পরকীয়া শব্দটি এখন প্রায়ই শোনা যায়। স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকতে অন্য নারী/পুরুষের সঙ্গে প্রেম বা অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই। বিষয়টি ধর্মীয় বা সামাজিক কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরকীয়া বিষয়টিও যেন অতিমাত্রায় ব্যাপ্তি লাভ করছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হালকা আলাপ-পরিচয়, চ্যাটিং, বন্ধুত্ব, একপর্যায়ে সেই সম্পর্ক গিয়ে দাঁড়াচ্ছে পরকীয়ার মতো সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ বন্ধনে। ভেঙে যাচ্ছে সুখের সংসার। নিজের সন্তানের প্রতি মায়াও সেই প্রেমের কাছে টিকতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে পরকীয়ার টানে স্বামী/স্ত্রী বা সন্তানকে খুনের মতো ঘটনাও ঘটছে।
কিন্তু কেন? স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকতে কেন অন্য নারী/পুরুষের সঙ্গে মানুষ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে? কেন কমে যাচ্ছে বর্তমান সংসারের প্রতি ভালবাসা? কীভাবে রোধ করা এই সামাজিক অবক্ষয়? ফেসবুকে কয়েকটি বাক্যে এর জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিজ আর্থ ইন্টারন্যাশনাল মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি।
আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত এই মডেল ও ধরণী সুন্দরীর মতে নিজের সঙ্গী/সঙ্গিনীর প্রতি ভালবাসাটা ঠিকভাবে জানান দিতে পারলেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা কমে যাবে।
নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ''পরকীয়া প্রেম বলে যেই শব্দটির ব্যবহার রয়েছে , সেই ব্যবহারটি কমাতে চাইলে নিজের সঙ্গী/ সঙ্গিনীকে সময় দেওয়াসহ তার পছন্দ / অপছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে তাকে স্পেশাল ফিল করাতে হবে। এতটুকু প্রচেষ্টা থাকলে পরকীয়া প্রেমের আবির্ভাব ঘটা বন্ধ হয়ে যাবে। ঠিকভাবে আচরণ করারও অভ্যাসটি থাকতে হবে ।''
অবশ্য প্রিয়তির এ চিন্তার সঙ্গে সবাই যে সহমত পোষণ করেছেন তা নয়। এক ঘষ্টায় তার পোস্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন মাহবুবা শহিদ, মাহমুদুল হাসান বিজয়সহ ছয় জন। আবার দ্বিমতও পোষণ করেছেন কেউ কেউ। মুহাম্মদ আফলাতুন কাইসার লিখেছেন, সর্বপরি মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। মনে কু-মতলব থাকলে সঙ্গী/সঙ্গিনী হাজারো সময় দিলেও কাজ হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ