আপাতত কারাগারে যেতে হচ্ছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলায় মুম্বাইয়ের স্থানীয় একটি আদালতের দেওয়া ৫ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অবশ্য এই মামলায় সালমানকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে হবে। তবে হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন জামিনে মুক্ত থাকবেন তিনি।
এদিকে, আগামীকাল থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বন্ধ থাকছে আদালতের কার্যক্রম। ফলে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ জুন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন এই বলিউড সুপাস্টার।
এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টা ১০মিনিটের দিকে মুম্বাই হাইকোর্টে সালমানের জামিন বৃদ্ধির ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে অংশ নিতে আদলত চত্বরে হাজির হন সালমানের ভাই আরবাজ খান, বোন আলভিরা খান এবং অন্যান্যরা।
আদালতে সালমানের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, ঘটনার দিন গাড়িতে চারজন থাকলেও, এদের মধ্যে সালমানের বন্ধু খানকে জেরাই করেনি পুলিশ। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতি ৯০-১০০ কিলোমিটাররে মধ্যে ছিলো বলেও জানান আইনজীবী অমিত দেশাই। কামাল খান এখন বিদেশে আছেন। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মুম্বাই উচ্চ আদালত। তার আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে জামিন বলে জানান বিচারক।
পাল্টা জবাবে সরকারি আইনজীবীর দাবি, গাড়িতে তিনজনই ছিলেন। তখন বিচারক সালমানের আইনজীবীদের প্রশ্ন করেন, আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে না তো?
উল্লেখ্য, ১৩ বছরের পুরনো গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলায় ৬ মে মুম্বইয়ের নগর দায়রা আদালত সালমানকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এরপরই মুম্বাই হাইকোর্টে জামিন আবেদন জানালে সালমানের দু'দিনের অন্তবর্তী জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মে, ২০১৫/মাহবুব