জাকিয়া বারী মম
লাক্স-চ্যানেল আই তারকা জাকিয়া বারী মম'র চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ২০০৭ সালে। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের গল্পে তৌকীর আহমদের পরিচালনায় 'দারুচিনি দ্বীপ' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। মনের মতো গল্প এবং চরিত্র না পাওয়ায় দীর্ঘদিন আর বড় পর্দায় আসা হয়নি তার। ২০১৩ সালের শেষ দিকে এসে চুক্তিবদ্ধ হন 'প্রেম করবো তোমার সাথে' শিরোনামের একটি বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে। রকিবুল আলম রকিবের পরিচালনায় চলচ্চিত্রের গল্প ও তার চরিত্রে কাজের সুযোগ থাকার কারণে এ বছরেই এই অঙ্গনে নিজের মজবুত ভিত গড়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করেন মম।
জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া
২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশি মুকুট জয়ী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া চলচ্চিত্রে আসেন ২০১২ সালে। ওই বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত রেদোয়ান রনি পরিচালিত 'চোরাবালি' চলচ্চিত্রটি। এতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। ২০১৩ সালে কাজ শুরু করেন তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- 'দ্য স্টোরি অব সামারা', 'গ্যাংস্টার রিটার্ন', 'প্রবাসীর প্রেম', 'আমি শুধু চেয়েছি তোমায়' ইত্যাদি। এসব চলচ্চিত্রে নিজের কাজ নিয়ে ২০১৪ সালে সফল নায়িকার অবস্থান সুদৃঢ় করবেন বলে বিশ্বাস পিয়ার।
অমৃতা খান
মডেল অমৃতা খান ২০১৩ সালে চুক্তিবদ্ধ হন তিনটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে। এগুলো হচ্ছে- অন্তরে অন্তরে, গেম এবং দেহ। প্রথম চলচ্চিত্রটি সালমান শাহ-মৌসুমী জুটির রিমেক এবং এতে মৌসুমীর অভিনীত চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে দৃষ্টি কেড়েছেন নির্মাতা ও দর্শকের। জাকারিয়া সৌখিনের পাণ্ডুলিপিতে রয়েল অনিকের পরিচালনায় 'গেম' চলচ্চিত্রটির গল্প ও নির্মাণের কারণে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছেন তিনি। 'দেহ'তে একজন পতিতার সত্যিকারের দুঃসহ জীবন চিত্রে রূপ দিতে যাচ্ছেন অমৃতা। তিনটি চলচ্চিত্রই এ বছর মুক্তি পাবে। তিনটিতেই আলোচিত চরিত্রের কারণে সহজেই নতুন বছরে ঢালিউডে প্রতিষ্ঠা পাবেন বলে মনে করেন অমৃতা খান।
আইরিন
২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছে র্যাম্প মডেল আইরিন অভিনীত 'ভালোবাসা জিন্দাবাদ' চলচ্চিত্রটি। প্রথম চলচ্চিত্রেই দর্শক নজর কেড়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে কাজ শেষ করেছেন তিনটি চলচ্চিত্রের। এগুলো হলো- ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল, প্রিয়তমা আমি দাঁড়ি তুমি কমা এবং এই তুমি সেই তুমি। তিনটি চলচ্চিত্রই এ বছর মুক্তি পাবে। এছাড়া আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। সব মিলিয়ে এ অলোচিত নায়িকার মহা সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে ২০১৪ সালে। নির্মাতারাও আস্থা রাখছেন তার ওপর।
রুহী
২০০৭ সালে বিজ্ঞাপনে আসা রুহীর চলচ্চিত্রে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে গত বছর। চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে- মায়ানগর, জিরোডিগ্রি, সংগ্রাম, থ্রি ইলি্লগ্যাল। পাশাপাশি কলকাতার গ্লামার এবং স্পর্শ চলচ্চিত্রেও কাজ করছেন রুহী। সবগুলো চলচ্চিত্রই এ বছর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়বস্তু ও তার চরিত্রের সমৃদ্ধির কারণে চলচ্চিত্রগুলো মুক্তি পেলে ঢালিউডে স্বতন্ত্র অবস্থান গড়তে পারবেন বলে বিশ্বাস রুহীর। শুরু থেকেই রুহী ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্রে নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনিমেষ আইচের 'জিরোডিগ্রি'।
প্রসূন আজাদ
লাক্স তারকা প্রসূন আজাদের বড় পর্দায় অভিনয়ে অভিষেক ঘটেছে বেশ বড় মাপের ব্যানারে। তিনি অভিনয় করছেন নায়করাজ রাজ্জাকের রাজলক্ষ্মী প্রোডাকসনের 'বেঈমান' চলচ্চিত্রে। এর নির্দেশনা দিচ্ছেন বাপ্পারাজ এবং পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছেন ছটকু আহমেদ। এতে তার সহশিল্পী হচ্ছেন সম্রাট। ৭০-এর দশকে মুক্তি পাওয়া বেঈমানের রিমেক এ চলচ্চিত্রে কবরী অভিনীত চরিত্র রূপায়ণ করছেন তিনি। এ ছাড়া কাজী হায়াৎয়ের 'মরণ নেশা ইয়াবা' ও 'রাজা গোলাম' চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন প্রসূন। চলতি বছরেই এগুলো মুক্তি পেয়ে চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন গড়ে নিতে পারবেন বলে প্রসূন আজাদের বিশ্বাস। সেভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
আলিশা প্রধান
২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছে আলিশা প্রধান অভিনীত 'এই তো ভালোবাসা' চলচ্চিত্রটি। এতে সুঅভিনয়ের কারণে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছেন এ অভিনেত্রী। চলতি বছর বড় পর্দায় আসছে তার চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ভুল যদি হয়, অন্তরঙ্গ, ইসমত আরা শান্তির 'মায়ানগর', খাজা তারেকের 'জলে ভাসা পদ্ম' রাফায়েলের '৬৯ পাতলা খান লেন' ইত্যাদি। প্রতিটি চলচ্চিত্রই নির্মাতা, গল্প আর চরিত্রের কারণে উল্লেখযোগ্য। ফলে ২০১৪ হবে বড় পর্দায় আলিশার টার্নিং পয়েন্ট। এমনটাই মনে করেন এই অভিনেত্রী।
পরী মনি
মডেল ও ছোট পর্দার সফল অভিনেত্রী পরী মনির চলচ্চিত্রে অভিনয়ে অভিষেক ২০১৩ সালে। ওই বছর তিনি একে একে চুক্তিবদ্ধ হন ভালোবাসা সীমাহীন, রানা প্লাজার রেশমা, ভালোবাসার চেয়ে একটু বেশি, ধান্ধা এজেন্সি ডট কম ইত্যাদি চলচ্চিত্রে। মূলত বিজ্ঞাপন ও নাটকে সুঅভিনয়ের কারণে তার প্রতি আকৃষ্ট হন বড় পর্দার নির্মাতারা। চলতি বছরেই মুক্তি পাবে এ চলচ্চিত্রগুলো। এছাড়া আরও চলচ্চিত্রের প্রস্তাব এসেছে পরীমনির কাছে। তবে বেছে কাজ করে ছোটপর্দার মতো বড় পর্দাতেও জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রাখতে চান তিনি। তাই একটু রয়ে সয়েই এ অঙ্গনে এগোচ্ছেন পরী। তার বিশ্বাস, মানসম্মত কাজ উপহার দেওয়ার মাধ্যমে ২০১৪ সালে বড় পর্দা জয় করে নিতে পারবেন তিনি।