১০ এপ্রিল মুক্তি পেতে যাচ্ছে 'ছুঁয়ে দিলে মন' চলচ্চিত্রটি। প্রত্যাশা কেমন?
প্রত্যাশা থাকবে দর্শক হলে গিয়ে সিনেমাটা দেখবে। ভালো-মন্দ বিবেচনা করবে। আমাদের তা জানাবে। আমরা আমাদের মতো করে ভুলগুলো শোধরে নেব।
আরেফিন শুভ এবং আপনি- চলচ্চিত্রে নতুন জুটি। আপনাদের রসায়ন দর্শক কতটা নিতে পারে?
রসায়নটা নির্ভর করে গল্প এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর। বোঝাপড়া মানে অভিনয়ের বন্ধন। আমার মনে হয় আমরা দুজনই ভালোভাবে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। দর্শক মজা পাবে।
এই ছবিটিতে বিশেষত্ব কী আছে বলে আপনি মনে করেন?
এই ছবিটিতে একটি সহজ গল্প আছে। যা দর্শক সহজে বুঝতে পারবে। এ ছাড়া সিনেমার লোকেশন, গান, সংলাপ, আবেশ, ক্যামেরার কাজ, ছোট্ট-ছোট্ট ভালোলাগার কিছু বিষয় মুগ্ধ করবে দর্শকদের। এ সিনেমায় বেশ কিছু ভালো গান আছে। যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন হাবিব, তাহসান, কণা, ইমরান, শাকিলা, শাওন ও নির্জো হাবিব।
দর্শকদের হলে ফিরিয়ে আনতে কী করতে হবে বলে আপনি মনে করেন?
দর্শক সবসময় ভালো ছবি দেখতে চায়। ভালো গল্পের ছবি দেখতে চায়। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ছবি দেখতে চায়। এ ছাড়া সিনেমা হলগুলোর পরিবেশ ঠিক করতে হবে। এসবগুলো বিষয় ঠিক হয়ে গেলে আমার মনে হয় দর্শক আবার হলমুখী হওয়া শুরু করবে।
এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে?
বর্তমানে আমার এখন সব ব্যস্ততা সিনেমাকে ঘিরে। ইচ্ছা আছে সিনেমা চলার সময় প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকদের অভিমত জানব। এ ছাড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক ধ্বনি-চিত্র এবং মনফড়িংও নানাভাবে ব্যস্ত সিনেমাটির প্রচারণা নিয়ে। এরই মধ্যে নতুন কিছু সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব আসছে। একটু সময় নিয়ে বুঝেশুনে নতুন ছবিতে কাজ শুরু করব। কারণ চলচ্চিত্রের পথটাকে ভালোভাবে আগে বুঝতে চাই। তারপর পা ফেলব।
তাহলে কি আপনি ছোটপর্দায় আর নিয়মিত থাকছেন না?
এই বিষয়টা আসলে সময়ই বলে দেবে। আর এই সময়ে এসে নাটক- এখন আর ভাবতে চাচ্ছি না। চলচ্চিত্রকে ঘিরেই এখন আমার পুরো ধ্যান-জ্ঞান। এখন আপাতত এই ধ্যানটা নিয়েই থাকতে চাচ্ছি। তবে আমি যেহেতু নাটকে অভিনয় করেই অভিনেত্রী হয়েছি, তাই ভালোবাসা থাকবেই। ভালো গল্প পেলে অভিনয় করব। তবে নিয়মিত কখনোই নয়। একজন অভিনয়শিল্পীর প্রধান পরিচয় আসলে বড়পর্দায়। তাই শিল্পী হিসেবে আমি সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।
* আলী আফতাব