ইনউইন এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক আমদানি করা ভারতীয় হিন্দি ছবির প্রদর্শন বন্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার' ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে ২০১২ সালের ৩০ জুন হাইকোর্টে রিট পিটিশন (নং-১৫২৫ ২০১২) করা হয়েছিল। সমিতির পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক মোল্লাহ এ রিট পিটিশন করেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেন এ মর্মে রুল জারি করেন যে, ভারত থেকে আমদানি করা 'বদলা', 'সংগ্রাম', 'জোর', 'সোলে', 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে', 'কুছকুছ হোতা হ্যায়', 'দিল তো পাগল হ্যায়', 'থ্রি ইডিয়টস', 'ওয়ান্টেড' এবং 'তারে জামিন পার' ছবিগুলো বাংলাদেশের কোনো প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা যাবে না। এ বিষয়ে রিট পিটিশনকারী শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, ইনউইন এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক বেআইনিভাবে আমদানি করা উপমহাদেশীয় ভাষার ছবি আমদানি ২০১০ সালের ১৪ জুন পুনঃনিষিদ্ধ করা হয়; কিন্তু ইনউইন এন্টারপ্রাইজ ছবিগুলো আমদানি করার জন্য এলসি খোলে ২০১২ সালের ২৬ জুন এবং আমদানি করে ৩০ জুন। বেআইনিভাবে আমদানি করা ছবিগুলো যাতে প্রদর্শিত হতে না পারে তার জন্য আমরা আদালতের আশ্রয় নিই। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেওয়ায় আমরা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ। এদিকে আমদানি করা প্রতিষ্ঠান ইনউইন এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।
্এদিকে আদালত কর্তৃক এ দেশে হিন্দি ছবি প্রদর্শন বন্ধে রুল জারি হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রকাররা। শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খান বলেন, যখন আমাদের দেশের চলচ্চিত্র আবার বাণিজ্যিক সুফল পেতে শুরু করেছে তখনই কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এ দেশে বিদেশি ছবির বাজার বানানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ অবস্থা এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। কারণ এতে দেশীয় চলচ্চিত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু বলেন, যারা বলে ভারতীয় চলচ্চিত্র আনলে এ দেশের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার কারণে উন্নত হবে, তারা স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা বলে। কারণ অসম প্রতিযোগিতা কখনো মঙ্গলজনক হয় না। দেশীয় চলচ্চিত্র ধ্বংসে দীর্ঘদিন একটি মহল ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে।