শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ মেনে নিন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ মেনে নিন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে আবার আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনটি একেবারে যৌক্তিক। এতে কোনো ছলচাতুরী নেই। পৃথিবীর বহু দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নির্ধারিত বয়সসীমা নেই। শারীরিক স্বাস্থ্য সমর্থন করলে যে কোনো বয়সে যে কেউ চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে। আমরা সব সময় কেন যেন ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ি। কয়েক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩০ করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৫৩-৫৪ বছর। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে অথচ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হবে না এ কেমন কথা? শিক্ষা জট লেগেই আছে। ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা শেষ করতে করতেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হয়ে যায়। তারা ভালো ফলাফল করেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে না। এ বঞ্চনার বিরুদ্ধে তারা অনেকবার সংগ্রাম করেছে। গত বছরের ১১ জুলাই আমার মতামত ব্যক্ত করেছিলাম। তখনকার সরকার কথা শোনেনি। এখন ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার, তারাও কি কথা শুনবে না? বিগত সরকারের সবকিছুতে পথপ্রদর্শক ছিল ভারত। সেই ভারতেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বছর। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছর। হ্যাঁ এটা ঠিক, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরের নিচে নেই। তাহলে যে পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, ২ লাখ মা-বোন ইজ্জত সম্ভ্রম হারিয়েছে, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করব? মোটেই না। তা করলে আমরা লাখ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি বিশ্বাসঘাতকতা করব। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই বেইমান বা বিশ্বাসঘাতক হতে পারি না। বাংলার একটি মানুষও জেনেশুনে বেইমান বিশ্বাসঘাতক হবে না। তাই বহু আদ্রিত বাংলার গণমানুষের আস্থাভাজন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিবেদন, অনতিবিলম্বে এই ন্যায্য দাবি মেনে নিন। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরের ঘোষণা দিয়ে আমাদের সন্তানদের নিশ্চিন্তে স্বস্তিতে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ দিন।

এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, বহু বছর ধরে দেখছি সরকারি চাকরির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় একই দিনে ৮-১০-১৫ বিভাগে। একজন মেধাবী প্রার্থী দুটি বিষয়ের বেশি অংশগ্রহণ করতে পারে না। সে হয়তো ছয়-সাতটি বিষয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু দুটির বেশি তার অংশগ্রহণ করার সুযোগ না থাকায় বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে সরকারি পদের জন্য হাজার-দুই হাজার টাকা ফি দিয়ে দরখাস্ত করতে হয়। মাঝেসাজে মনে হয় সরকার কি চাকরিতে যোগদানের আবেদনকারীদের ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে? আবেদনের জন্য কেন হাজার-দুই হাজার টাকার ফি দিতে হবে, ব্যাংক ড্রাফট দিতে হবে? এক্ষেত্রে ২০-৫০-১০০-২০০ টাকা হলে ক্ষতি কোথায়? ব্যাপারগুলো একটু ভেবে দেখতে বলছি। অশান্তির জট যদি রাষ্ট্রই সৃষ্টি করে, তাহলে সমাধান কে করবে? তাই আমার প্রত্যাশা, বর্তমান সরকার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণ করে জাতির কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এটাই হবে বাঙালি জাতির ললাটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বিজয় তিলক।

এমনিতে চারদিকে অশান্তি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হচ্ছে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যথাযথ শৃঙ্খলাই প্রতিষ্ঠা হয়নি। সেখানে আবার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে রাস্তায় নামলে কী জবাব দেবে সরকার, কী জবাব দেবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা? দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের আপামর জনতা ফুঁসে উঠেছিল। অত বেশি সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন বৈষম্য হলে মানুষের সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। আর সীমা লঙ্ঘনকারীকে যেমন দেশের মানুষজন সহ্য করে না, তেমনি আল্লাহও সহ্য করেন না। যেটা বিগত সরকারকে নিয়ে হয়েছে। অনেকে মনে করেছে শেখ হাসিনার পতন নেই। কিন্তু আমি আল্লাহ রসুলে বিশ্বাসী মানুষ, সব অন্যায়ের পতন আছে। আমি অন্যায় করলে আমারও পতন হবে। ’৯৯ সালে আমি গামছা মার্কা নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেছি। আজ সেটা ২৫ বছরে পা দিয়েছে। তারও তিন বছর আগে থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কর্তৃত্বের সঙ্গে বিরোধ হয়। তারপরও আমার বহু গামছার নেতা-কর্মীর নামে মামলা হচ্ছে। এরকম আজগুবি মামলা দিলে তার পরিণাম যা হওয়ার তাই হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনো নেতাকেই ভালো করে চিনি না। যারা দুজন উপদেষ্টা হয়েছেন তাদের এক দিন বঙ্গভবনে দেখেছি। কোনো কথা হয়নি, পরিচয় হয়নি। আন্দোলনের সময় কয়জন সমন্বয়ক ছিলেন জানি না। হারুনের হোটেলে ছয়জনকে দেখেছি। আন্দোলনের পক্ষের কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীর ভূমিকা অসাধারণ। তাদের সততা, ন্যায়পরায়ণতা দেশপ্রেম যে কাউকে অভিভূত করে। কিন্তু ছাত্রদের নামে কেউ কেউ অপকর্মের চেষ্টা করছে। এটা চলতে থাকলে এত রক্ত এত ত্যাগে আন্দোলনের সফলতা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এটা খুবই সত্য, শত্রুপক্ষ কখনো হাত গুটিয়ে বসে থাকে না। তারা সব সময় তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যায়। তাদের সুসংগঠিত সংগঠন থাকে। কিন্তু আন্দোলনে বিজয়ী যুব বন্ধুদের, ছাত্র বন্ধুদের তেমন কোনো সংগঠন নেই। অত্যাচারে অত্যাচারে স্বাধীনতাহীনতায় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটিয়েছে। তারা এখন তেমন রাস্তায় নেই। ঘরের মানুষ অনেকেই ঘরে চলে গেছে। সেজন্য সবাইকে সাবধান হতে হবে।

অন্যদিকে এক ভয়াবহ অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি। সেটা হলো অনেকের তেমন বোধোদয় হয়নি। শুরুর দিকে কোনো কোনো দল ধরেই নিয়েছিল তাদের বিজয় হয়েছে। কিন্তু এখন তারা যখন দেখছেন বিজয় তাদের নয়, বিজয় হয়েছে জনতার, বিজয় হয়েছে দেশের। তখন একটি বড় দলের অনেক নেতা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেও মাঠপর্যায়ে তার তেমন প্রতিফলন নেই। যে দোকানির কাছ থেকে বিগত সরকারের তস্কররা বখরা নিত এখন সেটা অন্য কেউ নেওয়ার চেষ্টা করছে। যে কোনো স্টেশনে চাঁদাবাজি, হাট-বাজারে চাঁদাবাজি, একজনকে সরিয়ে আরেকজন নেতা, বাজার কমিটি ভাঙা, হাট কমিটি ভেঙে দলবিশেষের দখলে নেওয়া এ এক দেখবার মতো ঘটনা। অফিস দখল, বাড়ি দখল এসব তো লেগেই আছে। এটা মানতেই হবে অন্য সময়ের চাইতে বিএনপির নেতৃত্ব অনেক বেশি সংযত। তার চেয়ে সংযত জামায়াত নেতৃবৃন্দ। লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমান দলের নেতা-কর্মীদের সংযত করছেন বলেই মনে হয়। তিনি যদি তার দলকে তার দলীয় নেতা-কর্মীদের সামলাতে পারেন তাহলে তারেক রহমান সত্যিকার অর্থে একজন জাতীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। দেখা যাক কতটা কী হয়। তবে সবকিছুতে ধৈর্যের বড় বেশি প্রয়োজন। অসময়ের দশ ফাল, সময়ের এক ফাল অনেক বড়। সময়ের কাজ সময়ে করা খুবই প্রয়োজন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের চামড়া রসুনের মতো পাতলা হলে চলে না। রাজনীতিবিদদের চামড়া হবে গন্ডারের চাইতে পুরো বা ভারী। যেদিন আঘাত লাগবে তার তিন দিন পর সে যেন টের পায়। তা না হলে রাজনীতি করা যায় না। আমাদের দেশে এখন ধীরস্থির সহনশীল মানুষের বড় বেশি প্রয়োজন। সেই সহনশীলতার দিক থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে অনেক ওপরে অনেক পোড় খাওয়া জগৎবিখ্যাত মানুষ এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আমি তো আশা করতেই পারি, আমাদের ভালো একটা কিছু হবে। কিছু মানুষ আছে চিলে কান নিয়েছে শুনে চিলের পেছনে ছোটে, কানে হাত দিয়ে দেখে না। লিবিয়ায় কর্নেল গাদ্দাফির পতন, মিসরের হোসনি মোবারক আরও আরও জায়গায় অসংখ্য অভ্যুত্থানে পতনের চাইতে শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই ছোট নয়। তার দ্বারা যে তাচ্ছিল্য যে অপমান-অপদস্থ হয়েছি তা লিখে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখেছি। সেজন্য নিন্দা ছাড়া তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। আজ থেকে এক যুগ আগে আমি যখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানি চেয়েছিলাম তখন এই সেদিনের মতো ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা সুবিধা না পেলে তবে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ ঠিক ওরকমই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানি চাওয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে বড় বিক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘কাদের সিদ্দিকীর কথা, ওসব বাদ দিন। পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।’ এটা সত্য একজন মানুষ হিসেবে আমাকে শেখ হাসিনার ছাগল বানানোর কোনো ক্ষমতা ছিল না। গরু-ছাগল তরুলতা এসব বানানোর ক্ষমতা মহান আল্লাহর, মহান স্রষ্টার। হ্যাঁ, তিনি অত্যাচারে অত্যাচারে হয়তো আমাকে পাগল বানাতে পারতেন। আর আমি তখন সংসদ সদস্য। আমি আদৌ পাগল কি না তার জন্য ডাক্তারি বোর্ড বসাতে হতো। বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত আমি স্বাভাবিক, না পাগল। ক্ষমতা থাকলে একজন মানুষকে পাগল বললে আল্লাহর আরশ কতটা কেঁপে ওঠে। যা হোক সে সময় হাসিনা সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার টাকা সম্মানি চেয়ে সিলেট মাজারে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত নানান জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কালো পতাকা দেখেছিলাম। ফেরার পথে আমার গাড়িবহরে ঢিল ছোড়া হয়েছিল। আমি মনে করেছিলাম ২ হাজার টাকা সম্মানি চাওয়া কম হয়েছে ভেবে হয়তো মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। কিন্তু না, আমি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে ২ হাজার টাকা চাইলাম কেন? এতে শেখ হাসিনাকে অপমান-অপদস্থ করা হয়েছে। যোদ্ধাদের জন্য সম্মানি চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপদস্থ হন আর একজন শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাকে পাগল-ছাগল বললে তার সম্মান নষ্ট হয় না? মুক্তিযুদ্ধের অবমূল্যায়ন হয় না? কাকে বলি এসব কথা। আমি যখন ২ হাজার টাকা সম্মানি দাবি করেছিলাম তখন সোনার ভরি ছিল ১৫ হাজার টাকা। এখন ১,২০,০০০। সেই তুলনায় শেখ হাসিনা সরকার যখন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ২০,০০০ টাকা করেছে তখন আমি বাজার দর হিসাব করে দেখেছি ৬০,০০০ টাকা হলেও আমার সেদিনের চাওয়া ২ হাজারের সমান হয় না। মাঝেসাজে কখনো-সখনো ২-৪ বার মনে হয়েছে ২ হাজার টাকা সম্মানি চাওয়ায় মাননীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আমাকে পাগল-ছাগল বলেছিলেন। এখন তার সরকারের আমলে কুড়ি হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কি পাগলি-ছাগলি বলা যায়? না, আমি বলিনি। আজও বলতাম না। আজ দেশের যে অবস্থা তার ৯৯ ভাগ দায়ী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবমূল্যায়ন তার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবমূল্যায়নের জন্য পুরোটাই দায়ী শেখ হাসিনা। আজ কত শত নির্দোষ নিবেদিত বঙ্গবন্ধুপ্রেমী দেশপ্রেমিকের লাঞ্ছিতের জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। মনে হয় না তাকে নিয়ে বেশি মাতামাতি খুব বেশি ভালো হবে। ভারতের জন্য তো নয়ই, বাংলাদেশের জন্যও ভালো হবে না। তার শাস্তি হওয়া উচিত। যথাযথ নিয়মে বিচার হলে তার শাস্তি হবে। তার শাস্তি হলে ভবিষ্যতে যারা শাসন ক্ষমতায় থাকবেন বা যাবেন তাদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হবে।

দেশবাসী জানেন, সময়ের কথা আমি কখনো অসময়ে বলতে চাই না। যে জন্য আমাকে বহু মানুষ যেমন ভালোবাসে তেমনি শত্রুর সংখ্যাও কম নয়। আমি শত্রু নিয়ে ভাবি না, ভাবি বন্ধুদের জন্য, ভাবি দয়াময় স্রষ্টার জন্য। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতীয় সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলেছেন এটা বড় কিছু নয়। সব দেশের সৈন্যদেরই সব সময় সতর্ক থাকতে হয় সেটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলা বাংলাদেশের জন্য হুমকি বা বাংলাদেশকে দখল করে নিয়ে হাসিনার হাতে তুলে দেবেন তেমন নয়। আমি এটা বলব না যে ভারত বাংলাদেশ আক্রমণ করে দখল করে নিতে পারবে না। না, দখল করতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশকে জয় করার তাদের ক্ষমতা নেই। সামরিকভাবে দখল করলে ভারতের জন্য সেটা গলার কাঁটা হবে। শুধু কাঁটা বলি কেন, ফাঁস হয়ে দেখা দিতে পারে। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ যার একটির পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রায় ১২০০ মাইল দূর তাও এক দেশ। বঙ্গভঙ্গ রদ হয়েছিল ১৯১১ সালে। কিন্তু আবার ’৪৭ সালে ভাগ হলো কেন? অবিভক্ত বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হতে পারত অথবা অবিভক্ত বাংলা ভারত হতে পারত, পশ্চিমবঙ্গ কেন? এখন পশ্চিমবঙ্গেও প্রায় সাড়ে ১০ কোটি মানুষ। আমরা ১৮ কোটি। লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসন। আমাদের দখল করলে অন্তত ১১৫ আসন হবে। উত্তরপ্রদেশে ৮০ আসন। তার ঠেলাই ভারত সামলাতে পারে না। বাংলায় ১১৫ আসন হলে ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের একাংশ এক হয়ে বর্তমান ভারতের রাজনীতি কখন চাঙে তুলবে বর্তমান নেতা-নেত্রীরা বুঝতেও পারবে না। তাই ভারতীয় সেনাদের সতর্ক করা আর বাংলাদেশ দখল করা এক কথা নয়। আরও যদি কড়কড়ে সত্য বলা হয় তাহলে ভারতের থলিতে কোনো জয় নেই। ’৪৮-এ কাশ্মীরে যুদ্ধ হয়েছিল। সে যুদ্ধে ভারত হেরেছিল। ’৬২-তে চীন-ভারত যুদ্ধ হয়, সেখানেও ভারত পরাজিত হয়। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে চীনের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল। তিনি চীনকে ভালোবাসতেন, সম্মান করতেন। সেই চীন ভারত আক্রমণ করায় বুকের ব্যথায় জওহরলাল নেহেরু ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তিনি ’৬৫-তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শেষে সোভিয়েত রাশিয়ার তাসখন্দে শান্তি চুক্তির সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন। ভারতের সারা জীবনের অহংকার করার মতো ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্মরণ করার মতো গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক ঐতিহাসিক বিজয়। সে বিজয়ও আসত না, যদি না বাংলার মানুষ তাদের বুকের রক্তে হানাদারদের জন্য বাংলার পথঘাট পিচ্ছিল করে রাখত। বাঙালির আত্মত্যাগ বাঙালির রক্তদানে শুধু একবারই ভারত সারা দুনিয়ায় বিজয় অর্জন করেছে। আর সেই বিজয়ের কারণেই ভারতের সুনাম ভারতের মাহাত্ম্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ ভারতের ব্যাপ্তি আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ভারতের ব্যাপ্তি এক নয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বের নিপীড়িত মুক্তিকামী মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধুর মর্যাদা অর্জন করেছিল। আমরা রক্ত না দিলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি না হলে তাতে ভারত অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার এই বিশ্ব পরিচিতি নিপীড়িত মানুষের বন্ধু এই মর্যাদা ১০ বার ভারতকে বিক্রি করেও অর্জন করতে পারত না। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করে অবশ্যই ভারত এক বিরাট মহান অবদান রেখেছে আমাদের তা মনে রাখা উচিত। কিন্তু সেই চরম সময় আমাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভারত যে মহিমান্বিত হয়েছে সেটাও কম কথা নয়। সেটাও ভারতকে, ভারতের নেতৃবৃন্দকে মনে রাখতে হবে। আমি বহুদিন ভারতে কাটিয়েছি। ভারতের সাধারণ মানুষ ভারতের প্রাণ আর সমাজপতি বা নেতৃবৃন্দ এক কথা নয়। তাই রাজনাথ সিংয়ের কথায় আমাদের না ভাবলেও চলবে।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : অমানউল্লাহ আমান
নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : অমানউল্লাহ আমান

এই মাত্র | ভোটের হাওয়া

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন
২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম
স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক
এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক

২০ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট
বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

২৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০
আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক: আমজনতার দল
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক: আমজনতার দল

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

এরশাদ হাসানের একক অভিনয়ে নতুন নাটক
এরশাদ হাসানের একক অভিনয়ে নতুন নাটক

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

সাভারে চালু হচ্ছে বায়োজিনের নতুন শাখা
সাভারে চালু হচ্ছে বায়োজিনের নতুন শাখা

৪৩ মিনিট আগে | জীবন ধারা

গাজীপুরে তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিএনপির উদ্যোগে ম্যারাথন
গাজীপুরে তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিএনপির উদ্যোগে ম্যারাথন

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বরফ গলল তবে, ট্রাম্প-মাস্কের খুনসুটি
বরফ গলল তবে, ট্রাম্প-মাস্কের খুনসুটি

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

৫০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

৫১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সমালোচনার জবাব দিলেন রামচরণের স্ত্রী
সমালোচনার জবাব দিলেন রামচরণের স্ত্রী

৫২ মিনিট আগে | শোবিজ

রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘সহনশীল রূপান্তর’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী
রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘সহনশীল রূপান্তর’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

৫৩ মিনিট আগে | জীবন ধারা

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজ করলেন মান্নান
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজ করলেন মান্নান

৫৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দেড়শ বছরের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে প্রথমবার দুই আদিবাসী
দেড়শ বছরের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে প্রথমবার দুই আদিবাসী

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা