বেশ লম্বা একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে এলেন। হ্যাঁ। আমার বর তো ওখানেই থাকে। তাই গিয়েছিলাম। অনেকদিন ছিলাম। স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়ে এলাম। অন্যান্য স্বজনদেরও সময় দিয়েছি। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও দেশের খবর ঠিকই নিয়েছি। টেলিভিশনে খবর দেখেছি। দেশ নিয়ে দুশ্চিন্তাও হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই দেশের অবস্থা ভালো হয়ে যাবে। গত ৩ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছি।
এসেই তো আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আরে ব্যস্ততা কি আর পিছু ছাড়ে? এতদিন ছিলাম না। কত কাজ জমে আছে। সব গুছিয়ে নিচ্ছি। তাছাড়া নতুন কাজ তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে আবার দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। তবে এনজয় করছি, ক্লান্তি বোধ করছি না। কারণ কাজটাকে আমি ভালোবাসি। ভালোবাসার কাজে ক্লান্তি নেই, আছে ভালো লাগা।
অভিনয়ের পাশাপাশি আপনি একজন নাট্যকারও। এখন কি কোনো নাটক লিখছেন?
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। মাত্র ফিরলাম। অভিনয় শুরু করেছি। একটু দম নিই, তারপর আবার লিখব। কিছু গল্প তো মাথায় সবসময়ই ঘোরাফেরা করে। সময় বুঝে সেগুলো লিখে ফেললেই হবে।
আর প্রযোজনা?
আমি খুব করে চাই আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নীলাঞ্জনা থেকে ভালো ভালো নাটক দর্শকদের উপহার দিতে। অতীতে দিয়েছিও। এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিস্তর প্ল্যান আছে। দেখা যাক কি হয়। আপাতত খবর হচ্ছে নীলাঞ্জনা থেকে ৩০ পর্বের একটি ধারাবাহিকের কাজ শেষ হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন হিমেল আশরাফ। শীঘ্রই হয়তো কোনো একটি চ্যানেলে দেখা যাবে।
এখন কি কাজ করছেন?
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেই দুটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছি। গোলাম সোহরাব দোদুলের 'আমোদপুর পাঠশালা' এবং আলভি আহমেদের 'শূন্য থেকে শুরু' ধারাবাহিক দুটিতে অভিনয় করলাম। পাশাপাশি অন্যান্য কাজ তো রয়েছেই।
একক নাটকও তো করছেন।
হুম। চয়নিকা চৌধুরীর দুটি একক নাটকে পরপর অভিনয় করলাম। একটা লিখেছেন আকিদুল ইসলাম। নাটকটির শিরোনাম 'রূপকথার বেহালা'। এখানে আমার সহশিল্পী হিসেবে আছে আনিসুর রহমান মিলন ও বাবু। অন্যটি হচ্ছে শফিকুর রহমান শান্তনুর রচনায় 'সুন্দরের কাছে'। এ নাটকে আমার সহশিল্পী চঞ্চল চৌধুরী। দুটি নাটকেই অভিনয় করে ভালো লেগেছে।
* শোবিজ প্রতিবেদক