারা অনেকবার সংগ্রাম করেছে। গত বছরের ১১ জুলাই আমার মতামত ব্যক্ত করেছিলাম। তখনকার সরকার কথা শোনেনি। এখন ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার, তারাও কি কথা শুনবে না? বিগত সরকারের সবকিছুতে পথপ্রদর্শক ছিল ভারত। সেই ভারতেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বছর। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছর। হ্যাঁ এটা ঠিক, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরের নিচে নেই। তাহলে যে পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, ২ লাখ মা-বোন ইজ্জত সম্ভ্রম হারিয়েছে, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করব? মোটেই না। তা করলে আমরা লাখ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি বিশ্বাসঘাতকতা করব। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই বেইমান বা বিশ্বাসঘাতক হতে পারি না। বাংলার একটি মানুষও জেনেশুনে বেইমান বিশ্বাসঘাতক হবে না। তাই বহু আদ্রিত বাংলার গণমানুষের আস্থাভাজন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিবেদন, অনতিবিলম্বে এই ন্যায্য দাবি মেনে নিন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরের ঘোষণা দিয়ে আমাদের সন্তানদের নিশ্চিন্তে স্বস্তিতে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ দিন।

এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, বহু বছর ধরে দেখছি সরকারি চাকরির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় একই দিনে ৮-১০-১৫ বিভাগে। একজন মেধাবী প্রার্থী দুটি বিষয়ের বেশি অংশগ্রহণ করতে পারে না। সে হয়তো ছয়-সাতটি বিষয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু দুটির বেশি তার অংশগ্রহণ করার সুযোগ না থাকায় বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে সরকারি পদের জন্য হাজার-দুই হাজার টাকা ফি দিয়ে দরখাস্ত করতে হয়। মাঝেসাজে মনে হয় সরকার কি চাকরিতে যোগদানের আবেদনকারীদের ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে? আবেদনের জন্য কেন হাজার-দুই হাজার টাকার ফি দিতে হবে, ব্যাংক ড্রাফট দিতে হবে? এক্ষেত্রে ২০-৫০-১০০-২০০ টাকা হলে ক্ষতি কোথায়? ব্যাপারগুলো একটু ভেবে দেখতে বলছি। অশান্তির জট যদি রাষ্ট্রই সৃষ্টি করে, তাহলে সমাধান কে করবে? তাই আমার প্রত্যাশা, বর্তমান সরকার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণ করে জাতির কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এটাই হবে বাঙালি জাতির ললাটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বিজয় তিলক।

এমনিতে চারদিকে অশান্তি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হচ্ছে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যথাযথ শৃঙ্খলাই প্রতিষ্ঠা হয়নি। সেখানে আবার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে রাস্তায় নামলে কী জবাব দেবে সরকার, কী জবাব দেবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা? দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের আপামর জনতা ফুঁসে উঠেছিল। অত বেশি সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন বৈষম্য হলে মানুষের সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। আর সীমা লঙ্ঘনকারীকে যেমন দেশের মানুষজন সহ্য করে না, তেমনি আল্লাহও সহ্য করেন না। যেটা বিগত সরকারকে নিয়ে হয়েছে। অনেকে মনে করেছে শেখ হাসিনার পতন নেই। কিন্তু আমি আল্লাহ রসুলে বিশ্বাসী মানুষ, সব অন্যায়ের পতন আছে। আমি অন্যায় করলে আমারও পতন হবে। ’৯৯ সালে আমি গামছা মার্কা নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেছি। আজ সেটা ২৫ বছরে পা দিয়েছে। তারও তিন বছর আগে থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কর্তৃত্বের সঙ্গে বিরোধ হয়। তারপরও আমার বহু গামছার নেতা-কর্মীর নামে মামলা হচ্ছে। এরকম আজগুবি মামলা দিলে তার পরিণাম যা হওয়ার তাই হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনো নেতাকেই ভালো করে চিনি না। যারা দুজন উপদেষ্টা হয়েছেন তাদের এক দিন বঙ্গভবনে দেখেছি। কোনো কথা হয়নি, পরিচয় হয়নি। আন্দোলনের সময় কয়জন সমন্বয়ক ছিলেন জানি না। হারুনের হোটেলে ছয়জনকে দেখেছি। আন্দোলনের পক্ষের কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীর ভূমিকা অসাধারণ। তাদের সততা, ন্যায়পরায়ণতা দেশপ্রেম যে কাউকে অভিভূত করে। কিন্তু ছাত্রদের নামে কেউ কেউ অপকর্মের চেষ্টা করছে। এটা চলতে থাকলে এত রক্ত এত ত্যাগে আন্দোলনের সফলতা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এটা খুবই সত্য, শত্রুপক্ষ কখনো হাত গুটিয়ে বসে থাকে না। তারা সব সময় তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যায়। তাদের সুসংগঠিত সংগঠন থাকে। কিন্তু আন্দোলনে বিজয়ী যুব বন্ধুদের, ছাত্র বন্ধুদের তেমন কোনো সংগঠন নেই। অত্যাচারে অত্যাচারে স্বাধীনতাহীনতায় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটিয়েছে। তারা এখন তেমন রাস্তায় নেই। ঘরের মানুষ অনেকেই ঘরে চলে গেছে। সেজন্য সবাইকে সাবধান হতে হবে।

অন্যদিকে এক ভয়াবহ অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি। সেটা হলো অনেকের তেমন বোধোদয় হয়নি। শুরুর দিকে কোনো কোনো দল ধরেই নিয়েছিল তাদের বিজয় হয়েছে। কিন্তু এখন তারা যখন দেখছেন বিজয় তাদের নয়, বিজয় হয়েছে জনতার, বিজয় হয়েছে দেশের। তখন একটি বড় দলের অনেক নেতা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেও মাঠপর্যায়ে তার তেমন প্রতিফলন নেই। যে দোকানির কাছ থেকে বিগত সরকারের তস্কররা বখরা নিত এখন সেটা অন্য কেউ নেওয়ার চেষ্টা করছে। যে কোনো স্টেশনে চাঁদাবাজি, হাট-বাজারে চাঁদাবাজি, একজনকে সরিয়ে আরেকজন নেতা, বাজার কমিটি ভাঙা, হাট কমিটি ভেঙে দলবিশেষের দখলে নেওয়া এ এক দেখবার মতো ঘটনা। অফিস দখল, বাড়ি দখল এসব তো লেগেই আছে। এটা মানতেই হবে অন্য সময়ের চাইতে বিএনপির নেতৃত্ব অনেক বেশি সংযত। তার চেয়ে সংযত জামায়াত নেতৃবৃন্দ। লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমান দলের নেতা-কর্মীদের সংযত করছেন বলেই মনে হয়। তিনি যদি তার দলকে তার দলীয় নেতা-কর্মীদের সামলাতে পারেন তাহলে তারেক রহমান সত্যিকার অর্থে একজন জাতীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। দেখা যাক কতটা কী হয়। তবে সবকিছুতে ধৈর্যের বড় বেশি প্রয়োজন। অসময়ের দশ ফাল, সময়ের এক ফাল অনেক বড়। সময়ের কাজ সময়ে করা খুবই প্রয়োজন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের চামড়া রসুনের মতো পাতলা হলে চলে না। রাজনীতিবিদদের চামড়া হবে গন্ডারের চাইতে পুরো বা ভারী। যেদিন আঘাত লাগবে তার তিন দিন পর সে যেন টের পায়। তা না হলে রাজনীতি করা যায় না। আমাদের দেশে এখন ধীরস্থির সহনশীল মানুষের বড় বেশি প্রয়োজন। সেই সহনশীলতার দিক থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে অনেক ওপরে অনেক পোড় খাওয়া জগৎবিখ্যাত মানুষ এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আমি তো আশা করতেই পারি, আমাদের ভালো একটা কিছু হবে। কিছু মানুষ আছে চিলে কান নিয়েছে শুনে চিলের পেছনে ছোটে, কানে হাত দিয়ে দেখে না। লিবিয়ায় কর্নেল গাদ্দাফির পতন, মিসরের হোসনি মোবারক আরও আরও জায়গায় অসংখ্য অভ্যুত্থানে পতনের চাইতে শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই ছোট নয়। তার দ্বারা যে তাচ্ছিল্য যে অপমান-অপদস্থ হয়েছি তা লিখে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখেছি। সেজন্য নিন্দা ছাড়া তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। আজ থেকে এক যুগ আগে আমি যখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানি চেয়েছিলাম তখন এই সেদিনের মতো ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা সুবিধা না পেলে তবে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ ঠিক ওরকমই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানি চাওয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে বড় বিক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘কাদের সিদ্দিকীর কথা, ওসব বাদ দিন। পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।’ এটা সত্য একজন মানুষ হিসেবে আমাকে শেখ হাসিনার ছাগল বানানোর কোনো ক্ষমতা ছিল না। গরু-ছাগল তরুলতা এসব বানানোর ক্ষমতা মহান আল্লাহর, মহান স্রষ্টার। হ্যাঁ, তিনি অত্যাচারে অত্যাচারে হয়তো আমাকে পাগল বানাতে পারতেন। আর আমি তখন সংসদ সদস্য। আমি আদৌ পাগল কি না তার জন্য ডাক্তারি বোর্ড বসাতে হতো। বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত আমি স্বাভাবিক, না পাগল। ক্ষমতা থাকলে একজন মানুষকে পাগল বললে আল্লাহর আরশ কতটা কেঁপে ওঠে। যা হোক সে সময় হাসিনা সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানি চেয়ে সিলেট মাজারে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত নানান জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কালো পতাকা দেখেছিলাম। ফেরার পথে আমার গাড়িবহরে ঢিল ছোড়া হয়েছিল। আমি মনে করেছিলাম ২ হাজার টাকা সম্মানি চাওয়া কম হয়েছে ভেবে হয়তো মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। কিন্তু না, আমি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে ২ হাজার টাকা চাইলাম কেন? এতে শেখ হাসিনাকে অপমান-অপদস্থ করা হয়েছে। যোদ্ধাদের জন্য সম্মানি চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপদস্থ হন আর একজন শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাকে পাগল-ছাগল বললে তার সম্মান নষ্ট হয় না? মুক্তিযুদ্ধের অবমূল্যায়ন হয় না? কাকে বলি এসব কথা। আমি যখন ২ হাজার টাকা সম্মানি দাবি করেছিলাম তখন সোনার ভরি ছিল ১৫ হাজার টাকা। এখন ১,২০,০০০। সেই তুলনায় শেখ হাসিনা সরকার যখন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ২০,০০০ টাকা করেছে তখন আমি বাজার দর হিসাব করে দেখেছি ৬০,০০০ টাকা হলেও আমার সেদিনের চাওয়া ২ হাজারের সমান হয় না। মাঝেসাজে কখনো-সখনো ২-৪ বার মনে হয়েছে ২ হাজার টাকা সম্মানি চাওয়ায় মাননীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আমাকে পাগল-ছাগল বলেছিলেন। এখন তার সরকারের আমলে কুড়ি হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কি পাগলি-ছাগলি বলা যায়? না, আমি বলিনি। আজও বলতাম না। আজ দেশের যে অবস্থা তার ৯৯ ভাগ দায়ী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবমূল্যায়ন তার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবমূল্যায়নের জন্য পুরোটাই দায়ী শেখ হাসিনা। আজ কত শত নির্দোষ নিবেদিত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী দেশপ্রেমিকের লাঞ্ছিতের জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। মনে হয় না তাকে নিয়ে বেশি মাতামাতি খুব বেশি ভালো হবে। ভারতের জন্য তো নয়ই, বাংলাদেশের জন্যও ভালো হবে না। তার শাস্তি হওয়া উচিত। যথাযথ নিয়মে বিচার হলে তার শাস্তি হবে। তার শাস্তি হলে ভবিষ্যতে যারা শাসন ক্ষমতায় থাকবেন বা যাবেন তাদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হবে।

দেশবাসী জানেন, সময়ের কথা আমি কখনো অসময়ে বলতে চাই না। যে জন্য আমাকে বহু মানুষ যেমন ভালোবাসে তেমনি শত্রুর সংখ্যাও কম নয়। আমি শত্রু নিয়ে ভাবি না, ভাবি বন্ধুদের জন্য, ভাবি দয়াময় স্রষ্টার জন্য। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতীয় সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলেছেন এটা বড় কিছু নয়। সব দেশের সৈন্যদেরই সব সময় সতর্ক থাকতে হয় সেটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলা বাংলাদেশের জন্য হুমকি বা বাংলাদেশকে দখল করে নিয়ে হাসিনার হাতে তুলে দেবেন তেমন নয়। আমি এটা বলব না যে ভারত বাংলাদেশ আক্রমণ করে দখল করে নিতে পারবে না। না, দখল করতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশকে জয় করার তাদের ক্ষমতা নেই। সামরিকভাবে দখল করলে ভারতের জন্য সেটা গলার কাঁটা হবে। শুধু কাঁটা বলি কেন, ফাঁস হয়ে দেখা দিতে পারে। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ যার একটির পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রায় ১২০০ মাইল দূর তাও এক দেশ। বঙ্গভঙ্গ রদ হয়েছিল ১৯১১ সালে। কিন্তু আবার ’৪৭ সালে ভাগ হলো কেন? অবিভক্ত বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হতে পারত অথবা অবিভক্ত বাংলা ভারত হতে পারত, পশ্চিমবঙ্গ কেন? এখন পশ্চিমবঙ্গেও প্রায় সাড়ে ১০ কোটি মানুষ। আমরা ১৮ কোটি। লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসন। আমাদের দখল করলে অন্তত ১১৫ আসন হবে। উত্তরপ্রদেশে ৮০ আসন। তার ঠেলাই ভারত সামলাতে পারে না। বাংলায় ১১৫ আসন হলে ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের একাংশ এক হয়ে বর্তমান ভারতের রাজনীতি কখন চাঙে তুলবে বর্তমান নেতা-নেত্রীরা বুঝতেও পারবে না। তাই ভারতীয় সেনাদের সতর্ক করা আর বাংলাদেশ দখল করা এক কথা নয়। আরও যদি কড়কড়ে সত্য বলা হয় তাহলে ভারতের থলিতে কোনো জয় নেই। ’৪৮-এ কাশ্মীরে যুদ্ধ হয়েছিল। সে যুদ্ধে ভারত হেরেছিল। ’৬২-তে চীন-ভারত যুদ্ধ হয়, সেখানেও ভারত পরাজিত হয়। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে চীনের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল। তিনি চীনকে ভালোবাসতেন, সম্মান করতেন। সেই চীন ভারত আক্রমণ করায় বুকের ব্যথায় জওহরলাল নেহেরু ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তিনি ’৬৫-তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শেষে সোভিয়েত রাশিয়ার তাসখন্দে শান্তি চুক্তির সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন। ভারতের সারা জীবনের অহংকার করার মতো ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্মরণ করার মতো গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক ঐতিহাসিক বিজয়। সে বিজয়ও আসত না, যদি না বাংলার মানুষ তাদের বুকের রক্তে হানাদারদের জন্য বাংলার পথঘাট পিচ্ছিল করে রাখত। বাঙালির আত্মত্যাগ বাঙালির রক্তদানে শুধু একবারই ভারত সারা দুনিয়ায় বিজয় অর্জন করেছে। আর সেই বিজয়ের কারণেই ভারতের সুনাম ভারতের মাহাত্ম্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ ভারতের ব্যাপ্তি আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ভারতের ব্যাপ্তি এক নয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বের নিপীড়িত মুক্তিকামী মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধুর মর্যাদা অর্জন করেছিল। আমরা রক্ত না দিলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি না হলে তাতে ভারত অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার এই বিশ্ব পরিচিতি নিপীড়িত মানুষের বন্ধু এই মর্যাদা ১০ বার ভারতকে বিক্রি করেও অর্জন করতে পারত না। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করে অবশ্যই ভারত এক বিরাট মহান অবদান রেখেছে আমাদের তা মনে রাখা উচিত। কিন্তু সেই চরম সময় আমাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভারত যে মহিমান্বিত হয়েছে সেটাও কম কথা নয়। সেটাও ভারতকে, ভারতের নেতৃবৃন্দকে মনে রাখতে হবে। আমি বহুদিন ভারতে কাটিয়েছি। ভারতের সাধারণ মানুষ ভারতের প্রাণ আর সমাজপতি বা নেতৃবৃন্দ এক কথা নয়। তাই রাজনাথ সিংয়ের কথায় আমাদের না ভাবলেও চলবে।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালে নতুন তিন মন্ত্রীর শপথ
নেপালে নতুন তিন মন্ত্রীর শপথ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন