সত্যিকারের নায়ক হতে হলে আগে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে হয়। না হলে দর্শকের কাছে তারকা হয়ে ওঠা যায় না। চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান আমার অভিনয় জীবনের শুরুতেই এই টিপস দিয়েছিলেন আমাকে। আমি আজও তা মেনে চলছি বলে দেড় যুগ ধরে দর্শকের কাছে নায়ক হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছি।
এ তথ্য জানিয়ে শীর্ষ নায়ক শাকিব খান বলেন, ১৯৯৬ সালে অভিনয়ে আসার পর প্রথমদিকে জিমে যেতাম না। তখন খুব হালকা-পাতলা গড়ন ছিল আমার। আমি খুব ভোজনরসিক ছিলাম। রিচ খাবারের প্রতি আমার অদম্য লোভ ছিল। তাই অল্প সময়ে ওজন বেড়ে যায়। ফলে গত ১০ বছর ধরে নিয়মিত জিমে যাই। খুব ভোরে উঠে কমপক্ষে দেড় থেকে দু ঘণ্টা হাঁটি। হাঁটা শেষে এক গ্লাস পেঁপের জুস পান করি। এরপর একটি আপেল খাই। মাঝে মধ্যে দুটি লাল আটার রুটি। ব্যাস, এই হলো আমার সকালের নাশতা। ৯টার দিকে জিমে যাই। দু ঘণ্টা জিম শেষে অরেঞ্জ জুস পান ও সালাদ খাই। লাঞ্চের তালিকায় রেখেছি এক টুকরা সেদ্ধ রুই বা কোরাল মাছ এবং প্রচুর সবজি সালাদ। সপ্তাহে ৬ দিন এই তালিকা মেনে চলি আর একদিন শুধু ভাত খাই। তাও পরিমাণে এক ছোট বাটির বেশি নয়।
ভাতের সঙ্গে অল্প তেল মসলা দিয়ে রান্না করা মুরগির মাংস বা মাছ থাকে। সঙ্গে সবজির তরকারি। বিকালে আবার দেড় ঘণ্টা জিম শেষে এক গ্লাস আপেল বা ম্যাংগো জুস। রাতের খাবার সবজি দিয়ে দুটো আটার রুটি এবং এক গ্লাস দুধ। আর সারাদিন শুটিংয়ের ফাঁকে পাকা পেঁপে বা শসা খাই। খাবার রান্না করে দেন আমার মা। ঢাকায় থাকলে মায়ের হাতের রান্না ছাড়া কিছুই খাই না। বাইরে গেলে নিজের কুককে সঙ্গে নিয়ে যাই। কোনো অনুষ্ঠানে গেলে পারতপক্ষে রিচ খাবার মুখে তুলি না। তাছাড়া অ্যালকোহল বা ধূমপান সব সময় এড়িয়ে চলি।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ অক্টোবর ২০১৪/রাসেল