এতদিনেও নাকি মনের মতো মানুষ খুঁজে পাননি বুবলী। কী আর করা, তাই খুঁজেই চলেছেন এ লাস্যময়ী। বলছি, এবারের ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ছবি ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’র কথা। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বুবলী। মজার কথা হলো, বুবলীর এ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া সবগুলো ছবিই প্রেক্ষাগৃহে উঠেছে ঈদের সময়। তাই তো কেউ কেউ তাকে ডাকেন উৎসবকন্যা বলে। বুবলীর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- শামছুল হক রাসেল।
'মনের মতো মানুষ পাইলাম না' ছবিতে কী নতুনত্ব আছে?
আমার আগে যেসব ছবি মুক্তি পেয়েছে সবগুলো ছবিতে আমার চরিত্র ভিন্ন ভিন্ন ছিল। আর 'মনের মতো মানুষ পাইলাম না' আড়াই ঘণ্টার ছবি। এই ছবির বিশেষত্ব বা নতুনত্ব কী তা এত অল্প সময়ে বলা সম্ভব না। ২ ঘণ্টা ২০/২৫ মিনিটের একটা ছবি মানুষ কেন হলে গিয়ে দেখবে তা বোঝার জন্য আগে হলে যেতে হবে। ছবিতে প্রযোজকরা টাকা লগ্নি করেন। আমার মুখের কথায় কেউ হলে যাওয়া বন্ধ করবে বা আমার কথা শুনে যাবে বিষয়টা এরকম না। ছবির শিল্পী হিসেবে বলবো সমসাময়িক যে ঘটনাগুলো ঘটছে আমাদের চারপাশে তা নিয়েই এ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এখানে দেশপ্রেম, ভালোবাসা, প্রেম, পারিবারিক বন্ধনগুলো সবকিছুই দর্শক দেখতে যাবে। ছবি নির্মাণ করা হয় দর্শকদের বিনোদনের জন্য। এ সময়টা বসে হলে গিয়ে তারা ছবিটি দেখবে। এখানে আমি আরেকটু যোগ করতে চাই সেটা হল, দর্শক যেমন ভালো ছবি দেখতে চায় তেমন ভালো পরিবেশও চায়। সারাদিন কাজের পর মানুষ স্বস্তির, প্রশান্তির পরিবেশ পেতে চায়। হলে গিয়ে যখন দেখা যায় গরম লাগছে বা ছারপোকা কামড় দিচ্ছে বা চেয়ার ভেঙে পড়ছে তখন একটা ভালো ছবিও খারাপ লাগবে। ছবি ভালো লাগলে দর্শক দেখবে, কিন্তু পরিবেশটাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা জিনিস একটি অপরটির পরিপূরক। সবকিছুর দরকার আছে। আর এই ছবির বিশেষত্ব কী তা হলে যাওয়ার পরই দর্শক বুঝতে পারবে।
এ ছবিটির কাজ খুব দ্রুত শেষ করা হয়েছে...
এ ছবির কাজ দেড়/দুই মাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু একটা ছবির কাজ যদি ধারাবাহিকভাবে করা হয় তাহলে এর মধ্যে কন্টিনিউটিটা সুন্দর থাকে। খুব সময় নিয়ে তৈরি করা ছবি মানেই ভালো ছবি এটা আমি বলতে পারবো না। অনেক সময় আমরা শুনি ৪/৫ বছর ধরে একটা ছবি নির্মাণ হচ্ছে তার মানে এই না যে বছরে ৩৬৫ দিনই তারা ওই ছবির পেছনে ব্যয় করেছে। অনেক সময় শিল্পীর শিডিউল মেলে না। সাপোর্ট পাওয়া যায় না। নানা বিষয় থাকে। সময় বেশি হলেই ছবি ভালো, আর কম হলেই ছবি আশানুরূপ বানানো হয়নি ওইটা আমি বিশ্বাস করি না। আমার কাছে মনে হয় নির্মাণে ধারাবাহিকতা থাকলে এবং পুরো টিমটা যদি ঠিকমতো পরিশ্রমটা করে তাহলে অল্প সময়েও একটা সুন্দর ছবি তৈরি করা যায়।
এ ছবির শুট কোথায় কোথায় হয়েছে?
ছবিটির কাজ খুব তাড়াতাড়ি শেষ করা হয়েছে। কারণ ছবিটিকে ঘিরে সেভাবেই পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছিল যে আমরা সবাই টানা কাজ করবো। গল্পের প্রয়োজনেই ছবির লোকেশন ঠিক করা হয়। ছবির বেশিরভাগ কাজ ঢাকা ও আশেপাশের এলাকাতেই হয়েছে। ছবির দুটো গানের কাজ তুরস্কে হয়েছে।
শুটিংয়ে মজার কোনো ঘটনা আছে?
তেমন মজার কোনো ঘটনা নেই। সবাই সিরিয়াসলি কাজটা শেষ করেছে। মজা করার খুব একটা সুযোগ হয়নি। তুরস্কে শুটিংয়ে লোকেশনগুলো খুব দূরে দূরে ছিল। অনেক কষ্ট করে শুটিং করতে হয়েছে। ভোর সাড়ে ৪টায় লোকেশনে যেতে হতো। পৌনে ৫টা থেকে শুটিং শুরু হতো। সময় বাঁচাতে মেকআপ না নিয়েই বেরিয়ে পড়তে হতো।
ঈদের দিন ছবি দেখবেন?
অবশ্যই। আমি বরাবরই ঈদের ছবি দেখি। আমার নিজের কাজ কেমন হলো, অন্যান্য শিল্পীর সাথে কেমন করলাম, আমি সবসময় এসব দেখি, সামনেও দেখবো। ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তাই ঈদ উদযাপনের সম্পূর্ণ পরিকল্পনাই ছবি নিয়ে। আর কোরবানি নিয়ে পারিবারিক ব্যস্ততা তো আছেই।
এখন কোনো ছবির শুটিং করছেন?
নতুন ছবি নিয়ে কথা হচ্ছে। ঈদের কিছুদিন পরে ছবির শুটিং হওয়ার কথা। 'বীর' ছবির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে এখন ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমা নিয়েই ব্যস্ত আছি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম