বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : মাহিয়া মাহি

মেয়েদের জীবনে একজন সত্যিকারের মজনু দরকার

মেয়েদের জীবনে একজন সত্যিকারের মজনু দরকার

মাহিয়া মাহি। নানা সময় নানা বিষয়ে খবরের শিরোনাম হন।  এবারও তার ব্যতিক্রম নয়, একদিকে মা হতে যাচ্ছেন অন্যদিকে সদ্য মুক্তি পাওয়া তাঁর অভিনীত ‘যাও পাখি বলো তারে’ ছবিটি দর্শক নজর কেড়েছে। এ বিষয়ে তাঁর অনুভূতির কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

একসঙ্গে সুখবর দুটি, মাতৃত্বের স্বাদ পেতে যাচ্ছেন আরযাও পাখী বলো তারে ছবির সাফল্য, কেমন লাগছে?

এই ভালো লাগার কোনো শেষ নেই। আমি এখন জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় সময় পার করছি। মা হওয়ার অপেক্ষায় আছি। অনাগত সন্তানের জন্য নানা পরিকল্পনা করছি। এই পরিস্থিতিতে শুটিং করা সম্ভব নয়। তাই নতুন শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছি না। অন্যদিকে আমার প্রাণের ছবি ‘যাও পাখি...র’ সফলতা, সবার কাছে দোয়া চাই ছবিটি যাতে আরও দর্শকপ্রিয়তা পায় এবং নতুন অতিথিকে যেন সুন্দরভাবে পৃথিবী আনতে পারি।

 

যাও পাখি বলো তারে কেন দর্শক দেখছে?

আমরা অনেক সময় সিনেমার প্রচারে চাপাবাজি করি যে, এটা এমন সিনেমা, এটা সবার সেরা। কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু সিনেমায় কাজ করি যেগুলো নিয়ে মনের কথাগুলো ওইভাবে প্রকাশ করতে পারি না। ‘যাও পাখি বলো তারে’ তেমন একটি সিনেমা। এখানে গল্প, আমার চরিত্র, লোকেশন, নির্মাণশৈলী- সবই অসাধারণ। তাই ছবিটি দর্শকের ভালো লেগেছে। সবার জীবনেই যে একটা মজনু দরকার, সেটা ফিল করছে বিশেষ করে মহিলা দর্শকরা।

 

এই ছবির নায়িকা হতে পেরে কতটা সন্তুষ্ট?

এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা ছবি। দর্শকপ্রিয়তায় ‘পোড়ামন’কেও ছাড়িয়ে যাবে ‘যাও পাখি বলো তারে’। আমি যখন এতে কাজ করেছি, তখন কাজ করার দিক দিয়ে বেস্ট কাজ করেছি। আবার যখন শুট করেছি, শুটের সময়টায় খুবই এনজয় করেছি। এর আগে কোনো সিনেমায় এত মজা-মাস্তি করে কাজ করিনি। সবশেষে মুক্তির পর এখন দর্শক সাড়া আমাকে আপ্লুত করছে।

 

যারা এখনো ছবিটি দেখেনি তাদের উদ্দেশে কী বলবেন?

এই ছবিটি দেখলে কঠিন হৃদয়ের মানুষের মনটাও গলে যাবে। সবার দেখা উচিত এ জন্য যে, প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা আছে। কিন্তু এই ছবিটি দেখলে বোঝা যাবে ভালোবাসাটা আসলে কী। সব মেয়েই ফিল করতে পারবে, সব মেয়ের জীবনেই একজন সত্যিকারের মজনু দরকার। ছবির কিছু দৃশ্য দেখে আমি কেঁদেছি, যা দেখে দর্শকও কাঁদবে। সবাইকে সিনেমাটি দেখার অনুরোধ জানিয়ে ‘অগ্নি’খ্যাত অভিনেত্রী বলেন, ভালোবাসা কেমন তা এই সিনেমাটি দেখলে বোঝা যাবে। এতে অভিনয় করে অনেক তৃপ্তি পেয়েছি। অনেকদিন পর দর্শক আমার একটি ভালো সিনেমা উপভোগ করবে।

 

ছবিতে মজনু চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদর আজাদ এই অভিনেতা সম্পর্কে কী বলবেন?

আদর আজাদের অভিনয়কে আসলে অভিনয় মনে হয়নি, মনে হয়েছে যেন বাস্তবেই সে মজনু। ১০ বছর পর আমার অভিনয়ের অবস্থা এমন আর সে মাত্র এসেই এত ভালো অভিনয় শুরু করেছে। ১০ বছর পর না জানি সে কোথায় চলে যাবে। ধরে রাখা যাবে না। সবকিছু মিলিয়ে সে প্রচণ্ড ভালো একজন অভিনেতা এবং ভালো মানুষ।

 

ফেসবুকে নিয়মিত স্ট্যাটাসও পোস্ট করেন আপনি সম্প্রতি স্ট্যাটাস দিয়েছেনআমরা আর একসাথে নেই, এটি কেন?

এটি আমি দিইনি। কে যেন আমার ফেসবুক লগইন করেছিল। জানি না কাকে কাকে টেস্টও পাঠিয়েছে। কি ভয়ানক অবস্থা, প্রায়ই আমার সঙ্গে এ কাজটি হয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে খুবই টেনশনে আছি। অলরেডি পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনগত সহায়তা কামনা করছি।

 

সংসার জীবন কেমন চলছে?

সবার দোয়ায় সংসার জীবনে আমি খুবই হ্যাপি আছি। আগামীতে আমাদের ঘর আলো করে নতুন অতিথি আসছে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।

 

অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেন?

মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের জন্য গল্প, নির্মাতা, লোকেশন, চিত্রায়ণসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে সঠিক নজরদারি প্রয়োজন। একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই পারে এ বিষয়গুলো সঠিক পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্র উপহার দিতে। এ কারণে আমি অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

 

পর্দায় আপনি কখনো প্রেমিকা আবার কখনো অগ্নিময়ী নারী পর্দার বাইরে আসলে আপনি কেমন?

পর্দার বাইরের মাহি অনেক দুষ্টু। অনেক চঞ্চল। ছবিতে যে রকম দেখা যায়, কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি দুষ্টামি করি। বাস্তব জীবনেও আমি অগ্নিকন্যা। খুবই ঝগড়াটে স্বভাবের মেয়ে আমি। বলতে পারেন ঝগড়া করাটা আমার একধরনের শখ। আমি খুব বেশি কথা বলি আর হাসি। আর খুব অল্পতেই রেগে যাই। তবে ফেসবুকিং করতে পছন্দ করি। ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টামি করতে ভালো লাগে।

সর্বশেষ খবর