শমী কায়সার। নামটা শুনলেই চোখের সামনে অনেক দৃশ্যের ছোটাছুটি শুরু হয়। পরিচিত দৃশ্য, সংলাপ, এক্সপ্রেশন- সবমিলিয়ে পেয়ালা ভর্তি অভিনয়ের রস চুমুক দিয়ে দিয়ে স্বাদ গ্রহণ। শমী কায়সার অভিনয় দিয়ে এভাবে আমাদের সঙ্গে হৃদয়ের বন্ধন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি নেই। নেই মানে অভিনয়ে নেই। শমী ভক্তদের মন অতৃপ্ত আত্দার মতো ঘুরে বেড়িয়েছে। পুরনো নাটকে তৃপ্তি খুঁজেছে। নতুন নাটকে তিনি নেই। ব্যস্ততায় তিনি ডুবেছিলেন অন্য জগতে। দীর্ঘদিনের ডুব। কিন্তু হৃদয়ের বন্ধন এত সহজেই ভোলা যায়! অভিনয়ের স্বজন হয়ে, রক্তে অভিনয়ের হিমোগ্লোবিন কোষ রেখে কি করে তিনি দূরে থাকেন! তাই তো আবার ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছেন অভিনয়ের ভুবনে। নিয়মিত না হলেও প্রতি বছর তিনি দুএকটি নাটক-টেলিফিল্ম হলেও করবেন। বললেন, 'প্রতি বছর কিছু কাজ করতে চাই। উৎসবকেন্দ্রিকই হবে কাজগুলো।'
হ্যাঁ, শমী কায়সার আসলে ঈদের জন্য একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করছেন। তিনি অভিনয় করবেন চয়নিকা চৌধুরীর রচনা ও পরিচালনায় 'অনুমতি প্রার্থনা' টেলিফিল্মে। পুরনো জুটি নতুন করে গড়বেন মাহফুজ আহমেদের সঙ্গে। দর্শকের জন্য নিশ্চয়ই এটি বিরাট সুসংবাদ। এত বছর অপেক্ষার পর মাহফুজ-শমীর রসায়ন পর্দায়।
শমী বলেন, 'গল্পটি খুব ভালো লেগেছে। নির্মাতার নির্মাণ ভাবনাও চমৎকার। তিনি গুছিয়ে কাজ করার জন্য সুনাম কুড়িয়েছেন। আর মাহফুজ ভাই তো রয়েছেনই। তাই অভিনয় করছি।'
দর্শক শমী কায়সারের 'অনুমতি প্রার্থনা' আসছে ঈদে এনটিভির পর্দায় দেখতে পারবেন।
আপনারা কী ভাবছেন এই একটি টেলিফিল্মে অভিনয়ের কারণেই তিনি আবার ফিরছেন বলা হচ্ছে? যদি ভেবে থাকেন সেটা ভুল। শমী আরও একটি নাটকে অভিনয় করছেন। আর সেটি ধারাবাহিক। আবুল হায়াতের রচনা-পরিচালনায় তিনি ধারাবাহিকেও অভিনয় করছেন। নারীবাদী গল্প। শমীর চরিত্রটিও চমৎকার। শমী শুটিং শিডিউলও দিয়ে দিয়েছেন। শুটিং শুরু হবে শিগগিরই। শমী বলেন, 'ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করছি। কারণ গল্প, একই সঙ্গে চরিত্রটি।'
শমীর কাছে সোজাসাপটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল, দর্শক আপনার অভাব অনুভব করে। আপনাকে দেখতে চায়। আপনার ভাবনা কি? উত্তরে তিনি বলেন, 'অভিনয় দিয়েই আমি শমী কায়সার। আমিও চাই অভিনয় করতে। এ জন্যই বছরে কিছু নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
শমী ফিরে আসুক আবার। ফিরে আসুক আমাদের ড্রয়িং রুমে আবার। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে শমী, বিপাশা, মিমিদের নাটক ছিল। এখন হিন্দি সিরিয়ালের মুখ। তাই শমীদের ফিরে আসা এখন জরুরি। বাংলাদেশের নাটকের যে সুনাম ছিল সেটি ফিরিয়ে আনাতেও আবার শমীদের প্রয়োজন। শমীও নিশ্চয়ই সে বিষয়টি বুঝবেন আন্তরিকভাবে। কারণটা অভিনয়ের স্বজন হিসেবে রক্তের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক।