এই সময়ের সাড়া জাগানো কণ্ঠশিল্পী ঐশী। এই পাওয়ার ভয়েজ গায়িকা ক্যারিয়ারের অল্প সময়েই নিজস্ব গায়কি দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশেষ করে ঐশীর স্টেজ পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
গান নিয়ে ব্যস্ততা এখন কেমন?
গানের ব্যস্ততা বেশ ভালো। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ততা যাচ্ছে। যদিও দেশের মৌসুমটা একটু অন্যরকম। যার কারণে অনুষ্ঠানের সংখ্যা কম। তারপরও গানের পরিবেশ তো মনে হয় ভালোই।
সামনে কোনো একক গান কি প্রকাশ হবে?
একক গান অবশ্যই প্রকাশ হবে। কাজ চলছে। শ্রোতারা টিএম রেকর্ডস থেকে অলরেডি কয়েকটা গান পেয়েছে। একটা দুষ্টু পোলাপাইন। এরপর ‘গাড়ির মেকানিক’ এলো। দুষ্টু পোলাপাইন তো আলহামদুলিল্লাহ ব্লকবাস্টার হিট। আমার জন্য অন্যরকম একটা সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে এই গানটা। এবং এর পরবর্তীতে যখন ‘গাড়ির মেকানিক’ প্রকাশ হয়, তখন গানটিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষের গ্রহণ করা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই আরও কিছু গানের কাজ চলছে।
স্টেজ পারফরম্যান্স আছে?
হ্যাঁ, আছে। আরও বেশ কিছু অনুষ্ঠানে গান করব। সেগুলো সময় হলে সবাই জানতে পারবেন।
গান গাওয়া কেমন উপভোগ করছেন?
গান গাওয়া চমৎকার সাধনার জায়গা। প্রচণ্ড কষ্টেরও জায়গা। অনেক পরিশ্রম করেতে হয়। কষ্ট করতেই আমার ভালো লাগে। আমি যেভাবে দুটো প্রফেশনকে ভালোবেসে আছি, একইভাবে সামনেও থাকতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
শুরুর ও বর্তমান ঐশীর মধ্যে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে?
হাহাহা... আগের ঐশী আর এখনকার ঐশীর মধ্যে কোনো পরিবর্তন নেই। আগে যা ছিলাম, এখনো সে রকমই আছি। কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ভালোবাসার পরিবর্তন হয়েছে। যেমন আগে আমাকে তেমন করে কেউ চিনতেন না জানতেন না বা ভালোবাসতেন না, কিন্তু এখন আমি অনেক অনেক মানুষের ভালোবাসা পাই। এই ভালোবাসাটাকে পুঁজি করে আমি আজীবন বেঁচে থাকতে চাই।
‘মায়া’ সিনেমার গানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। সামনে আর কোনো সিনেমার গান করছেন?
‘মায়া রে’ গানটি গাওয়ার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলাম। এটা অন্যরকম একটা অ্যাচিভমেন্ট আমার জন্য। এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমি সর্বদা ফোকাস করেছি আমার কাজে। ডেডিকেশন ছিল কাজে যেন গান ভালো হয়। আমি আপনমনে গান করার চেষ্টা করেছি।
অভিনয়ে আসার ইচ্ছা কি রয়েছে?
গান এবং মেডিকেল- এই দুটি প্রফেশনের বাইরে আর কোনো কিছু করার ইচ্ছা নেই আপাতত। আসলে ইচ্ছাই নেই বলব।
টিএম গ্যালাক্সিতে পথচলা কেমন হচ্ছে?
এই ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতে আমি বাংলাদেশি হিসেবে কাজ করতে পারছি। আমার জন্য এটা বড় সৌভাগ্যের বিষয়। বাইরে দেশে কিন্তু শিল্পীরা এভাবেই ম্যানেজ হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যাপারটা একদমই নতুন। এ বিষয়টা টিএম গ্যালাক্সি নিয়ে এসেছে- আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। সামনে অনেক কিছুই দেখা যাবে। আপাতত আমার ম্যানেজমেন্টটা টিএম গ্যালাক্সির মাধ্যমেই হচ্ছে।
আর ঐশী এক্সপ্রেস নিয়ে পরিকল্পনা?
এটা আমার টিম। আমরা অনেক বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছি। এবং আমার বিশ্বাস আমি এই টিমটাকে নিয়েই দেশে-বিদেশে ভ্রমণ করব, গান করব। আমার গানের সঙ্গী হিসেবে সর্বদা তারা সঙ্গে থাকবেন, ইনশা আল্লাহ।