বাংলাদেশের সঙ্গে টালিগঞ্জের সেন পরিবারের নাড়ির বন্ধন রয়েছে। কিন্তু সম্পর্কে বিস্তর দূরত্বও ছিল। তবে সম্প্রতি পাবনায় মায়ের বাড়ি দখলমুক্ত হওয়ায় আবার সম্পর্কে সুবাতাস বইতে শুরু করছে। সেই সূত্র ধরেই ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আসছেন সেন পরিবার। শুধু মুনমুন সেন একাই আসবেন না। সঙ্গে থাকবেন তার দুই মেয়ে রাইমা সেন এবং রিয়া সেন।
আসছে ডিসেম্বরে সংসদ অধিবেশন না থাকায় মুনমুন কিছুটা অবসর সময় পাবেন। রাইমা-রিয়ারও তখন শুটিং নেই। তাই এই মাসটাকেই তারা বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য। আর ভ্রমণের জন্য এরই মাঝে তাদের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে তিনি মায়ের [সুচিত্রা সেন] বেশ কিছু দুর্লভ ছবি এবং ব্যবহার্য সামগ্রী তুলে রাখছেন। এগুলো তিনি পাবনায় সুচিত্রা সেন সংগ্রহশালায় দান করবেন। পাশাপাশি মুনমুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্লভ দুটি ছবি সংগ্রহ করেছেন। এগুলো তিনি দিলি্লর এক চিত্রসাংবাদিকের কাছ থেকে কিনেছেন। ছবি দুটি তিনি উপহার হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিতে চান। আর এটা তিনি করবেন বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ। কারণ শেখ হাসিনার ইচ্ছাতেই সুচিত্রা সেনের পাবনার দখলমুক্ত পৈতৃক ভিটাতে মহানায়িকার নামে একটি সংগ্রহশালা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছা, সংগ্রহশালার ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকুক মুনমুন ও তার দুই মেয়ে। তিনি মিডিয়ায় বলেছেন, 'শেখ হাসিনার প্রতি আমি যথেষ্ট কৃতজ্ঞ। মূলত তার কারণে আমার মায়ের স্মৃতিবিজড়িত পাবনার বাড়িটি দখলমুক্ত হয়েছে। এ ঘটনা আমাকে ঋণী করেছে। তাই তাকে স্পেশাল কিছু উপহার দিতে চাই।' অনেক দিন ধরেই মুনমুন ভাবছিলেন, কী হবে সেই উপহার! তার ভাবনা-চিন্তার মাঝে খবর আসে, দিলি্লর এক প্রবীণ চিত্রসাংবাদিকের সংগ্রহে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর দুটি দুষ্প্রাপ্য ছবি। খবর পেয়েই ছুটে যান তিনি। চুপচাপ কিনে ফেলেন ছবি দুটি। এ প্রসঙ্গে মুনমুন বলেছেন, 'ছবি দুটি দুর্লভ। আশা করছি, শেখ হাসিনার খুব পছন্দ হবে। একটি ছবিতে নৌকোর ছইয়ের ওপর গালে হাত রেখে একমনে পদ্মার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু। অন্যটিতে দু'হাত তুলে বক্তৃতা দিচ্ছেন একটি জনসভায়।'