২৩ মে, ২০১৯ ১২:২২

রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাবে ১০ হাজার শিক্ষার্থী: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাবে ১০ হাজার শিক্ষার্থী: অর্থমন্ত্রী

রাজস্ব আদায়ে আউট সোর্স হিসেবে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকার অনুযায়ী যে রাজস্ব আদায় হয় তা প্রায় অর্ধেক। রাজস্ব আদায় বাড়াতে এসব জনবল নিয়োগ দেয়া হবে।

গতকাল বুধবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সৌজন্যে ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত মাত্র ১০ শতাংশ। যেখানে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে এটা ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ। এক্ষেত্রে আরও ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা। আমরা যদি ৬ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে না পারি তাহলে আমাদের যে অর্থনীতি গতিশীল বা গভীরতা পেয়েছে এটার সাথে রাজস্ব আদায়ের কোনো রকম মিল থাকে না। আমাদের এ কাজটা করতে হবে।

তিনি বলেন, খুবই দুঃখজনক যে যারা ট্যাক্স দেয়, তারাই দেয়। মাত্র ২১ বা ২২ লাখ ট্যাক্স দেয়। এছাড়া আরও যাদের দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তারা কোনো ট্যাক্স দেয় না। সুতরাং আগামী বাজেটে আমরা কোনোভাবেই করের হার বাড়াবো না। তবে যারা কর দেয় না তাদেরকে করের আওতায় নিয়ে আসবো।

তিনি বলেন, যারা ট্যাক্স দেয়ার ক্ষমতা রাখে কিন্তু ট্যাক্স দিচ্ছে না তাদের কাছে পৌঁছাবো, তাদের নিকট থেকে ট্যাক্স আদায় করবো। এ জন্য আমারা প্রথম বছর আউট সোর্স হিসেবে ১০ হাজার জনবল বাড়াবো। এসব জনবল হবে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, যারা কোনো কাজ পাচ্ছে না তাদের আউট সোর্স হিসেবে নিয়োগ করবো।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় ট্যাক্স অফিস নিয়ে যাবো। আগামী জুলাই মাস থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরু করবো। তবে এটা প্রথম থেকেই পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে রাজধানী ঢাকা, ও বড় বড় শহরে প্রায় ৯ লাখ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রথমে আমরা বড় বড় জায়গায় এটা বাস্তবায়ন করা হবে। ভ্যাট বাস্তবায়নের মাধ্য দিয়েই আমরা আয়করের বিষয়টি জনগণের নিকোট নিয়ে যাবো। তবে জোর করবো না। জনগণ যখন ভ্যাট দিবে তখন কর দেয়াতেও অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ পাচার রোধে সকল আমদানি-রফতানিকৃত পণ্য যথাযথভাবে স্ক্যানিং করা হবে। পাশাপাশি আমদানি-রফতানিতে যারা ওভার অ্যান্ড আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের জরিমানার পাশাপাশি মামালা করা হবে। মামলার রায় অনুযায়ী তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর