ভারত ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনের উদ্দেশে আবারও শুরু হচ্ছে 'গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব'। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব। এবার থাকছে ভারতের তিনটি, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ১১টি নাট্যদল, একটি নৃত্য ও একটি যাত্রাদলের পরিবেশনা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এ উৎসব চলবে। ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। উদ্বোধনী দিনেই জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের 'নাম গোত্রহীন', এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের 'হ্যামলেট' মঞ্চস্থ হবে। এর পরদিন ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে চুপকথার [কলকাতা] 'আত্দীয়স্বজন', এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে জয়যাত্রার 'টিপু সুলতান', ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নৃত্যাঞ্চলের 'রাই-কৃষ্ণ পদাবলী', এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আগন্তুকের 'অন্ধকারে মিথেন', ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আরণ্যক নাট্যদলের 'স্বপ্নপথিক', এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে থিয়েটারের 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়', ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে লোক নাট্যদলের 'কঞ্জুস', এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে যুগাগি্নর [ভারত] 'ঈশ্বর এসেছেন', ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে প্রাচ্যনাটের 'সার্কাস সার্কাস', এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের 'আমিনা সুন্দরী', ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ঢাকা থিয়েটারের 'ধাবমান', এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের [চট্টগ্রাম] 'কবি', ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের 'প্রমিথিউস' এবং এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে অনীকের [কলকাতা] 'একুশের গল্প'।
নাটকের পাশাপাশি উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন বিকাল ৫টায় থাকবে আবৃত্তি, সংগীত ও পথনাটক। ২ সেপ্টেম্বর নাটনন্দনের পথনাটক, প্রকাশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের আবৃত্তি, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর সংগীতানুষ্ঠান, ৩ সেপ্টেম্বর ইউনিভার্সেল থিয়েটারের পথনাটক, কণ্ঠশীলনের আবৃত্তি, নন্দনের সংগীতানুষ্ঠান, ৪ সেপ্টেম্বর নাট্যভূমির পথনাটক, কথা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্রের আবৃত্তি, বহ্নিশিখার সংগীতানুষ্ঠান, ৫ সেপ্টেম্বর নাট্যধারার পথনাটকসহ নানা আয়োজন।