৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:১৪

পাহাড়ে কোমর তাঁতের শীতবস্ত্র বাজার জমজমাট

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে কোমর তাঁতের শীতবস্ত্র বাজার জমজমাট

পার্বত্যাঞ্চলে যতই শীতের তীব্রতা বাড়ছে, ততই বাড়ছে শীতবস্ত্রের চাহিদা। তাই চাহিদা পূরণ করতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা ঘরে বসে তৈরি করছেন কোমর তাঁতের শীতবস্ত্র। বাহারি ডিজাইনের আকর্ষনীয় সব বস্ত্র ক্রেতাদের যেমন দৃষ্টি কেড়েছে, তেমনি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের। এছাড়া এসব শীতবস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে পর্যটন শহর কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, চট্টগ্রাম পতেঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। দামও সহনীয় থাকায় বেচা-বিক্রিও হচ্ছে জমজমাট।

জানা গেছে, গত দুই বছর করোনার মহামরির ধকল কাটিয়ে আবারও ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পাবর্ত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র কুটি শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা।  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় অর্থাৎ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা নারীরা ঘরে বসে কোমর তাঁতে তৈরি করছে আকর্ষনীয় ডিজাইনের বিভিন্ন শাল, চাঁদর, সুইটার, মাফলার ইত্যাদি। কোমর তাঁতে এসব তৈরি করতে ৭ থেকে ১০দিন সময় লাগে তাদের। 

পরিশ্রম যেমন আছে, তেমনি লাভও আছে এ ব্যবসায়, বলেন রাঙামাটি রাজবাড়ি ঘাটের ৪৩ বছর বয়সি কোমর তাতের বস্ত্র ব্যবসায়ী বিনা চাকমা। তিনি আরো বলেন, আমি ২০ বছর ধরে এ কোমর তাতের বস্ত্র ব্যবসা করছি। এসব বস্ত্র মেশিনে তৈরি করা হয় না। নিজেরাই কোমর তাঁতে পিনন হাদির সাথে তৈরি করি শাল, চাঁদর, সুইটার, মাফলার।

একই কথা জানালেন আরও এক বস্ত্র ব্যবসায়ী দীপা চাকমা। তিনি বলেন, শীতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বমশাল। কারণ বমশাল খবুই আরামদায়ক। আর মগমলে তৈরি এ শাল দেখতে খুবই আকর্ষনীয়। প্রতিটি শাল ৬০০ থেকে ১,০০০ টাকা। চাঁদর ৩০০ থেকে ৫০০ ও সুয়েটার ৭০০ থেকে ১২০০টাকা। বিক্রি হচ্ছে শীতের গরম কাপড়। তিনি আরও বলেন, শীতে রাঙামাটিসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে অনেক পর্যটক আসে। স্থানীয়রা তো ক্রয় করে। পাশাপাশি পর্যটকরাও সাথে করে নিয়ে যায়। তাই শীত আসলে জমজমাট বেচা-বিক্রি হয় শীতবস্ত্র। 

সংশ্লিষ্ট উদ্যোগতারা বলছেন, পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কোমর তাঁতে তৈরি শীতবস্ত্র এখন অনলাইনেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর