দিল্লি-মুম্বাই, ব্যাংকক থেকে মিশর, এমনকি নিউইয়র্কের মতো শহরেও র্যাম্পের স্টেজ কাঁপিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নামিদামি বেশ কয়েকটি বিশ্ব কাঁপানো ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও জায়গা পেয়েছেন, যার মধ্যে ভোগ ম্যাগাজিনের মুম্বাই সংস্করণ অন্যতম। হেঁটেছেন দক্ষিন কোরিয়ার রেড কার্পেটেও। সম্প্রতি অংশ নেন নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে। বলছি মডেল ও অভিনেত্রী পিয়ার কথা। বর্তমান ব্যস্ততা ও ফ্যাশন দুনিয়া নিয়ে তার ভাবনা তুলে ধরলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে।
কেমন আছেন, বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?
উত্তর : কনভোকেশনে যোগ দিতে লন্ডন যাচ্ছি। লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্ট্যাডিস (এলসিএলএস) থেকে বার অট ল’তে গ্রাজুয়েশন তো হলো। এবার সার্টিফিকেট গ্রহণের পালা। কনভোকেশনে সার্টিফিকেট বিতরণ করবেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অ্যানে। তাই কিছুটা উচ্ছাসিতও বটে। ১২ তারিখ দেশে ফিরে অন্যান্য কাজে মনোযোগ দিব।
র্যাম্প, ছোট পর্দা ও বড় পর্দা-এই তিন মাধ্যমেই কাজ করেছেন কোনটাতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
উত্তর : তিন মাধ্যমে কাজ করলেও প্রত্যেকটিরই নিজস্ব স্বকীয়তা রয়েছে। কোনটাকেই খাটো বা ছোট করার উপায় নেই। তারপরেও বলবো মডেলিং আমার প্যাশন এবং ভালো লাগার জায়গা। অন্যদিকে, সিনেমা স্বপ্নের জায়গা, আর নাটক হলো যেখানে অনেক আপন বিষয় আছে বলে মনে হয়।
মডেলিং নিয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মিল কতটুকু ?
উত্তর : মডেলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অনেক বেশি বলে মনে করি। তবে মনে মনে আরও প্রত্যাশা রয়েছে, যেন বিশ্বের আরও অনেক টপ ক্লাস ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে পারি।
বিশ্বমানের মডেল ম্যানেজমেন্ট করতে করণীয় কি?
উত্তর : এ ধরনের এজেন্সি করার আগে ভাবতে হবে আমাদের মার্কেটটা কত বড়। যদি মার্কেটটা বিশাল পরিসরে হয়ে থাকে তাহলে এক রকম সিদ্ধান্ত আর মার্কেট ছোট হলে অন্য সিদ্ধান্ত। অর্থাত্ পরিধি বুঝে এ ধরনের ম্যানেজমেন্ট করা উচিত।
র্যাম্প নিয়ে এখনও অনেক পরিবার নাক সিটকায়, এ ধারণা পাল্টানো যায় কিভাবে?
উত্তর : এ কথাটা বরাবরই আমার কানে আসে। কমবেশি সবক্ষেত্রেই পিছুটান থাকবে, থাকবে সমাজের অনেক বাধা-বিপত্তি। আবার তার মানে এই নয় যে, উদার মানে উদ্দাম নৃত্য। পরিবারকে এ ভুল ভাঙ্গাতে হবে। আমার পরিবারও প্রথম দিকে মেনে নেয়নি। কিন্তু কাজ দিয়ে প্রমাণ করে ভ্রান্ত ধারণা ভাঙ্গতে হয়েছে।
বাংলাদেশের মডেলিং জগতকে বিশ্ব বাজারে কিভাবে তুলে ধরা যায়?
উত্তর : প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে বড় বড় ফ্যাশন হাউসগুলোকে। সমন্বয় করতে হবে এ সংশ্লিষ্ট মডেলদের নিয়ে। হাউস এবং মডেল যখন একযোগে বৈশ্বিক বিপ্লবে কাজ করবে তখনই পরিবর্তন আসবে এ সেক্টরে। এছাড়া প্রচার মাধ্যমেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে এখানে। সিঙ্গেল পারসননির্ভর কোনো প্রোগ্রাম সফল হয় না। এ জন্য প্রয়োজন ফ্যাশন হাউসের পুরোপুরি সাপোর্ট তাহলেই পরিধি বাড়বে এ সেক্টরের।
বিডি-প্রতিদিন/ ৫ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২০