২০০২ সালের হিট অ্যান্ড রান মামলায় বলিউডের নাম্বার ওয়ান অভিনেতা সালমান খানের ৫ বছরের কারাদণ্ডের খবর শুনে সারাদিন ধরে কেঁদেছেন ঐশ্বরিয়া! পাশাপাশি সালমান যেন শিগগির মুক্তি পান এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনাও করেছেন তিনি। অবাক হচ্ছেন! আসলে সালমানের কারাদণ্ডে ঐশ্বরিয়া নামের যে নারী কেঁদেছেন তিনি আসলে অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বা সাবেক কোনো বিশ্ব সুন্দরী নন। সালমানের জন্য যে নারী কেঁদেছেন তার নাম ঐশ্বরিই ছৌবে, ঐশ্বরিয়া রায় নয়। সে আসলে সালমানের একজন পাগলপ্রায় ভক্ত।
বলিউড লাইফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে হিট অ্যান্ড রান মামলায় সালমানের ৫ বছরের জেলের রায়ে খুবই শোকাহত হন ঐশ্বরিই ছৌবে নামের ওই নারী ভক্ত। ৬ মে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে মুম্বাই সেসন্স আদালত হিট অ্যান্ড রান মামলায় সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওইদিন আদালতে সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য মুম্বাইতে ছিলেন ওই নারী ভক্ত। যদিও বোম্বে হাই কোর্ট সালমানকে আজ শুক্রবার জামিন দেন। সেইসঙ্গে মুম্বাইয়ের সেসন্স আদালতের রায় স্থগিত করে দেন। তবে ৬ মে-ই সালমানকে দুই দিনের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল। আজ জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে তাকে নিয়মিত জামিন দেন আদালত। হাইকোর্টে বিচার চলাকালে সালমান জামিনে মুক্ত থাকবেন। আগামী মাসের ৭ তারিখে পুনরায় সালমানের জামিন আবেদনের উপর শুনানি অনুস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ঐশ্বরিই ছৌবের কাছের এক সোর্স জানান, এ রায় শোনামাত্র তার চোখে জল এসে যায়। কোনোভাবেই তার এ কান্না থামানো যাচ্ছিল না। গতকাল বৃহস্পতিবার সে সারাদিন ধরেই কেঁদেছে। আর সালমানের দ্রুত মুক্তির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কাকুতি মিনতি করে প্রার্থনা করছিল। অবশেষে ঈশ্বর তার কথা শোনেছেন। যখন জানতে পারেন সালমানের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত এবং সেইসঙ্গে রায় স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কেবল তখনই শান্ত হয় ঐশ্বরিই।
উল্লেখ্য, ঐশরিই ছৌবে একটি মুভিতে কাজ করছেন এবং অনেকদিনের ইচ্ছা তিনি সালমানের সঙ্গে অভিনয় করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৮ মে ২০১৫/শরীফ
