প্রথমবারের মতো চার পাঅলা সাপের ফসিলের খোঁজ পাওয়া গেছে। ব্রাজিলে ১১ কোটি বছরের পুরনো এই জীবাশ্ম সন্ধানের সঙ্গে সঙ্গে বহু বিতর্কিত প্রশ্নের উত্তর মিলবে। সামুদ্রিক প্রাণী নয়, বরং টিকটিকি জাতীয় সরীসৃপ প্রাণীদের বিবতর্নের মাধ্যমেই সাপের উদ্ভব ঘটেছে।
টিকটিকি জাতীয় প্রাণী থেকেই সাপের উদ্ভব ঘটেছে এটা মোটামুটি স্পষ্ট। কিন্তু কখন, কিভাবে, কোন ধরণের টিকটিকি থেকে এই বিবর্তন ঘটেছে তা এখনও জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভ মার্টিল এই বিষয়ে এমনই বক্তব্য তুলে ধরেন। এই জীবাশ্ম প্রমাণ করে সামুদ্রিক টিকটিকি নয়, বরং মাটির মধ্যে গর্ত করে থাকা টিকটিকিদের বিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভব হয়েছে সাপের। ক্রেটাসিয়াস যুগের এই জীবাশ্মটি এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সাপের ফসিলের মধ্যে প্রাচীনতম।
টেট্রাপোডোফিস অ্যামপ্লেকটাস নামের এই সাপের যে জীবাশ্মটি পাওয়া গেছে তা একটি শাবকের। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ২০ সেন্টিমিটার। তবে পূর্ণবয়স্ক টেট্রাপোডোফিস অ্যামপ্লেকটাসের দৈর্ঘ্য এর চেয়ে অনেক বেশি বলে জীবাশ্মবিদদের ধারণা। এই জীবাশ্মের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য পায়ের উপস্থিতি।
এই ফসিলটির অন্ত্রে কিছু খাদ্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। সঙ্গে ভাঙা হাড়ের টুকরোও ছিল। এ থেকে বোঝা যায় এই সাপেরা মাংসাশী ছিল। লেজবিহীন এই সরীসৃপটির চারটি পা থাকলেও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে টিকটিকির তুলনায় সাপের মিল অনেক বেশি হওয়ায় বিজ্ঞানীরা একে আদিম সাপ হিসাবেই গণ্য করেছেন। এ ছাড়া দাঁত এবং এর বিন্যাস একেবাড়েই সাপের মতো। জি নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জুলাই, ২০১৫/ রোকেয়া।