চাঁদ দেখতে গিয়ে বের হয়ে এলো আজগুবি সব দৃশ্য। তবে তা পৃথিবীর চাঁদে নয়। এসব কাণ্ডকারখানা দেখা গেছে মঙ্গল আর শনির চাঁদে। মঙ্গলের চাঁদ ফোবসের গায়ে দেখা গেল ফাটল অন্যদিকে শনির চাঁদে অদ্ভুত বরফমেঘ।
মঙ্গলের চাঁদের গায়ের ফাটলের দাগ তো বেশস্পষ্ট। ১৯৭৬ সালে এবিষয়টি যখন সামনে আসে, তখন এর সঙ্গে একমত হতে পারেননি বিজ্ঞানীদের একাংশ। মঙ্গলের চাঁদের গায়ে ফাটলের বিরোধিতা করে তারা বলেছিলেন, ফোবস তৈরি শক্ত পাথরে। তাতে ফাটল সৃষ্টি করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ফাটলের দাগ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, ক্রমশ বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়তে চলেছে ফোবস। কেননা মঙ্গল তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে ফোবসকে নিজের দিকে টানছে। আর সেই শক্তির জোরেই ফোবসের গায়ের ফাটল বড় হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে আগামী ৫০ মিলিয়ন বছরে গুঁড়িয়েও যেতে পারে ফোবস।
অপরদিকে, নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান থেকে শনির চাঁদ টাইটানের মধ্যে দেখা গেছে অদ্ভুত বরফ-মেঘ। জমাট বাঁধা কিছু পদার্থ ঘন মেঘের মতো ছেয়ে আছে টাইটানের নিচের দিকের আকাশ। ২০১২ সালে প্রথম যখন এই মেঘ দেখা গিয়েছিল, তখন তা সামান্য জমা বরফের মতো ছিল। এখন তা রীতিমতো বরফ ঝড়ের আকার নিয়েছে। ক্যাসিনি থেকে পাওয়া ইনফ্রারেড ডেটা ঘেঁটে বরফঝড়ের মাত্রা জেনে অবাক হযন বিজ্ঞানীরা। হাইড্রোকার্বন ও নাইট্রোঘটিত রাসায়নির ঠাণ্ডায় জমাট বেঁধে এই মেঘ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
উত্তর মেরুতে থাকা মহাকাশজান ক্যাসিনি টাইটান দক্ষিণ মেরুতে ঘনিয়ে ওঠা এই ঝড়ের ছবি পাঠিয়েছে পৃথিবীর বুকে। সব মিলিয়ে বলা যায়, মহাকাশে চাঁদের দুনিয়ায় ঘোর বিপর্যয় চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা