সুরকার-সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমনের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি, একাধিক প্রেম, মাদকসেবনসহ নানা অভিযোগ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ফেঁসে গেলেন তার কথিত স্ত্রী জিনাত কবির তিথীর কাছে। সম্প্রতি তিথীর করা মামলায় তিনি আবার গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- কৌশলে তরুণীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও প্রকাশ। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ইমনকে গ্রেফতার করেছে রমনা থানা পুলিশ।
বুধবার রাত ১টার দিকে বেইলি রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় একটি ল্যাপটপও জব্দ করে পুলিশ। এ সময় ইমনের কাছ থেকে তরুণীদের প্রচুর পরিমাণ নগ্ন ভিডিও ও ছবি পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। জানা যায়, তিথীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নগ্ন ভিডিও নিয়ে ঝামেলা চলছিল ইমনের। পরে ১৮ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করেন তিথী। মামলা নম্বর ৩২। ইমনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন [আইসিটি অ্যাক্ট] ২০০৩ [সংশোধিত-২০১৪]-এর ৫৭ ধারায় অভিযোগ রয়েছে। রমনা থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম অত্যন্ত সুকৌশলে তরুণীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ই-মেইল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। তবে ইমন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইমন তিথীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে ইমনের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তিথীর সঙ্গে ইমনের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এর আগে তিথীর করা নারী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমন। তখন ইয়াবা এবং বিদেশি মদসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি। তখন তিথীর অভিযোগ ছিল, বিয়ে করার নামে দীর্ঘ এক বছর বিভিন্ন কৌশলে নিজের বাসায় তিথীর সঙ্গে বসবাস করেন ইমন। এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পর বিয়ের জন্য চাপ দিতেই নানা কৌশলে এড়িয়ে যেতেন এবং মারধর করতেন। শুধু তাই নয়, তখন বেশি বাড়াবাড়ি করলে ফেসবুকে নগ্ন ছবিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন ইমন। সে হুমকির পর এবার ইমন সত্যিই নগ্ন ছবি প্রকাশ করলেন এবং কারাগারে গেলেন।