২৫ মে, ২০২৪ ১৩:০৪

তিলের ক্ষেত থেকে মধু আহরণ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

তিলের ক্ষেত থেকে মধু আহরণ

দিনাজপুরে এবার তিলের ক্ষেত থেকে মধু আহরণ করছে খামারী। মৌ-বাক্স বসিয়ে সরিষা, লিচু, কালোজিরা, মিষ্টি কুমড়া থেকে মধু আহরণ করা গেলেও এবার তিলের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে লাভাবন হচ্ছেন মৌ-খামারী মোসাদ্দেক হোসেন। পাঁচ একরের তিলের ক্ষেতের পাশে ৫০টি মৌ-বাক্স বসিয়ে ৩০০ কেজি মধু উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। 

আধুনিকতার সঙ্গে মৌচাষেও এসেছে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা। মৌমাছিকে বাক্সে পালন করছেন আধুনিক মৌ-খামারীরা। তেমনই একজন মৌ-পালক মোসাদ্দেক হোসেন। বছরে মধু উৎপাদন করেন প্রায় ২ টন। সরিষা, লিচু, কালোজিরা, মিষ্টি কুমড়া, বরই থেকে মধু আহরণ করলেও এবার তিনি মধু উৎপাদনের জন্যে তিলের ক্ষেতের পাশে বসিয়েছেন মৌ-বাক্স। অতীতে তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে বরই ফুলের মধু পেয়েছেন। 

দিনাজপুর সদরের নশিপুর পাট গবেষণা কেন্দ্রের পতিত জমিতে তিল চাষ হচ্ছে। সেই তিলের ফুল থেকে মধু আহরণ করছে মৌমাছি। কৃষিপ্রধান দিনাজপুরের মাটিতে সবধরনের ফসলের চাষ হচ্ছে। কিছু কিছু ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে মৌমাছি। একদিকে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি অন্যদিকে মধু আহরণ উভয়কে লাভবান করে মৌমাছি। সে তিলের ক্ষেতে মধু সংগ্রহে মৌ খামার স্থাপন করেছেন দিনাজপুরের মৌচাষী মো. মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি গত ৫বছর ধরে মৌচাষ ও মধু উৎপাদন নিয়ে কাজ করছেন। 

এ ব্যাপারে মোসাদ্দেক হোসেন জানান, লিচুর মুকুল মার্চ মাস জুড়ে মধু সংগ্রহের পর মৌখামারসমূহ মিষ্টি কুমড়া বা সুন্দরবনে খলিশার মধু সংগ্রহে যায়। এবছর তিলের চাষ থাকায় দিনাজপুরের তিলের খেতে মধু সংগ্রহে মৌ খামার স্থাপন করা হয়েছে। মৌমাছির বাক্সে সন্তোষজনক মধুতে ভরে উঠেছে। আশা করছি ৫০টি মৌকলনী থেকে ৩০০ কেজি মধু সংগ্রহ হবে। তিলের খেতে মৌকলনী স্থাপনে মৌকলনী শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি মধু উৎপাদন ও মৌকলনী সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়। আর এ কার্যক্রমে উন্নত প্রযুক্তিতে মৌকলনী স্থাপনে এবং তিল ক্ষেতে মধু সংগ্রহে সার্বিক সহযোগিতা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তেলবীজ জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার এসএম গোলাম সারোয়ার জানান, অধিদপ্তর কর্তৃক মৌচাষে আধুনিক ও উন্নতমানের মৌকলনী তৈরিতে প্রযুক্তি সম্পন্ন মৌবাক্স প্রদান করা হয়েছে কৃষকদের। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে তেল জাতীয় ফসলের বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে দিনাজপুরে কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষকদের কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে দিনাজপুরের মৌমাছি ও মধু উৎপাদন প্রতিষ্ঠান মোসাদ্দেক বি ফার্ম। পাঁচ একর তিলের ক্ষেতের পাশে এই মৌবাক্স কসানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক কৃষি মাঠে মৌকলনী সুরক্ষার সঙ্গে স্থাপনেও সহযোগিতা করা হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর