চার দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কাকরাইল মোড় জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে একের পর এক চক্রাকার বাসে করে আন্দোলনকারীরা সমবেত হচ্ছেন।
সকাল ১০টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, আন্দোলনরত সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কাকরাইল মোড়ে টানা জনস্রোত লক্ষ্য করা যায়। আন্দোলনে ৫০টির বেশি বাসে করে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন।
এই সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কাকরাইল মোড়ে জড়ো হন। অনেকের গলায়, কাঁধে বা হাতে ঝুলানো বোতলের মালা ও প্রতিবাদী পোস্টার ছিল। স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।
আন্দোলনকারীরা এ সময় ‘সান্ডা না বোতল, বোতল বোতল’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নে, জগন্নাথের হল দে’, ‘আমার ভাই অনশনে, ইন্টেরিম কি করে’, ‘বৈষম্যের বাজেট, মানি না মানব না’, ‘ঢাবির সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
জবির দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, “আমরা ২০১৬ সাল থেকেই হল আন্দোলন করে আসছি। এত শোষণ ও বঞ্চনার পরেও কোনো সরকার আমাদের দাবি পূরণ করেনি। তাই আবারো নতুন প্রজন্ম রাজপথে নেমেছে। আমরা তাদের পাশে একাত্মতা প্রকাশ করছি।”
রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শুভ আহমেদ বলেন, “এই আন্দোলন বৃথা যাবে না। এত বছর ধরে আমাদের ভাইবোনেরা যে সংগ্রাম করে আসছে, এবার তার যৌক্তিক পরিণতি চাই। সরকারকে বলতে চাই, দ্রুত চার দফা দাবি মেনে জবিয়ানদের ক্যাম্পাসে ফেরার পথ খুলে দিন।”
শিক্ষার্থীদের চার দফা হলো-
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক