পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের পাড়ায় পাড়ায় চলছে উৎসবের আমেজ। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন পাড়ার বৌদ্ধ মন্দিরে মন্দিরে দিনভর পূজা অর্চনাসহ পিঠা-পুলি খাওয়ানোর ধুম পড়ে যায়। এ উৎসবকে ঘিরে রাখাইন তরুণ-তরুণীদের চোখে-মুখে ছিলো নতুন বছরের কর্মচাঞ্চল্য আর উচ্ছ্বাস। প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাখাইন পাড়াগুলো ঘুরে দেখা গেছে, নতুন বছরকে বরণ করতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নানাবয়সী নারীরা নিজেদের তৈরি রসালো পিঠা-পুলি নিয়ে বৌদ্ধ মন্দিরে যায়। এর পর ওই পিঠা ভিক্ষুদের হাতে তুলে দেয়। তাদের তৈরি পিঠার মধ্যে ছিলো ঐতিহ্যবাহী বিন্নি ধানের হেতাল পিঠা, কুলি,পাটি সাপটা সহ বাহারী রসালো পিঠা। প্রার্থনা শেষে ভিক্ষুদের ওই পিঠা ভোজন করানো হয়।
বৃদ্ধ আদিবাসী রাখাইন ওমেছং তালুকদার আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন আগের মত ভালো নেই। এক সময় নতুন ধান উঠলে পাড়ায় পাড়ায় চিড়া তৈরির ধূম পড়ে যেতো। ওই চিড়া কোঠা নিয়ে পাড়াগুলোতে উৎসবের আয়োজন করা হতো। এখন যেন সব কিছুই অতীত।
কুয়াকাটার কেরানীপাড়ার রাখাইন উচুসে মাদবার বলেন, আমরা প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখ এলে এদিন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করি। এ বছরও তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হবে বলে তিনি জানান।