গত এক বছরে জেগে উঠেছিল বাংলাদেশের ছবির বাজার। বেশকিছু ছবি ব্যবসাসফল হওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক মহল। 'মাই নেইম ইজ খান', 'পোড়ামন', 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা', 'নিষ্পাপ মুন্না', 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী'র মতো বেশকিছু ছবি তাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। দর্শক আবার হলমুখী হয়েছেন- তাই চলচ্চিত্র শিল্পে লগি্নও বেড়েছে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। চলচ্চিত্র কর্মীরা আবার ব্যস্ত হয়ে উঠছিলেন। এতসব ইতিবাচক দিক হাতছানি দিচ্ছিল আবার সুদিনের। কিন্তু হঠাৎ করেই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে থমকে গেছে চলচ্চিত্র শিল্প। নতুন কোনো ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। তাই শুরু হয়েছে ছবি মুক্তির জট। ছবি মুক্তি থমকে গেছে বলে নতুন ছবির শুটিংও আগের মতো হচ্ছে না। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলচ্চিত্র শিল্পে এখন বইছে বৈরী বাতাস। এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, 'দ্রুত রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না হলে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের কোমর আবার ভেঙে যাবে।'
বর্তমানে ঢালিউডে মুক্তির মিছিলে রয়েছে বেশকিছু ছবি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইফতেখার চৌধুরীর 'অগি্ন', নারগিস আক্তারের 'পুত্র এখন পয়সাওয়ালা', সামিয়া জামানের 'আকাশ কত দূরে'। এ ছাড়া মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করতে পারছে না ইফতেখার চৌধুরীর 'রাজত্ব', রয়েল অনিকের 'গেইম'সহ প্রভৃতি ছবি। ধীরে ধীরে জট আরও বাড়ছে। এর মধ্যে কিছু ছবি মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করে আবার পিছিয়েছে। সবমিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি ছবি মুক্তির পথ চেয়ে অনিশ্চিত অপেক্ষায় আছে। পাশাপাশি অসংখ্য ছবি শুটিং পর্যায়ে থমকে আছে। শুরু হচ্ছে না নতুন কোনো ছবির কাজ।
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, 'খুব বাজে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনিতেই আমাদের চলচ্চিত্রের লগি্ন উঠানো এখন বিরাট ঝুঁকির মুখে। এ অবস্থায় আমরা ক্রমশ আশা হারিয়ে ফেলছি।'
এদিকে শাকিব খানের পাশাপাশি এখন চলচ্চিত্রে বেশ কয়েকজন নতুন নায়ক নিজেদের ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে আরেফিন শুভ, আনিসুর রহমান মিলন, বাপ্পি, সায়মনরা আছেন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তাদেরও ছবি মুক্তি নেই। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে হতাশা জন্মেছে।