সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের চর্চা ফের শুরু হলো! জুলাই-আগস্টের গণ আন্দোলনে সরকার পতনের পর, অন্তর্বর্তী সরকার যখন সবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে, সড়ক অবরোধের মচ্ছব শুরু হয়েছিল। সরকার তখন সবকিছু বুঝে নিয়ে, গুছিয়ে কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে সময় হাজারটা বঞ্চনার ফিরিস্তি ও অগুনতি দাবি নিয়ে একের পর এক পথে নামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। স্বৈরশাসনামলের দীর্ঘ দেড় দশকে তারা নানাভাবে নিপীড়িত-বঞ্চিত হয়েছে, এ কথা সত্যি। আন্দোলনে অনেক শিল্প আক্রান্ত হওয়া এবং অনেক মালিক পলাতক বা গ্রেপ্তার হওয়ায় শিল্পবাণিজ্যে একধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। কর্মচ্যুত হয় অনেক মানুষ। পরিবারগুলো বিপাকে পড়ে। সেই ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে, মতলবি চক্রও নানা কুটচাল কষতে থাকে। তখন কথায় কথায় শ্রমিক-কর্মীদের পথ আগলে বসে যেতে দেখা গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। জটিল যানজটে নাকাল হন শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, রোগী-স্বজন সবাই। গত কিছুদিন এ প্রবণতা তেমন লক্ষ করা যায়নি। বুধবার ফের সড়ক অবরোধের কবলে পড়ল দেশ। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কারিগরি শিক্ষার্থীরা তাঁদের ছয় দফা দাবি আদায়ে পথে নামেন। সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের জোট ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা পথে নামেন। রাজধানীসহ সারা দেশে তাঁরা সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করেন। যথারীতি বিপাকে পড়ে অগণিত মানুষ। তাদের কাজের ক্ষতি ও সময় নষ্ট হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অশান্তিও কম হয়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। কোথাও যৌথ বাহিনী ও শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি হলে হুড়োহুড়িতে অনেকে আহতও হয়েছে। এগুলো অনভিপ্রেত। রাস্তা দখল দাবি আদায়ের শোভন-সংগত পন্থা নয়। তাঁদের নিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আন্দোলনরত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সহমর্মিতা রয়েছে। ন্যায্যতার বিচার-বিবেচনায় তাঁদের দাবি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।
শিরোনাম
- ১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
- পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
- সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
- রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি