১৩ বছর আগে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চাপা দিয়ে এক ঘুমন্ত ফুটপাতবাসীকে হত্যার দায়ে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন মুম্বাইয়ের একটি আদালত। বুধবার দুপুর ২টায় আদালতের বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপান্ডে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতের কাটগড়ায় থাকা সালমান খান কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে, বুধবার বেলা ১২টার দিকে ওই হত্যা মামলায় সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। এ সময় তার চোখের কোণে জল দেখা গেছে। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বোন আলভিরা খান। আদালত থেকে বেরিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তার দুই ভাই সোহেল খান ও আরবাজ খান।
ওই সময় বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপান্ডে রায় সালমানকে বলেন, ‘সাক্ষীদের বয়ান অনুযায়ী ওই সময় চালকের আসনে ছিলেন আপনি। মদ্যপ থাকার কারণে নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি আপনি। এমনকি আপনার লাইসেন্সও ছিলো না।’ এরপরই বলিউডের এই সুপারস্টারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনীত আটটি অভিযোগের সবই প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য পাবলিক প্রসিকিউটর ও তদন্ত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার প্রশংসা করেন বিচারক।
তবে ওই সময় সালমানের আইনজীবী আদালতকে জানান, সালমান খান সমাজের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে নিয়েজিত। তাই সালমানের এমন মহানুভবতার দিকে দৃষ্টি দিয়ে তাকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সাজা ও জরিমানার জন্য আবেদন জানান তিনি।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সালমানের বিরুদ্ধে ১০ বছরের কারাদণ্ড দাবি করেছিলেন। কিন্তু বিচারক উভয় দিকের শুনানি শেষে মানবতার দিকটি বিবেচনা করে সালমানকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। যদিও এ হত্যা মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে সালমানের গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় এক ফুটপাতবাসীর। এ ঘটনায় আহত হয় আরও চারজন। মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ করা হয় সালমানের বিরুদ্ধে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানোরও অভিযোগ আনা হয়। তবে সালমানের আইনজীবীর দাবি, ওই সময় সালমান খান নয়, গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার চালক অশোক সিং।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মে, ২০১৫/রশিদা/মাহবুব