ক্রিকেটার রুবেলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কোট-কাচারি করে ক্লান্ত অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি এবার নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিতে চাইছেন। বন্ধ করে দিতে চাইছেন সকল যোগাযোগ। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সাংবাদিক সবার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিভৃতে চলে যেতে চাইছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক থেকেও অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদায় নিতে চাইছেন। আজ সোমবার ভোররাতে নিজের ফেসবুক পেইজে এমনই একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন হ্যাপি।
নিজের ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, ''অনির্দিষ্টকালের জন্য আমি ফেসবুকে থাকব না। কোন ছবি বা কোন status দেবো না। আইডি deactivate করতাম কিন্তু এই সুযোগে আমার ফেক আইডিগুলো মানুষকে ঠকাতে পারে, শুধু এটা ভেবেই আইডি deactivate করলাম না। আমি আমার মোবাইলে কোনো কল রিসিভ করব না এবং কোন সাংবাদিক বা বন্ধু কারও সাথে কথা বলব না। আবার কবে সবকিছুতে ফিরে আসব জানি না। এমনও হতে পারে এই হারিয়ে যাওয়াটা একেবারের জন্য। সবার মাঝখান থেকে হারিয়ে একা থাকতে চাই।''
হ্যাপি-রুবেল প্রেম উপাখ্যান এখন দেশের মানুষের মুখে মুখে। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ তুলে জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিনেত্রী হ্যাপি। এ নিয়ে ডাক্তারি নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়। দিন কয়েক জেলের ভাতও খেতে হয় রুবেলকে। শেষ পর্যন্ত আদালত রুবেলকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। পুরো সময়টাতে হ্যাপি রুবেলের সঙ্গে তার সম্পর্কের প্রমাণ স্বরূপ তাদের দু'জনের নানা অডিও-ভিডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আপলোড করতে থাকেন। সঙ্গে দিতে থাকেন নানা স্ট্যাটাস। অবশেষে কেন তিনি ফেসবুক থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাইছেন তা অবশ্য স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেননি হ্যাপি।
এর আগের দিন এক স্ট্যাটাসে হ্যাপি লেখেন, ''feeling দুচোখ ভরে তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করে। একটা মানুষ হাটতে পারলে, চলতে পারলে আর হাসতে পারলেই কী তাকে বেচেঁ থাকা বলে? ভেতরের মানুষটা মারা গেলে তাকে কোথায় কবর দিতে হয়? কিভাবে তাকে আলাদা করা যায়? আর যদি নাই বা আলাদা করা যায় তাহলে ভেতর আর বাইরের মানুষ কেন এত অন্যরকম? অভিনয় করে হেসে কথা বলে সবাইকে বোঝানো যায় আমি ভাল আছি কিন্তু নিজের সাথে অভিনয় করে কি নিজের কষ্ট লুকানো যায়? বা ভাল থাকা যায়? হা হা হা। ও হ্যা,আর একটা কথা, আমার মনটা কালো হয়ে গেছে । অনেক কালো। আগে সুন্দর একটা মন ছিল,খুব সাদা। সেখানে সুন্দর সুন্দর আশা লালন করতাম। এখন সব আশা-ভালবাসা, সুন্দর সেই পবিত্র হৃদয়টা সব পুড়ে কালো ছাই হয়ে গেছে। অনেক কালো। আমি এমন কারও অপেক্ষায় যে কোনদিনই আমার জীবনে ফিরবে না। শুধু আমাকে অনেক অনেক কষ্ট উপহার দিয়ে গেছে। ধন্যবাদ তোমাকে। সবকিছুর পরেও তুমি ভাল আছো, এটাই ভাল। কিন্তু তোমাকে ছাড়া আমি ভাল নেই। খুব একা আমি।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ