ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর ৯ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (৬ জুলাই) সকাল নয়টার দিকে স্থানীয় একটি মসজিদের দ্বিতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে শিশুটি ঘর থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। সন্ধ্যায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয় এবং গ্রামে মাইকিং করা হয়। আজ রবিবার সকালে মক্তবে পড়তে আসা কয়েকটি শিশু মসজিদের দ্বিতীয় তলায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে সকাল নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সে সময় শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, শনিবার থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় মসজিদের মক্তবে শিক্ষার্থীরা আরবি পড়তে আসে। এ সময় দোতলায় শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, শিশুটির শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, রাতে শিশুটির পরিবার একটি নিখোঁজের জিডি করে। তখন থানা পুলিশের একটি টিম খোঁজাখুজি করেও পায়নি। সকালে খবর পাই মসজিদের দ্বিতীয়তলায় একটি শিশুর মরদেহ পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ