ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি, ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে এবং এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ভাইরালের পর মানুষের মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নেটদুনিয়ায়। এ নিয়ে এবার মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন হাজারী।
তিনি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে এক লাইভে বলেছেন, 'পরীমণি বোট ক্লাবের ঘটনার পর থানায় গিয়েছিলেন মামলা করতে। তবে পরীমণি অসংলগ্ন মাতাল ছিলেন বলে সেই মামলা নেননি থানার ওসি সাহেব। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সে যদি মাতাল হয়- তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করার নিয়ম। কিন্তু তখন তা কেন করা হলো না।'
ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদের এক বক্তব্যে সাহস পেয়েছেন জানিয়ে হাজারী আরও বলেন, 'হারুন সাহেব বলেছেন- মেয়েটা যদি ওখানে না যেত এই অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতো না। হ্যাঁ, এটাই ঠিক। এখন আমি বলতে পারি এই করোনাকালে একটি যুবতি মেয়ে পরীমণি রাত তিনটা পর্যন্ত সেই বোট ক্লাবে ছিলো, সে সেখানে ভাংচুর চালিয়েছে বলে ক্লাবটি মামলা করেছে। আমি বলি তাকে তখনই কেন আটক করা হলো না যখন সে মাতাল অবস্থায় থানায় গেছে।'
'আমি নিজে থেকে একটা কথা বলবো- আমি নিশ্চিত যে, মাতাল হওয়ার আগে সে ইয়াবা সেবন করেছে। ইয়াবা সেবন করে আরও টালমাটাল হয়ে সে ক্লাবে গেছে, প্রায় নাকি সে ক্লাবে যায়ও। আরমান তাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেছে, আমরা একই ফ্লাইটে গেলাম এবং আসার সময় একই ফ্লাইটে এলাম। এই আরমানের কোনো ছবি মুক্তি পেয়েছে বলে আমি জানি না। ফেনীতেও তাকে নিয়ে গিয়েছিল' বলেও ফেসবুক লাইভে উল্লেখ করেন ফেনী-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য।
জয়নাল হাজারী আরও বলেন, একটা কথাতেই সব শেষ হয় যে এই মেয়ে সেখানে গিয়েই অপরাধ করেছে। মেয়েটা যদি না যেত এ ঘটনা হতো না। তাকে যদি ধর্ষণ করা হয়, নির্যাতন করা হয়- তাতো তার দোষেই হয়েছে। সেতো জানে ওই ক্লাবে কি হয়। মদ খাওয়া হয়, জুয়া খেলা হয়। আমি যদি জেনে শুনে বাঘের মুখে পড়ি, বাঘতো আমাকে খাবেই। সাপের গায়ের উপর পা দিলেতো কামড়াবেই। এটাতো জানা কথাই, তাহলে সে কেন গেল। মূলত এটার জন্য আমি তাকে অপরাধী করি।
এর আগে, তিনি প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু নিয়ে মিডিয়ার বাড়াবাড়ি, মানুষের অযাচিত কান্না ও শেষকৃত্যে জনতার ঢল এবং মাদার তেরেসার মৃত্যুকে উপেক্ষা করার ঘটনা নিয়ে কথা বলেন। হাজারী আক্ষেপ নিয়ে বলেন, 'মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে মারা যাওয়া ডায়নাকে নিয়ে এত কিছু হলো, যদিও তার দু'দিন পরই মাদার তেরেসার মৃত্যু হয়। কিন্তু তাকে নিয়ে সেই অর্থে মানুষেরা বা গণমাধ্যম তেমন আগ্রহ দেখায়নি। তার শেষকৃত্যে এক হাজার মানুষও উপস্থিত হয়নি এবং গণমাধ্যমেও তেমন খবর আসেনি। এই হলো পৃথিবী।'
বিডি-প্রতিদিন/শফিক