সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার আগের চাইতে উন্নতি হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মহানায়িকার নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মাস্ক দিয়েই এখন অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তাকে। তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। সুচিত্রা সেনের হৃদস্পন্দনের হার এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সকালে হাল্কা খাওয়ার দেওয়া হয় তাকে। পাউরুটি, কর্নফ্লেক্স, ডিম, পেঁপে দিয়ে সকালের নাস্তা করেন তিনি।
কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকার পর গতকাল শুক্রবার সকালে হঠাৎ-ই সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাতে হাসপাতালে সুচিত্রা সেনের কাছে ছিলেন কন্যা মুনমুন সেন। সকালে আসেন নাতনি রাইমা সেন, রিয়া সেন।
সুচিত্রা সেনের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডা. সুব্রত মৈত্র আজ দুপুরে জানান শুক্রবার অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় আমরা সকলেই উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। তারপর নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন চালু করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে দুইবার এই ভেন্টিলেশন নেওয়ার পরই ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়। অক্সিজেনের মাত্রাও আগের থেকে কিছুটা বাড়ে। গতকাল সারারাত ধরেই অক্সিজেনের মাত্রা ভালো ছিল, স্বভাবতই সেসময় কোনরকম ভেন্টিলেশনের দরকার হয়নি। সকাল থেকে তার অবস্থা স্থিতিশীল আছেন। তবে অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করছে বলে এখনও মাস্কের মাধ্যমে অক্সিজেনের সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। ফুসফুসের পেশি চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য চেস্ট ফিজিওথেরাপি চলছে বলেও জানান ডা. মৈত্র।
পরে টু্ইটারে রাইমা সেন জানান, আমার ঠাকুরমা (সুচিত্রা সেন) আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন। আপনারা সবাই তার জন্য প্রার্থনা করুন।
উল্লেখ্য, ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোম (বেল ভিউ)-এ ভর্তি হন ৮২ বছর বয়সী বাংলা ছবির এই কিংবদন্তী অভিনেত্রী।