ছবির ক্ষেত্রে স্টান্টবাজি ও ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে লাভ নেই। এটা প্রচারণার জন্য প্রথমে সুবিধা পেলেও পরে সবাই জানার পর ছবিটি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুন্দর গল্পের ছবি সঠিক সময়ে নির্মাণ করে দর্শকদের কাছে পৌঁছানো উচিত। ভালো নির্মাতারা সব সময়ই তাই করে থাকেন। তারা মিডিয়ায় আলোচিত হতে কোনো স্টান্টবাজি করেন না। কারণ এতে দেশীয় চলচ্চিত্র জগৎ দর্শক আস্থা হারায়।’ -মনতাজুর রহমান আকবর, চলচ্চিত্র পরিচালক
স্টান্টবাজিতে দর্শক আস্থা হারাচ্ছে ঢাকাই ছবি। বলিউডের অমুক শিল্পীকে নিয়ে ছবি নির্মাণ হচ্ছে, অমুক শিল্পী তমুক ছবিতে শীর্ষ পারিশ্রমিক নিয়েছেন, কেউ অভিনয় ছেড়ে ধর্মের পথে যাচ্ছেন, আবার কোনো ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে- এমন সব স্টান্টবাজি খবরে ঢাকাই ছবি এখন কাজ না থাকলেও ভিত্তিহীন খবরে মুখর। এতে দেশীয় চলচ্চিত্র আর এ জগতের মানুষের প্রতি আস্থা কমছে সাধারণ মানুষের। সাম্প্রতিক এমন কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করলে বিষয়টি হয়তো বুঝতে সহজ হবে। যেমন- নায়ক শাকিব খান সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি তার পরবর্তী ছবি ‘প্রিন্স’-এর জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। এর আগেও তিনি কয়েকবার এমন ঘোষাণা দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে এটি শুধুই স্টান্টবাজিই। যেমন ২০০৬ সালে তাঁর অভিনীত ‘কোটি টাকার কাবিন’ হিট হলে তিনি তাঁর পারিশ্রমিক ঘোষণা করেন ছবিপ্রতি ৪০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে দেখা যায়, জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘ভালোবাসা আজকাল’ ছবিতে তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এমন আরও অনেক ছবি রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র সাংবাদিক এস পারভেজ তার অনুসন্ধানী এক রিপোর্টে বলেন, ‘ঘোড়ায় ডিম পাড়া আর শাকিব খানের ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়া একই মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কথায় কথায় বলি তুই ঘোড়ার ডিম পেয়েছিস। অথচ ঘোড়া ডিম পাড়ে নিজ চোখে দেখেছেন এমন লোক পৃথিবীতে খুঁজে পাবেন না। তেমনি ঢালিউডের নায়ক শাকিব খান ছবিপ্রতি ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। এমন আওয়াজ শাকিব খানের ভাড়া করা পেজ থেকে প্রতিনিয়ত বের হলেও ঘোড়ার ডিমের মতো কেউ ৩ কোটি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এমন কাগজ দেখাতে পারবেন না। টাকা লেনদেন হয়েছে ওই সময়ে ওই ব্যক্তি সাক্ষী ছিলেন এমন প্রমাণও খুঁজে পাবেন না। খুব সহজে প্রশ্ন দাঁড়ায়, বরবাদ, তাণ্ডব, দরদ, অন্তরআত্মা, যারা মুক্তি দিয়েছেন তাঁদের পরের ছবিতে শাকিব খান নেই কেন, এসব প্রযোজক ছবি মুক্তির আগে ফটোসেশন, ভেটকি দিয়ে হাসি সাক্ষাৎকার দেন, কিন্তু ছবি মুক্তির পর মুখে কলুপ আঁটেন কেন? মূল কারণ প্রত্যেকের ৫/৬ কোটি টাকা লস। লাভ শুধু একজনের, তিনি শাকিব খান। এস পারভেজ আরও বলেন, ‘বরবাদ’ মুক্তির পর তোলপাড়, ফাটিয়ে ফেলেছে ৫০ কোটি, ৭০ কোটি, ৯০ কোটি ছুঁই ছুঁই করছে। আশির দশকে মুক্তি পাওয়া ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবির ব্যবসায়িক রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আসলে কি তাই? তাহলে চলুন দীর্ঘ অনুসন্ধান করে যে তথ্য পেয়েছি তা তুলে ধরি, ‘বরবাদ’ মুক্তি পেয়েছে ১২০ হলে, টেবিল কালেকশন আড়াই কোটি টাকা, বুকিং এজেন্ট কমিশন ২০ লাখ টাকা। অবশিষ্ট থাকে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। মুক্তির পর শেয়ার মানি ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। সিনেপ্লেক্স থেকে আয় প্রায় ৪ কোটি কোটি টাকা। তৃতীয় সপ্তাহে ১৫০ হলে ফিক্সড করে আয় ৫০ লাখ টাকা। ওটিটির আয় ১ কোটি টাকা। চ্যানেল রাইট ১ কোটি টাকা। দেশের বাইরে শেয়ার মানি ১ কোটি টাকা। তাহলে মোট আয় দাঁড়ায় ১১ কোটি টাকা। প্রযোজক বলেছেন ছবির বাজেট ১৬ কোটি টাকা, এমন তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে ‘বরবাদ’ ছবির লস ৫ কোটি টাকা। যতই ফাটিয়ে ফেলার গল্প শুনেন মানুষ সবই আসলে ঘোড়ার ডিম পাড়ার গল্প।’ আসলে ঢাকাই ছবির মন্দা সময় যাচ্ছে এখন। হাতেগোনা দুয়েকটা ছবি ভালো যাচ্ছে। কিন্তু যে হারে ছবি নির্মিত হচ্ছে সে হারে দর্শক টানছে না মোটেও। নতুন নতুন ছবির ঘোষণা আসে। কিন্তু সেই ঘোষণা মহরত পর্যন্তই থেকে যায়, শুটিং পর্যন্ত আর গড়ায় না। আসলে অনেকে মিডিয়ার মনোযোগ আকর্ষণ ও স্টান্টবাজি করতেই বিদেশি তারকাদের নাম ঘোষণা করে আলোচনায় থাকতে চান। বেশ কয়েকবার শোনা গেছে, এই দেশের সিনেমায় কাজ করবেন ইমরান হাশমি, শ্রদ্ধা কাপুর। কিন্তু সেগুলো বাস্তবে আর দেখা যায়নি। একসময় জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে বলিউডের শ্রদ্ধা কাপুর অভিনয় করবেন বলে জানা যায়। পরে নিশ্চিত হওয়া গেল খবরটি ভুয়া। এ ছাড়াও অনেকদিন আগে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন বলিউড তারকা রানী মুখার্জি। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামের সিনেমায় রানীর অভিনয়ের গুঞ্জন বিস্তৃত হয়েছিল। তবে এটা যে নিছকই গুঞ্জন ছিল, সে ভুল খোদ রানীই ভাঙিয়েছেন। একইভাবে শোনা যাচ্ছিল ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন বলিউডের অভিনেত্রী সানি লিওন। ‘বিক্ষোভ’ নামে ছবির একটি আইটেম গানে তাঁকে পারফর্ম করতে দেখা যাবে নিশ্চিত করেছিলেন পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। পরে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি শাকিব খানকে নিয়ে নির্মাণ করবেন চলচ্চিত্র ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ঢাকা’। আর এ ছবিতে নায়িকা হিসেবে থাকবেন কলকাতার ছোটপর্দার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ঘোষণার পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও মধুমিতার কোনো খবর নেই। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ব্যাপারে নাকি মধুমিতার সঙ্গে চলচ্চিত্রটি নিয়ে নির্মাতার কোনো আলাপই হয়নি।
২০২১ সালের অক্টোবরে প্রচার হয়েছিল বাংলাদেশি অভিনেতা জায়েদ খানের সঙ্গে ‘জখম’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করবেন ওপার বাংলার নায়িকা শ্রাবন্তী। সিনেমাটিতে নাকি অভিনয়ের জন্য ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর শ্রাবন্তী চুক্তিবদ্ধ হন। ১৪ অক্টোবর থেকে ছবিটির শুটিংয়ের ঘোষণা দেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তার আগেই বোমা ফাটালেন শ্রাবন্তীর ম্যানেজার সুমন। তার দাবি, বাংলাদেশের নায়ক জায়েদ খানকে শ্রাবন্তী নাকি চেনেনই না। এমনকি সিনেমার প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রাবন্তীর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে দাবি করলেও সুমন জানিয়েছেন, কোনো চুক্তিই হয়নি। ‘জখম’ সিনেমার পরিচালক হিসেবে নাম এসেছিল অপূর্ব রানার এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার। শ্রাবন্তী ছাড়াও সিনেমাটিতে ওপার বাংলার নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আছেন বলেও জানান নির্মাতা। কিন্তু দীর্ঘসময় পার হয়ে গেলেও এ ছবির কোনো খবর নেই। এর আগে ২০২০ সালে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছিল তাদের ১০টি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন কলকাতার সুপারস্টার দেব। দেবকে নিয়ে নির্মাণ করতে যাওয়া ছবিগুলোর নাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, ‘কমান্ডো-২’, ‘কমান্ডো-৩’, ‘শেরা’, ‘সমাপ্তি’, ‘অধ্যায়’, ‘আশ্রয়’, ‘কালবেলা’, ‘খোয়াবনামা’, ‘পিলু’ ও ‘লকডাউন’। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও দেব কিংবা এসব ছবি আর হয়নি। ২০২০ সালের নভেম্বরেই আবার শাপলা মিডিয়া ঘোষণা দিয়েছিল কলকাতার নায়ক দেব অভিনয় করতে যাচ্ছেন তাদের ‘মিশন সিক্সটিন’ নামের একটি ছবিতে। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর একটি ক্লাবে দেবের উপস্থিতিতে ছবিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই ছবিরও পরে কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০২০-এ এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি দেবকে নায়ক করে আরও একটি ছবির ঘোষণা দিয়েছিল। ছবির নাম ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’। এটিরও পরে কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে খবর প্রচার হয়েছিল নকশালবাড়ী আন্দোলন নিয়ে নির্মিতব্য ভারতীয় ওয়েব সিরিজে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর বিপরীতে অভিনয় করবেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। কিন্তু নওয়াজ তখন সরাসরি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি কোনো ওয়েব সিরিজ করছি না। তাই ওই বিষয়টি (জয়ার সঙ্গে ওয়েব সিরিজ) পুরোটাই গুজব। আমি এমন কোনো প্রজেক্টে সাইনও করিনি। তখন খবর চাউর হয়েছিল শাপলার ‘বিক্ষোভ’ ছবিতে প্রযোজক সেলিম খানের ছেলে শান্তর বিপরীতে দেখা যাবে কলকাতার নায়িকা শুভশ্রীকে। তাও আর হয়নি। শাপলা আরও খবর রটিয়েছিল তাদের নতুন একটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছে অপু বিশ্বাস। তার সঙ্গে নায়ক হিসেবে থাকছেন কলকাতার দেব। বাস্তবে তাও হয়নি। ২০২০ সালে টিএম ফিল্মস ঘোষণা দেয় তাদের প্রযোজনায় শাকিব খানের বিপরীতে বলিউডের নার্গিস ফাখরিকে দেখা যাবে। পরে এ খবর স্টান্টবাজিতেই সীমিত হয়ে যায়। এর আগে বলিউডের শ্রদ্ধা কাপুরের বিপরীতে কাজ করবেন শাকিব খান, এমন সংবাদ দিয়েছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া। শেষ পর্যন্ত এরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কলকাতার নায়িকা কোয়েল মল্লিকের নায়ক হচ্ছেন শাকিব খান। এ ছাড়া মাহির নায়ক কলকাতার দেব। গুগলে সার্চ করলে এমন অসংখ্য খবর পাওয়া যাবে।
২০১৭ সালে বাংলাদেশি অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার বলিউডে অভিষেকের গুঞ্জন উঠেছিল। বিষ্ণু দত্ত পরিচালিত ‘গাওয়াহ : দ্য উইটনেস’ সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। তার বিপরীতে থাকবেন বলিউডের অভিনেতা ইমরান হাশমি। ২০১৪ সালে পরিচালক রাকিবুল আলম রাকিব ঘোষণা দেন, তার পরিচালিত ‘প্রেম করব তোমার সাথে’ ছবির আইটেম গানে নাচবেন বলিউডের আনুশকা শর্মা। সিনেমাটি মুক্তির পর দেখা গেল আনুশকা নন, পারফর্ম করেছেন বাংলাদেশি আইটেম গার্ল বিপাশা কবির। এ ছাড়া অনন্ত জলিল তার ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবির প্রচারণায় ঘোষণা দিয়েছিলেন, ছবিটির আইটেম গানে পারফর্ম করবেন বলিউডের বিপাশা বসু। পরে ছবিতে বিপাশার দেখা মেলেনি। একই সময়ে ২০১২ সালে চিত্রপ্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি একসঙ্গে চারটি ছবি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে দুই ছবির পরিচালকের নামও ঘোষণা করেন। তারা হলেন নার্গিস আক্তার ও শাহীন-সুমন। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী একটি ছবি হবে কলকাতার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার। এতে নায়িকা হিসেবে থাকবেন কলকাতার রাইমা সেন, এমন কথাও জানান ওয়াহিদ সাদিক। শেষ পর্যন্ত খবরটি ফাঁকা আওয়াজেই সীমিত হয়ে যায়। এর আগে ওয়াহিদ সাদিক ঘোষণা দিয়েছিলেন, শাকিব খান ও কোয়েল মল্লিককে জুটি করে একটি ছবি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ দেড় যুগ পার হয়ে গেলেও সেই ছবির কোনো খবর নেই। সাম্প্রতিক সময়ের আরেকটি স্টান্টবাজি হলো, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন নিয়ে সিনেমা বানাবেন বেশ কজন নির্মাতা, এমন ঘোষণা দেন তারা। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বদিউল আলম খোকন। কিন্তু এমন কোনো ছবির কাজ শুরুর খবর আর পাওয়া যায়নি।
জনপ্রিয় নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, ‘ছবির ক্ষেত্রে স্টান্টবাজি ও ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে লাভ নেই। এটা প্রচারণার জন্য প্রথমে সুবিধা পেলেও পরে সবাই জানার পর ছবিটি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুন্দর গল্পের ছবি সঠিক সময়ে নির্মাণ করে দর্শকদের কাছে পৌঁছানো উচিত। ভালো নির্মাতারা সব সময়ই তাই করে থাকেন। তারা মিডিয়ায় আলোচিত হতে কোনো স্টান্টবাজি করেন না। কারণ এতে দেশীয় চলচ্চিত্রজগৎ দর্শক আস্থা হারায়।’