তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার শওকত আলী ইমনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ আসমিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন। এসময় রিমান্ডের কোন আবেদন করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ইমনের আইনজীবী মিসেস সাগরিকা জামিনে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেন। অপর দিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী নূর ইসলাম খান জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর বেইলী রোডের বাসা থেকে ইমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর এই মামলার বাদীকে বিয়ে করে সুরকার ইমন। পরে এক বছর ধরে কৌশলে ইমন তার নগ্ন ছবি তুলে তা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ কোটি টাকা দাবি করে। এসময় ওই তরুনী দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে পূর্বে ধারণকৃত তার নগ্ন ছবি ফেসবুক ও ইন্টারেনেটে ভুয়া আইডি খুলে ছড়িয়ে দেন।
গত বছরের ৯ মে তিনি স্ত্রীর নগ্ন ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে জনৈক তৌফিকুল আলম চৌধুরী এবং চিত্র পরিচালক দেবশীষ বিশ্বাসের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় আসামি ইমন বাদীকে বলেন, তার দাবিকৃত টাকা না দিলে ওই নগ্ন ছবি বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনসহ সর্বসাধারণের কাছে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হবে। বাদীর এসব নগ্ন ছবি আসামির ব্যক্তিগত দু’টি ল্যাপটপ, অফিসের ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং তার ব্যবহৃত দু’টি মোবাইলে সংরক্ষিত আছে। এ অভিযোগে বাদী রাজধানীর রমনা থানায় ১৮ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) ২০০৩ (সংশোধিত-২০১৪) এর ৫৭ ধারায় মামলা করেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়- এর আগে ২০১২ সালে জিনাত কবির বাদী হয়ে সুরকার ইমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় ইমনকে গ্রেফার করতে গিয়ে পুলিশ তার বাসা থেকে বিদেশি মদের ৩টি খালি বোতল, খেলনা পিস্তল ও ৯টি ইয়াবা জব্দ করে। ধর্ষণ ও মাদকের মামলায় তাকে পরে রিমান্ডেও নিয়েছিল পুলিশ। এরপরে ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে পুলিশ হেফাজতে জিনাত ও ইমনের বিয়ে হয়।