'আতা মাঝি সটকলি' সংলাপটা দিয়েই মাত করল বাজিরাও সিংহাম। গত ১৫ অগস্ট দেশ জুড়ে মুক্তি পেয়েই বেশ ভাল বাণিজ্য করে ফেলেছে রোহিত শেট্টির ছবির সিক্যুয়েলটা। রমরম করে দেশের হলগুলোতে চলছে বাজিরাও সিংহামের ন্যায়যুদ্ধ। বেশ ভালরমই ভিড়ও হচ্ছে পাড়া হোক না নামীদামী মাল্টিপ্লেক্স সবেতেই।
বাজিরাও সিংহাম গোয়া একটা ছোট্ট পুলিশ স্টেসনের ইনচার্জ পদোন্নতি হয়ে এখনও মুম্বাই শহরের ডিসিপি। মুম্বাই শহরকে অপরাধ মুক্ত করার জন্য প্রতিনিয়ত লড়ে যাচ্ছেন বাজিরাও নিজের টিমকে নিয়ে। কিন্তু দুর্নীতির আখড়া মুম্বাইকে কি এত সহজে অপরাধ মুক্ত করা যায়? যেখানে দুর্নীতির মাথায় বসে আছেন খোদ ধর্মগুরু। স্বামীজি মুম্বাইয়ের সিদ্ধপুরুষ, সাধারণ মানুষের ভগবান হিসেবে পূজিত হন। কিন্তু সেটা তো তাঁর সামনের চেহারা, পিছনে পিছনে দুর্নীতির কাজ চালিয়ে যেতেও সমান সিদ্ধহস্ত স্বামীজি (অমোল গুপ্তে)। এবং স্বামীজির সমস্ত অপরাধে তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছেন ভ্রষ্ট নেতা জাকির হুসেন (অনুপম খের)। কিভাবে বাজিরাও সিংহাম এদের চক্রান্ত ও অপরাধকে ফাঁস করে সাধারন মানুষের সামনে এদের আসল রূপ খুলে দেয়? সেটা তো জানতে গেলে আপনাকে সিনেমাটা দেখতে হবে।
বাজিরাও সিংহাম এবারে আগের থেকে অনেক বেশি অ্যাকশনপ্রবণ, বেড়েছে তার গর্জনও। তবে সিংহাম হিসেবে অজয় দেবগণ একদম ঠিকঠাক। স্ক্রিনে খুব বেশি না থাকলেও নিজের উপস্থিতিতে কমিক রিলিফের ছোঁয়া দিয়ে গেছে কারিনা কাপুর। ‘গোলমাল’ এর পর এই ছবিতে অজয় দেবগনের বিপরীতে কাজ করলেন তিনি। টানা মারামারি দেখার মাঝে কারিনার সৌন্দর্য্যও বেশ একটা শান্তি দেবে চোখকে। তবে, অভিনয়ের কথা বলতে গেলে একশোতে একশো পাবেন দুই মুখ্য খলনায়ক অমল গুপ্তে এবং অনুপম খের। ভন্ড স্বামীজি এবং রাজনৈতিক নেতা হিসেবে চিত্রনাট্যর সঙ্গে একদম সঠিক বিচার করেছেন এই দুই নেতা।