১৩ বছর আগে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চাপা দিয়ে এক ঘুমন্ত ফুটপাতবাসীকে হত্যার দায়ে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন মুম্বাইয়ের একটি আদালত। পরে উচ্চ আদালতে আপিলে দুই দিনের অন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়ে এখন তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। জামিননের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবারও কারাগারে যেতে হবে এ বলিউড সুপাস্টারকে। কিন্তু কাহিনী এখানেই শেষ নয়। সালমান খানের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আরেক বিতর্কিত অধ্যায়।
১৯৯৮ সালে 'হাম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শ্যুটিং করতে রাজস্থানের যোধপুরে গিয়েছিলেন সালমান খান, সাইফ আলি খান, তব্বু, সোনালী, নীলমরা। অভিযোগ আছে শ্যুটিং-এর ফাঁকে জঙ্গল-সাফারিতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সালমান। শিকারে তাকে সঙ্গ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাকি চার তারকার বিরুদ্ধেও৷
ওই বছরই ১৫ অক্টোবর যোধপুরের বন বিভাগ সালমান খানের বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এমনও অভিযোগ করা হয়, যে বন্দুকটি নিয়ে সালমান হরিণ শিকার করেছিলেন সেটির লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর সময় গড়ায়, বাড়ে বিতর্ক। সামনে আসে নিত্য নতুন সাক্ষ্য। সালমন খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় রাজস্থানের নিম্ন আদালত। যদিও, তার উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হলে, মামলাটিকে দ্বিতীয়বার শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠায় সর্বোচ্চ আদালত।
কিছুদিনের মধ্যেই এই মামলায় রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে, সকলেরই সর্বোচ্চ ৬ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মে, ২০১৫/মাহবুব
