২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের ‘আশীর্বাদ’ চলচ্চিত্রে দু’দিন আগে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। এরই মধ্যে জানা গেল, তিনি আর এই সিনেমায় নেই। এ নিয়ে কেউ কেউ বলছেন করোনার কারণে নিজে ছবিটি থেকে সরে গেছেন অপু। আবার কেউ কেউ বলছেন এর পেছনে ভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে বিষয়টি পরিষ্কার করলেন ‘আশীর্বাদ’ ছবির প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস।
তিনি ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন, যে কোনো ছবির স্থির ও ভিডিওচিত্র বা শুটিংয়ের দৃশ্য প্রযোজনা সংস্থার আওতাধীন। সাইনিংয়ের সময় পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে অপুকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তিনি সাইনিংয়ের সময় বলা কথা না রাখায় তাকে গতকাল সোমবার রাতেই ছবিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রযোজক জেনিফার বলেন, অপু আমাদের আল্টিমেটামের পরও ‘আশীর্বাদ’ ছবি সংশ্লিষ্ট কন্টেট অনলাইনে প্রকাশ করেছেন, যা আইনসঙ্গত না। অপুকে বারবার আল্টিমেটাম ও নিষেধ করা সত্ত্বেও বিনা অনুমতিতে নিজের ফেসবুক ও ইউটিউবে তা প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে অপুকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রযোজক আরও বলেন, অভিনেত্রী হিসেবে অনেক ভালো অপু। আমার বিশ্বাস ছিলো পেশাদারি জায়গাটা অপু বুঝবে। কিন্তু তার কার্যকলাপে তা প্রকাশ পায়নি। আমি নিউজে দেখলাম অপু বলেছেন- করোনাকালীন পরিস্থিতির জন্য ছবিতে সাইন করে দু’দিন পরই নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। বিষয়টি কেমন না? এটাও একটি ছেলেমানুষি মনে হলো তার কথায়। আমি যেটা বলেছি এটার সত্যতা অপুর ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে গেলে দেখতে পাবেন।
জেনিফার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি এখনো ‘আশীর্বাদ’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক সংস্থার আন্ডারে ধারণ করা দৃশ্য কোথাও আপলোড করিনি। অথচ অপুর পারসোনাল ক্যামেরাম্যান আমাদের ক্যামেরাম্যানের পেছন থেকে সাইনিংয়ের ছবি-ভিডি ধারণ করেছেন। যা বিনা পারমিশনে অপু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশও করেছেন। এতেই খোলাসা হয়, কেন অপুকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘আশীর্বাদ’ চলচ্চিত্রে অপু বিশ্বাসকে চুক্তিবদ্ধ করান ছবির প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। প্রযোজনার পাশাপাশি এর কাহিনি ও চিত্রনাট্যের কাজও করছেন জেনিফার। সংলাপ লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক