শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

৭২ চিরসবুজ ড্রিমগার্ল

৭২ চিরসবুজ ড্রিমগার্ল

বলিউড ড্রিমগার্ল মানেই রূপের আলোয় আলোকিত এক অভিনেত্রী হেমা মালিনী। আজ তাঁর জন্মদিন। বয়সের অঙ্ক ৭২ বসন্তের ঘরে হলেও আজও সজীব, চিরসবুজ। বড় পর্দা থেকে রাজনীতির আঙিনায়ও তিনি সমুজ্জ্বল।  এই স্বপ্ন দেবীকে নিয়ে লিখেছেন  -   আলাউদ্দীন মাজিদ

 

কে এই হেমা

ষাট থেকে নব্বই- টানা তিন দশক দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন হেমা মালিনী। জন্ম ১৬ অক্টোবর, ১৯৪৮ সাল। জাতিগতভাবে তিনি তামিল। তাঁর মা জয়ালক্ষ্মী চক্রবর্তী এবং পিতা ভিএসআর চক্রবর্তী।

 

প্রথম ছবি থেকে বাদ

ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘তারকাসুলভ’ চেহারা নেই বলে তামিল পরিচালক সিভি শ্রীধরের সিনেমা থেকে বাদ পড়েছিলেন হেমা। পরে সেই চরিত্রে অভিনয় করেন জয়ললিতা। ১৯৬৫ সালে ‘পার্ব বনবাসাম’ ছবির একটি ছোট্ট চরিত্রের মাধ্যমে প্রথম বলিউডে প্রবেশ। ১৯৬৮ সালে ‘স্বপ্ন কা সওদাগর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মূল চরিত্রে রুপালি পর্দায় অভিষিক্ত হন।

 

যেভাবে ড্রিমগার্ল

কিংবদন্তি অভিনেতা রাজকাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘স্বপ্ন কা সওদাগর’ ছবিতে অভিনয়ের পর তাঁকে সবাই বলিউডের  ‘ড্রিম গার্ল’ বা ‘স্বপ্নের তরুণী’ নামে অভিহিত করে। চলচ্চিত্রটি সে সময় ব্যাপক সাড়া ফেলে।

 

সর্বাধিক উপার্জনকারী শিল্পী

বলিউডে শীর্ষ ১০ উপার্জনকারী শিল্পীর তালিকায় চলে আসেন হেমা মালিনী। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে বলিউডের চতুর্থ সর্বাধিক উপার্জনকারী শিল্পী ছিলেন তিনি।

 

রাজনীতির মাঠে

হেমা মালিনী ১৯৯৯ সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ওই বছর বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন হেমা মালিনী। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ অভিনেত্রী রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালে তাঁকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়। চার বছর পর মথুরার জয়ন্ত চৌধুরীকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে লোকসভার সদস্য হন হেমা।

 

সম্মাননা

সর্বমোট ১১ বার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান। ২০০০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মাননা লাভ করেন।

 

ফ্যাশন আইকন

শুধু নাচ ও অভিনয় দিয়েই নয়, হেমা দর্শকদের মুগ্ধ করতেন তাঁর অসাধারণ ফ্যাশন সেন্স দিয়েও। সত্তর দশকে নায়িকাদের বেলবটম প্যান্ট পরার চল তিনিই প্রথম শুরু করেন। সে সময় তরুণীদের মধ্যে এই ফ্যাশন বেশ জনপ্রিয় হয়। বেলবটম প্যান্ট, ফুলহাতা শার্ট আর মাথায় লম্বা হ্যাট পরা হেমাকে যত মিষ্টি লাগত, ঠিক ততটাই তাঁকে আকর্ষণীয় দেখায় দক্ষিণ ভারতীয় কাতান শাড়িতে।  তাঁর শাড়ির সংগ্রহও বিশাল।

 

নাচই মূলমন্ত্র

শিল্পকলার প্রতি দারুণ আকর্ষণ রয়েছে হেমার। নাট্যবিহার কলাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। অভিনয়ে সফল হলেও নাচই হেমার জীবনের মূলমন্ত্র। নাচই তাঁর প্রথম ভালোবাসা। নাচে পটু হেমা ভারতীয় সব ধরনের নাচে দক্ষ। পশ্চিমা ঘরানার কিছু নাচও জানা আছে।

 

সৌন্দর্যের রহস্য

তাঁর সৌন্দর্যের একমাত্র রহস্য পানি। প্রচুর পানি পান করে ত্বকের পরিচর্যা করেন হেমা মালিনী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সৌন্দর্যের একমাত্র রহস্য পানি।  প্রচুর পানি পান করে ত্বকের পরিচর্যা করেন হেমা মালিনী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর