সপাটে থাপ্পড় পড়ছে গালে। পেটে লাথি। এরপর দেখা গেল সারা শরীরে কালসিটে দাগ। এভাবে বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুরকে প্রহার করলো তার সহ-অভিনেতা আবরার জহুর। পুরো ব্যাপারটাই ঘটেছে এক ঘর লোকের সামনে। অথচ, কেউ টুঁ শব্দটিও করেনি। চুপচাপ শুধু দাঁড়িয়ে দেখে গিয়েছে!
পরিচালক একবার ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’ বলে দিলে তার পর আর কেউ কথা বলে না। সেটা নিয়মও নয়। সোনমও মার খেয়েছেন রাম মধবানির ‘নীরজা’ ছবির শট দিতে গিয়ে। কিন্তু, না বললেই নয়— ওই অসহ্য মারের একটাও অভিনয় নয়। পরিচালকের দাবিতে আর চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে রীতিমতো শারীরিক নির্যাতন সইতে হয়েছে সোনমকে।
চিত্রনাট্যের দরকারে আর চরিত্রটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অনেক কত কী-ই না করে থাকেন অভিনেতারা! তা বলে শারীরিক নির্যাতন সহ্য করা?
সোনম যে ব্যাপারটা মেনে নিয়েছেন, তার কারণ কিন্তু শুধুই পরিচালকের দাবি নয়! রাম মধবানির ‘নীরজা’ ছবি তৈরি হচ্ছে এক প্লেন হাইজ্যাকের সত্যি ঘটনা নিয়ে। ১৯৮৬ সালে প্যান অ্যামের বিমানসেবিকা নীরজা ভানট যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন। প্লেন হাইজ্যাকের সময়ে তার উপর যথেষ্ট শারীরিক নির্যাতনও চালায় চার জঙ্গি। নীরজার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তার সঙ্গে এভাবেই একাত্ম হতে চাইছেন নায়িকা। ভাগ করে নিতে চাইছেন ২২ বছরের অকালপ্রয়াত নীরজার যন্ত্রণা।
এ প্রসঙ্গে সোনম বলেছেন, “আমার সারা গায়ে কালসিটে পড়ে গিয়েছে। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু, এই ছবির জন্য কোন বডি ডাবলের সাহায্য আমি নেব না। কষ্ট হচ্ছে ঠিকই! দিনে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে এমন এক চরিত্রে শ্যুটিং করা তো আর সহজ ব্যাপার নয়। যাই হোক, ছবির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে”।
বিডি-প্রতিদিন/১১ জুন, ২০১৫/মাহবুব