সত্তরের দশকের শেষ ভাগে এসে অজানা কারণে সুচিত্রা সেন নিজেকে সবার চোখের আড়াল করেন। দীর্ঘ সময় কাক-পক্ষীও দেখতে পায়নি তাকে। বাসার কাজের লোক পর্যন্ত আক্ষেপ করে বলে 'আমাদের দুর্ভাগ্য, জীবন্ত এই কিংবদন্তির কাছাকাছি আছি কিন্তু তাকে এক নজর দেখতে পর্যন্ত পাই না।' সুচিত্রা সেন বাসার যে কক্ষে থাকেন সেখানে কন্যা মুনমুন, নাতনি রাইমা এবং রিয়া ছাড়া আর কারও যাওয়ার অনুমতি নেই। প্রায় সময়ই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে নির্দিষ্ট চিকিৎসককেও বারণ, যেন তার চেহারার বর্ণনা মিডিয়াসহ কাউকে জানানো না হয়। এক ফটোসাংবাদিক লুকিয়ে যতটুকু দেখতে পেয়েছিলেন তার বর্ণনায় শুভ্র কেশী সুচিত্রা সেনকে ছবিতে সেভাবে দেখা যাচ্ছে। গত বছর বেলভিউ হাসপাতালে গোপনে তোলা হয় এ ছবিটি। সঙ্গে রয়েছেন কন্যা মুনমুন সেন।
এদিকে গত ২৩ ডিসেম্বর ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হলে আবার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এই মহানায়িকাকে। প্রথমে তাকে কেবিনে রাখা হলেও অবস্থার ক্রমাবনতি হওয়ায় দুদিন পরেই আইসিসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে। চিকিৎসকরা বলেছেন, জীবন্ত এই কিংবদন্তি এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।