মনিকা বেলুচ্চি নামটি সিনেমাপোকাদের না জানার কথা না। বিশ্বের নাম্বার ওয়ান আবেদনময়ীর জায়গা দখলে রাখা সবচেয়ে সুন্দর ঠোঁটের অধিকারী এ ইতালিয়ান অভিনেত্রীর জন্য অনেক ভক্ত হৃদয়েও বড় মাপের জায়গা বরাদ্দ রাখেন। যদিও বয়স তার পঞ্চাশ পেরিয়েছে, তবে আবেদনের ছটা যেন না কমে উল্টো বেড়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে এই তারকার কিন্তু মোটেই সিনেমায় বা মডেলিংয়ে আসার কথা ছিল না। ছিল না এমন কোন আগ্রহ। কিন্তু আসতে হল, আর সেটা পড়াশুনার ব্যয় বহন করতে। আর যে পড়শুনার জন্য অভিনয়ে আসা শেষ পর্যন্ত সেই অভিনয়ই তাকে ধরে রাখল।
নব্বইযের দশকের শুরু থেকেই মডেলিং ও অভিনয় জগতে আসেন মনিকা বেলুচ্চি। তবে মডেলিং কিংবা অভিনয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিলো না তার। সমস্ত আগ্রহ ছিলো আইন বিষয়ে পড়াশুনা করার।
পেরুগিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে ভর্তিও হন তিনি। সেই সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন পরিশোধ ও নিজের খরচ চালাতে স্বল্পকালীন মডেলিং করতেন তিনি। এরপর আর সেই ঘেরাটোপ থেকে বের হতে পারেননি মনিকা। মডেলিং আর অভিনয়ই হয়ে যায় অন্যতম পেশা।
মনিকার পিতা পার্সিয়ান হলেও তার মা ছিলেন ইতালিয়ান। তিনি হিস্পানি, লাতিন, ফরাসি, ইংরেজি ভাষা জানা ছাড়াও পার্সিয়ান ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ফ্রান্সের জনপ্রিয় টিভি শো ‘লা প্লাস বেলে ফেমে দো মন্দে ২০০৪’ –এর দর্শক জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী নির্বাচিত হন মনিকা।
পঞ্চাশ বছর বয়সি এই নারী স্বামী ভিনসেন্ট ক্যাসেলের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এখন স্বাধীন জীবন যাপন বেছে নিয়েছেন। অথচ রূপ, সৌন্দর্যে একটুও পিছিয়ে পড়েননি মনিকা।
অসংখ্য ব্যবসা সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন, অস্কার ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারও অর্জন করেছেন প্রচুর। ১৯৯০ সালে প্রথম টেলিভিশনের মাধ্যমে অভিষেক হওয়া মনিকা ড্রাকুলা(১৯৯০), দ্য অ্যাপার্টমেন্ট(১৯৯৬), মলেনা(২০০০), আন্ডার সাসপিশন(২০০০), টিয়ার্স অব দ্য সান(২০০৩), রিনো সিজন(২০১২) ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
এছাড়া সিনেমা জগতে আবেদনময়ী এই ইতালিয় অভিনেত্রীর আগামী ছবির নাম স্পেকটর, যা জেমস বন্ড সিরিজের সর্বশেষ সিনেমা।সিনেমাটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের নভেম্বরে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ এপ্রিল ২০১৫/ এস আহমেদ