নতুন রূপে বড় পর্দায় ফিরেছেন অপু বিশ্বাস। গত ঈদে শীর্ষ নায়ক শাকিব খান প্রযোজিত ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’ ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর থেকে স্লিম এবং আকর্ষণীয় অপুকে দেখে মুগ্ধ দর্শক।
২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে নায়িকা হিসেবে অপুর আত্মপ্রকাশ। শুরুতেই দর্শক গ্রহণ করে সুশ্রী এই নায়িকাকে। দৈহিক সৌন্দর্যের কারণে দ্রুত দর্শক-নির্মাতার চাহিদার নায়িকায় পরিণত হন তিনি। কিন্তু এক সময় স্বাস্থ্যের প্রতি অসচেতন হয়ে পড়েন অপু। ফলে অতিরিক্ত মুটিয়ে যান। এতে তার প্রতি দর্শক ক্রেজ কমতে থাকে। এ অবস্থায় ২০১২ সালের শেষ দিকে এসে বড় পর্দা থেকে নিজেকে আড়াল করে নেন তিনি। এই সময়টায় হারানো দৈহিক সৌন্দর্য পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অপু। প্রায় এক বছর নানা চেষ্টার পর ২০১৩ সালের শেষদিকে ২৫ কেজি ওজন ঝেড়ে স্লিম ও আকর্ষণীয় নতুন অপু বিশ্বাস ফিরেন চলচ্চিত্রে। কিন্তু সবার মনে একটিই প্রশ্ন, অপুর নতুন রূপের রহস্য কি? অপু নিজেই বলেন তার নতুন রূপের গোপন কথা। তার কথায়, দর্শকের কাছে তারকারা হলেন স্বপ্নের মানুষ। তাই তাদের সামনে কাঙ্ক্ষিত মানুষের মতোই হাজির হতে হয়। এ কারণেই নিজেকে স্লিম করার সাধনায় ব্রত হলাম। আর এ কাজটি খুব সহজ ছিল না। বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলতে আমাকে তৈরি করতে হয়েছিল বিশেষ একটি চার্ট। কেমন ছিল সেই চার্ট—
১.খাবার : খাবারের তালিকা থেকে মুছে ফেলতে হয় প্রিয় এবং মুখরোচক খাবার। সব থেকে প্রিয় খাবার বিরানি, কাবাব, কোপ্তাকে বলতে হয়েছে না। পুষ্টিবিদের দেওয়া ডায়েট চার্টেই মনোনিবেশ করতে হয়েছে। সকালের খাবারে দুধ আর কর্নফ্লেক্স, এরপর প্রচুর ফলমূল আর জুস। দুপুরের খাবারে খুব কম জাউভাত। রাতের খাবারে স্যুপ, গ্রিন টি। সকাল থেকে রাতের মধ্যবর্তী সময়ে স্ন্যাকস।
২.ব্যয়াম : খাবারের সঙ্গে ছিল ব্যায়াম। এর জন্য রাখা হয় ব্যায়াম প্রশিক্ষক। সকাল আর সন্ধ্যায় নিয়মিত জিম করতে হয়। সঙ্গে প্রতিদিন সকালে এক থেকে দু ঘণ্টা করে হাঁটা। এভাবেই নিয়ম রীতি মেনে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে আমি হয়ে উঠলাম আগের চেয়েও আকর্ষণীয় আর স্লিম নতুন এক অপু বিশ্বাস। তবে এখনো আমি এই চার্ট মেনে চলছি।