কেমন আছেন?
বর্তমানে যে রাজনৈতিক অবস্থা, ভালো থাকি কি করে। আজ শিল্পীদের বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে পড়ছে। মানুষ তাদের প্রাত্যহিক সব চাহিদা মেটানোর পর বিনোদনের খোরাক চায়। এখন তো মানুষের টিকে থাকাটাই অনেক কষ্টের ব্যাপার। এ অবস্থায় কে গান শুনবে?
এই শীতে আমরা শিল্পীরা ব্যস্ত থাকতাম নানা স্টেজ-শো নিয়ে। কিন্তু এবারের শীতে কোনো শিল্পীই ঢাকার বাইরে স্টেজ-শো করতে পারিনি। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। শিল্পীদের উপার্জন নেই। কি হবে বুঝতে পারছি না। আমরা বাঁচব কি করে।
রাজনৈতিক কারণেই কি 'সঞ্জীব উৎসব' বাতিল হয়?
হ্যাঁ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবার 'সঞ্জীব উৎসব' আমরা বাতিল করি। বিষয়টি আমাদের কাছে অনেক কষ্টের ছিল। কিন্তু দিনের একটা সময় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে 'সঞ্জীব চৌধুরী বৃত্তি' প্রদান কার্যক্রমে অংশ নিই। যে পরিকল্পনা ছিল, তা বাস্তবায়ন করতে পারলাম না। হতাশা আছে।
আপনার প্রিয় মানুষের তালিকায় সঞ্জীব চৌধুরীর স্থান কোথায় ছিল?
আমার জীবনে তিনজন মানুষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা হলেন আমার মা-বাবা আর সঞ্জীব চৌধুরী। তারা নানাভাবে আমার জীবনে প্রভাব বিস্তার করেছেন। দিন-রাত এই তিনজন মানুষকেই বেশি মনে পড়ে।
গায়ক না হলে আপনি কি হতেন?
কি হতাম তা জানি না। তবে গান ছাড়া আমি অচল। বর্তমানে গান ছাড়া কেউ আমাকে এক পয়সারও দাম দেবে না। আত্দা ছাড়া দেহ যেমন, গান ছাড়াও আমি তেমন। তবে গান কিন্তু পেশাও বটে। বেঁচে থাকার অবলম্বন। বলতে পারেন, গানই আমার বেঁচে থাকার অঙ্েিজন। তাই গান না করলে কি করতাম তা ভাবিনি কখনো।
চলচ্চিত্রে গানের অবস্থা কি?
সর্বশেষ হাসিবুর রেজা কল্লোলের সত্তা ছবির সব কটি গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছি। এরপর বিচ্ছিন্নভাবে আরও কয়েকটি ছবির গান করেছি। হাতে কিছু কাজ আছে, এগুলো করছি। নতুন কিছু কাজের ব্যাপারে কথা হচ্ছে, ব্যাটে-বলে মিলে গেলে করব।
নতুন কোনো অ্যালবামের কথা ভাবছেন?
এখন অ্যালবামের কথা চিন্তা করতেই ভয় পাই। পাইরেসির কারণে মনে হচ্ছে, শিল্পটি বন্ধই হয়ে যাবে। কিন্তু সম্প্রতি আমি একটি বিভিন্ন ধরনের কাজ করছি। যেমন আমার বিভিন্ন সময়ে গাওয়া গানগুলো নতুন সংগীতায়োজনে অ্যালবাম আকারে প্রকাশ করার কাজ করছি। এরই মধ্যে কয়েকটি গানের কাজ শেষ করেছি। ধীরে ধীরে এগুচ্ছি। দেখা যাক কেমন হয়।
*আলী আফতাব